ঢাকা, শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৮ ১৪৩১

অস্ট্রেলিয়ায় প্রাণীদের খাবার ফেলা হচ্ছে হেলিকপ্টার থেকে

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৪:০৬ পিএম, ১২ জানুয়ারি ২০২০ রবিবার

দাবানল ভয়াবহ রূপ নিয়েছে অস্ট্রেলিয়ায়। বিশেষজ্ঞদের মতে প্রায় ৫০ কোটি প্রাণীর মৃত্যু হয়েছে দাবানলের আগুনে পুড়ে। তাই ক্ষতিগ্রস্ত বন্যপ্রাণীদের বাঁচাতে হেলিকপ্টার দিয়ে উপর থেকে খাবার ফেলে দিচ্ছে এদের। এসব খাবারের মধ্যে রয়েছে গাজর ও মিষ্টি আলু। দ্য নিউ সাউথ ওয়েলস (এনএসডব্লিউ) সরকার ক্ষুধার্ত প্রাণীদের জন্য এই উদ্যোগ গ্রহণ করে।

এনএসডব্লিউ পার্কস ও ওয়াইল্ডলাইফ সার্ভিস, ওয়ালবি কলোনি, ওলড়ন ভ্যালিস, ইয়েঙ্গু ন্যাশনাল পার্ক, দ্য ক্যাঙ্গারু ভ্যালি, জেনোলান, ওক্সলি ওয়াইল্ড রিভার্স ও কুরাকাবান্ডি ন্যাশনাল পার্কে এসব খাদ্য হেলিকপ্টারে করে ফেলা হয়। যার পরিমাণ প্রায় ২ হাজার ২শ’ কেজি।

নিউ সাউথ ওয়েলস এনভায়রনমেন্ট মিনিস্টার ম্যাট কেন বলেন, দাবানল থেকে বাঁচলেও প্রাণীদের জন্য প্রাকৃতিক খাবারের পরিমাণ খুব কম। এ অবস্থায় খাবার সহায়তা ছাড়া বেঁচে থাকা প্রাণীদের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ।

গত বছরের সেপ্টেম্বর থেকে ভয়াবহ দাবানলে পুড়ছে অস্ট্রেলিয়া। নিউ সাউথ ওয়েলস, ভিক্টোরিয়া, তাসমানিয়া, দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়া, কুইন্সল্যান্ড, পশ্চিম অস্ট্রেলিয়া ছড়িয়ে পড়া দাবানলে অন্তত ৫০ লাখ হেক্টর জমি পুড়ে গেছে। এসব রাজ্যে মারা গেছেন অন্তত ২৮ জন মানুষ। ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে প্রচুর ঘরবাড়ির। 

সিডনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইকোলজি বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, অস্ট্রেলিয়ায় দাবানলে স্তন্যপায়ী প্রাণী, ক্যাঙ্গারু, কোয়ালা, পাখি ও সরীসৃপসহ অন্তত ৫০ কোটি বন্যপ্রাণী পুড়ে মারা গেছে।

এদিকে অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন ও তার সরকার দাবানল নিয়ন্ত্রণে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারেনি বলে অভিযোগ অস্ট্রেলীয়দের। যেখানেই মরিসন দাবানল পর্যবেক্ষণে যাচ্ছেন সেখানেই সমালোচনার সম্মুখীন হচ্ছেন। 

উল্লেখ্য, ভয়াবহ দাবানলের সময়ে তিনি সপরিবারে অবকাশযাপনে হাওয়াইয়ে গিয়েছিলেন। এতে আরও বেশি ক্ষুব্ধ তার দেশের নাগরিকরা।

ইতিমধ্যে অস্ট্রেলিয়ার দমকল কর্মীদের সাহায্য করতে মার্কিন দমকল কর্মী পৌঁছেছে দেশটিতে। এছাড়া কানাডাও সে দেশের দমকলকর্মীদের পাঠিয়েছে অস্ট্রেলিয়ায় ভয়াবহ দাবানল মোকাবিলায়। অস্ট্রেলিয়ার এই অবস্থায় বিভিন্ন দেশ থেকেই সাহায্য পৌঁছাচ্ছে। যে ভাবে গোটা বিশ্ব অস্ট্রেলিয়ার পাশে দাঁড়িয়েছে তাতে অস্ট্রেলিয়ার মানুষ যেন একটু ভরসা পাচ্ছেন।

এএইচ/