জামা মসজিদে বিক্ষোভ নিয়ে দিল্লি পুলিশকে হাইকোর্টের তিরস্কার
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৫:২৮ পিএম, ১৪ জানুয়ারি ২০২০ মঙ্গলবার
ভীম আর্মির প্রধান চন্দ্রশেখর আজাদের জামিনের শুনানিতে দিল্লি পুলিশকে তিরস্কার করলেন ভারতের হাইকোর্ট। বিক্ষোভ দেখানো দেশের নাগরিকদের সাংবিধানিক অধিকারের মধ্যে পড়ে বলে জানিয়েছেন আদালত। জামা মসজিদের মধ্যে বিক্ষোভে নেতৃত্ব দিয়েছেন আজাদ এমন অভিযোগে তাকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। তবে মসজিদেও বিক্ষোভ দেখানো যায় বলে মত দেন আদালত। খবর আনন্দবাজার পত্রিকা’র।
সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের (সিএএ) বিরুদ্ধে জামা মসজিদে প্রতিবাদ মিছিল করা এবং হিংসায় মদত দেওয়ার অভিযোগে প্রায় এক মাস ধরে জেলবন্দি চন্দ্রশেখর আজাদ। আজ মঙ্গলবার দিল্লির তিস হাজারি কোর্টে তার জামিনের শুনানি হয়।
এ সময় সরকারের আইনজীবী অভিযোগ করেন যে, বিনা অনুমতিতে আজাদ বিক্ষোভ করেছিলেন। জামা মসজিদে ধর্না নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আজাদের একাধিক পোস্ট তুলে ধরেন তিনি। তবে বিচারক আইনজীবীর অভিযোগ আমলে নেননি। বিচারক কামিনী লউ বলেন, ‘ধর্নায় বসার মধ্যে ভুল কী আছে? প্রতিবাদই বা ভুল হতে যাবে কেন? প্রতিবাদ করা, ধর্নায় বসা এ সব নাগরিকদের সাংবিধানিক অধিকারের মধ্যেই পড়ে।’ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সহিংসতার কিছু ছড়িয়ে দেওয়ার মতো কিছু বা অসাংবিধানিক কোনও বার্তা ছিল না বলেও সাফ জানান বিচারক।
তিনি বলেন, ‘কোথায় হিংসা? পোস্টগুলিতে ভুল কী আছে? কে বলেছে প্রতিবাদ করা যাবে না? সংবিধানটা পড়ে দেখেছেন?’
প্রতিবাদ বা বিক্ষোভ দেখাতে গেলে আগে থেকে অনুমতি নিতে হয় বলে সরকারি আইনজীবী যুক্তি দেখাতে গেলে, তা খারিজ করে দেন বিচারক। তিনি বলেন, ‘কীসের অনুমতি? বিক্ষোভ রুখতে বার বার ১৪৪ ধারা জারি করা চলে না বলে সুপ্রিম কোর্টও জানিয়ে দিয়েছে। সংসদের বাইরেও অনেককে বিক্ষোভ দেখাতে দেখেছি। তাদের মধ্যে অনেকেই আবার রাজনীতিক, মুখ্যমন্ত্রী। আপনারা এমন করছেন যেন জামা মসজিদ পাকিস্তানে। আর যদি পাকিস্তানেই হয়, তাহলে সেখানেও বিক্ষোভ দেখানো যায়। কারণ অবিভক্ত ভারতের অংশ ছিল পাকিস্তান।’
তবে জামা মসজিদে দাঁড়িয়ে আজাদ প্ররোচনা মূলক মন্তব্যই করেছেন বলে পাল্টা দাবি করেন সরকারি আইনজীবী। তার ড্রোন ফুটেজও রয়েছে বলে জানান তিনি। সেগুলি আদালতে জমা দিতে বিচারকের কাছে সময় চান তিনি। আগামীকাল বিষয়টি নিয়ে শুনানি হওয়ার কথা। তবে আজাদের দাবি, তাঁর বিরুদ্ধে ভুয়ো অভিযোগ আনা হয়েছে।
এমএস/এসি