ঢাকা, শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৮ ১৪৩১

বাঘায় ভাগ্নিকে উত্তক্তের জেরে মামাকে কুপিয়ে হত্যা

রাজশাহী প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ১০:২১ পিএম, ১৪ জানুয়ারি ২০২০ মঙ্গলবার

ম্যাপে নির্দেশিত বাঘা ও লালপুর

ম্যাপে নির্দেশিত বাঘা ও লালপুর

রাজশাহীর বাঘায় ভাগ্নিকে উত্তক্তের জের ধরে মামা নাজমুল হোসেনকে (২৫) কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। এ সময় আহত হয়েছেন নিহতের ভাগ্নে তারিকুল ইসলাম ও ভগ্নিপতি শাহজাহান আলী মাস্টার। মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) সন্ধ্যা ৬টার দিকে উপজেলার সুলতানপুর গ্রামের ভোলার মোড়ে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত নাজমুল সুলতানপুর গ্রামের আলহাজ্ব আজিজুর রহমানের ছেলে। আহত শাহজাহান মাস্টার ও তলিকুল ইসলামের বাড়িও একই গ্রামে।

বাঘা থানার ওসি নজরুল ইসলাম বলেন, শাহজাহান মাস্টার ভোলার মোড়ে বসে ছিলেন। এ সময় পাশের উপজেলা নাটোরের লালপুরের মনিহারপুর গ্রামের ১০-১৫ জন যুবক ধারালো অস্ত্র ও লাঠিসোটা নিয়ে শাহাজান মাস্টারের উপর হামলা করে। এ খবর পেয়ে তার শ্যালক নাজমুল হোসেন ও ছেলে তারিকুল ইসলাম সেখানে যায়। এ সময় তাদের মধ্যে ওই যুবকরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে তিনজনকে জখম করে চলে যায়। পরে স্থানীয় লোকজন তারিকুল ও নাজমুলকে উদ্ধার করে বাঘা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক কামরুন নাহার কান্তা নাজমুলকে মৃত ঘোষণা করেন। আহত শাহজাহান মাস্টারকে লালপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

ওসি নজরুল বলেন, লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানোর ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে লালপুর থানা পুলিশকে অবগত করা হয়েছে। খুনিদের ধরতে দুই থানার পুলিশ যৌথ অভিযান চালাবে বলে জানান তিনি।

চিকিৎসক কামরুন নাহার বলেন, হাসপাতালে নিয়ে আসার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে। তার শরীরে একাধিক ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণে তার মৃত্যু হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছেন তিনি। 

আহত তারিকুল ইসলাম জানান, তার বোনকে বিভিন্ন সময়ে উত্ত্যক্ত করতো লালপুরের মনিপুর গ্রামের আরজেদ আলীর ছেলে সুমন। মঙ্গলবার দুপুরে বিষয়টি নিয়ে সুমনের বাবার কাছে অভিযোগ করে তার বাবা (শাহজাহান)। এর জের ধরে সন্ধ্যায় সুমন দলবল নিয়ে গিয়ে তার বাবার উপর হামলা চালানোর চেষ্টা করে। মুঠোফোনে খবর পেয়ে দ্রুত সেখানে গেলে হামলাকারীরা তার মামা নাজমুলকে কুপিয়ে হত্যা করে। এ সময় বাধা দিতে গেলে তাকে ও তার বাবাকে কুপিয়ে জখম করে দুর্বৃত্তরা চলে যায়।

এনএস/