আশুলিয়ায় নারী শ্রমিককে ধর্ষণ, দুই শিশুকে ধর্ষণের চেষ্টা
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ১১:০৫ পিএম, ১৩ জানুয়ারি ২০২০ সোমবার
রাজধানী ঢাকার অদূরে আশুলিয়ায় ২৪ ঘন্টার ব্যবধানে পৃথক ঘটনায় তৈরি পোশাক কারখানার এক নারী শ্রমিককে ধর্ষণ ও দুই শিশুকে ধর্ষণচেষ্টা করা হয়েছে। এর মধ্যে দুটি ঘটনায় অভিযুক্ত দুই জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
একই সঙ্গে ভুক্তভোগীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) প্রেরণ কার হয়েছে বলে জানিয়েছেন আশুলিয়া থানা পুলিশ।
সোমবার (১৩ জানুয়ারি) সকালে আশুলিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) জাবেদ মাসুদ জানান, কুরগাঁও এলাকায় সাত বছরের শিশুকে ধর্ষণচেষ্টা ও ঘোষবাগ এলাকায় নারী শ্রমিককে ধর্ষণের ঘটনায় দুইজনকে আটক করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃতরা হলেন, আশুলিয়ার কুরগাঁও এলাকায় সাত বছরের শিশুকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে প্রতিবেশী আলহাজ (৫৫)কে আটক করা হয়।
এছাড়া ঘোষবাগ এলাকায় গার্মেন্ট শ্রমিক তরুনীকে ধর্ষণের অপর ঘটনায় ইকবাল হোসেনকে (৩৪) আটক করা হয়। ইকবাল ভুক্তভোগীর সম্পর্কে বেয়াই হন। সে পটুয়াখালী জেলার দশমিনা সদর থানার আবুল হোসেনের ছেলে। সে আশুলিয়ার ঘোষবাগ এলাকায় ভাড়া বাসায় থেকে হামীম গ্রুপের একটি কারখানায় কাজ করতো।
পুলিশ জানায়, গত শনিবার (১১ জানুয়ারি) আশুলিয়ার কুরগাঁও এলাকায় সাত বছরের এক শিশুকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে ভুক্তভোগীর প্রতিবেশী আলহাজকে গ্রেফতার করা হয়। একই দিন অপর ঘটনায় আশুলিয়ার ঘোষবাগ এলাকায় স্থানীয় নাসা গ্রুপ নামে একটি তৈরি পোশাক কারখানার শ্রমিককে হাত-পা বেঁধে ধর্ষণের অভিযোগে ভুক্তভোগীর সম্পর্কে বেয়াইকে গ্রেফতার করা হয়।
আশুলিয়ার কুরগাঁও এলাকায় সাত বছরের শিশুকে ধর্ষণচেষ্টার ব্যাপারে আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আসওয়াদুর রহমান জানান, গত (১১ জানুয়ারি) শনিবার বিকেলে আশুলিয়ার কুরগাঁও এলাকায় বাড়ির পাশের একটি মাঠে বন্ধুদের সাথে খেলছিলো শিশুটি। এসময় প্রতিবেশী আলহাজ নামের এক ব্যক্তি কৌশলে শিশুটিকে মাঠের এক পাশে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা চালায়।
পরে শিশুটি চিৎকার দিয়ে ঘটনাস্থল থেকে দৌড়ে পালিয়ে এসে তার পরিবারকে বিষয়টি জানায়। পরে শিশুর পরিবার রবিবার (১২ জানুয়ারি) রাতে এ ঘটনায় লিখিত অভিযোগ দিলে পুলিশ অভিযান চালিয়ে রাতেই অভিযুক্ত ব্যক্তিকে আটক করে। পরবর্তীতে মামলা দায়েরের পর সোমবার (১৩ জানুয়ারি) আসামিকে আদালতে প্রেরণ করা হয় বলেও জানান তিনি।
অপরদিকে আশুলিয়া ঘোষবাগ এলাকায় গার্মেন্ট শ্রমিক নারীকে ধর্ষণের ব্যাপারে আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ফজর আলী জানান, ভুক্তভোগী ওই নারী পোশাক শ্রমিক আশুলিয়ার ঘোষবাগ এলাকায় ভাড়া বাসায় থেকে স্থানীয় নাসা গ্রুপের একটি তৈরি পোশাক কারখানায় সুইং অপারেটর পদে কাজ করেন। অপরদিকে গ্রেফতার ইকবাল হোসেন নামে ওই শ্রমিক ভুক্তভোগীর বেয়াই। তারা উভয়ই ঘোষবাগ এলাকায় একটি ভাড়া বাসার তৃতীয় ও চতুর্থ তলায় বসবাস করেন।
তিনি আরও বলেন, গত ১১ জানুয়ারি (শনিবার) দুপুরে ভুক্তভোগী ওই নারী তৃতীয় তলায় তার খালাতো বোনের কক্ষে যান। এসময় কক্ষে তার খালাতো বোনের দেবর ইকবাল ছাড়া কেউ ছিলো না। পরে ওই নারীকে একা পেয়ে তার হাত-পা বেঁধে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে বখাটে ইকবাল। পরে এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর অভিযোগের ভিত্তিতে রাতেই ইকবালকে ঘোষবাগ এলাকা থেকে আটক করা হয়। পরে তার বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের পর রবিবার (১২ জানুয়ারি) দুপুরে রিমান্ড চেয়ে আদালতে প্রেরণ করা হলে এক দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
কেআই/এসি