বিক্ষোভের মুখে কলকাতায় মোদির সফর অনিশ্চিত
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৩:৪৭ পিএম, ১১ জানুয়ারি ২০২০ শনিবার
নরেন্দ্র মোদি- ফাইল ছবি
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি কলকাতা বিমানবন্দরে নেমে শহরে পৌঁছবেন কীভাবে? আকাশ পথে হেলিকপ্টারে না কি গাড়িতে? বেলুড় মাঠে তিনি যাবেন কোন পথে? পানিপথে লঞ্চে না কি সড়ক পথে? শনিবার সকাল পর্যন্ত তারা স্পষ্ট কোনও পরিকল্পনা জানতে পারেনি প্রধানমন্ত্রীর যাত্রাপথের পরিকল্পনার দায়িত্বে থাকা স্পেশ্যাল প্রোটেকশন গ্রুপ’র (এসপিজি) কাছ থেকে বলে জানিয়েছে রাজ্য পুলিশ।
শুক্রবার রাত পর্যন্তও বার বার অ্যাডভান্স সিকিউরিটি লিয়াজঁ (এএসএল) সভায়ও কিছুই চূড়ান্ত হয়নি। মুখ্যমন্ত্রীর কার্যালয় ‘নবান্ন’ জানিয়েছে, শহরের বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভের মুখে পড়তে পারেন প্রধানমন্ত্রী এমনটি দিল্লিকে জানানো হয়েছে। এ কারণেই শেষ পর্যন্ত মোদীর রুট চূড়ান্ত করতে পারেনি এসপিজি। খবর আনন্দবাজারের।
প্রতিবেদনে বলা হয়, দিল্লি থেকে কলকাতার উদ্দেশে আকাশ পথে প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ বিমান আসবে এমনটিই ঠিক ছিল শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত। বিকেল ৪ টার দিকে কলকাতায় পৌঁছে তিনি সড়কপথেই যাবেন ‘ওল্ড কারেন্সি বিল্ডিং’র অনুষ্ঠানে। সেখান থেকে মিলেনিয়াম পার্ক হয়ে পানিপথে লঞ্চে যাবেন বেলুড় মঠ। একই পথে ফিরে রাজভবন। সেই সূচি অনুযায়ী, রাত ৯ টা ১০ মিনিটের পর তাঁর সময় ‘রিজার্ভ’ রাখা হয়েছে। ওই সূচি থেকেই জল্পনা তৈরি হয় যে রাত ৯ টায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজভবনে দেখা করতে পারেন মোদীর সঙ্গে।
তবে এ সূচি পাল্টানো হয়েছে। এসপিজির সূত্র বলছে, দুপুর ১টা ৫৫ মিনিটে দিল্লি ছাড়বে প্রধানমন্ত্রীর বিমান। কলকাতায় পৌঁছে হেলিকপ্টারে সাড়ে ৪টার মধ্যে পৌঁছে যাবেন রেসকোর্সের মাঠে। সেখানে ৫টা ১০ পর্যন্ত তিনি বিশ্রাম নেবেন। এই সূচি অনুযায়ী সড়কপথে বেলুড় যাবেন মোদী। রেসকোর্সের গ্রিন রুমে প্রায় আধ ঘণ্টা কাটানোর কথা ওই সূচি অনুযায়ী।
তবে প্রধানমন্ত্রীর যাত্রা পথে কোন ধরনের বিক্ষোভ বরদাস্ত করবে না পশ্চিমবঙ্গ সরকার। কেননা তাতে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে প্রশ্ন উঠবে। এমন বার্তাই দিল্লিকে কলকাতার পক্ষ থেকে দেওয়া হলেও ভরসা পাচ্ছে না কেন্দ্রীয় সরকার।
এমএস/