ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৭ ১৪৩১

মিন্নির ভাগ্য নির্ধারণ বুধবার

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১০:৫১ পিএম, ১৪ জানুয়ারি ২০২০ মঙ্গলবার

বাবার সঙ্গে মিন্নি

বাবার সঙ্গে মিন্নি

বরগুনার আলোচিত রিফাত শরীফ হত্যা মামলার আসামি আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নির ভাগ্য নির্ধারণ হবে আগামীকাল বুধবার। এদিন মিন্নিকে উচ্চ আদালতের দেয়া জামিন বাতিলের বিষয়ে কারণ দর্শানো (শোকজ) নোটিশের জবাব বরগুনার আদালতে উপস্থাপন করা হবে। 

মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত বরগুনার জেলা ও দায়রা জজ আদালত এবং জেলা শিশু আদালতে পাঁচজন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়। 

এদিকে, সাক্ষ্যগগ্রহণকালে ডিগ্রী ১ম বর্ষের পরীক্ষা থাকায় আদালতের অনুমতি নিয়ে বরগুনা সরকারি মহিলা কলেজ কেন্দ্রে গিয়ে পরীক্ষায় অংশ নেন নিহত রিফাতের স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নি। এ সময় কারাগারে একই পরীক্ষায় অংশ নেন দুই আসামি আল কাইউম ওরফে রাব্বি আকন ও মো. সাগর।

আলোচিত এ মামলায় জামিনে থাকা আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নির জামিন কেন বাতিল হবে না -এ মর্মে বুধবার আদালতের শোকজের জবাব দেবেন সংশ্লিষ্ট আইনজীবী। জবাবের পর মিন্নির জামিন বাতিলেরর আবেদনের বিষয়ে আদেশ প্রদান করবেন বরগুনার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. আসাদুজ্জামান। 

আদালত সূত্রে জানা গেছে, সকাল সাড়ে ৯টার দিকে রিফাত হত্যা মামলার প্রাপ্তবয়স্ক ১০ আসামির সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু করেন বরগুনার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. আছাদুজ্জামান। এসময় আদালতের বিচারক নিহত রিফাতের চাচা আবদুল আজিজ শরীফ, লতিফ শরীফসহ অপর এক সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ সম্পন্ন করেন। সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে তিনজন সাক্ষীকেই জেরা করেন আসামি পক্ষের ১০ আইনজীবী।

এরপর দুপুর ২টার দিকে বরগুনার শিশু আদালতে রিফাত হত্যা মামলার অপ্রাপ্তবয়স্ক ১৪ আসামির সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু করেন আদালতের বিচারক মো. হাফিজুর রহমান। নিহত রিফাতের মা ডেইজি বেগম এবং চাচাতো বোন নুসরাত জাহান অনন্যার সাক্ষ্যগ্রহণ সম্পন্ন করেন বিচারক মো. হাফিজুর রহমান। 

সাক্ষ্য দেয়ার সময় ছেলে হত্যার বর্ণনা দিতে গিয়ে বারবার আদালতে ভেঙে পড়েন ডেইজি বেগম। পরে তাদেরও আসামি পক্ষের আইনজীবীরা জেরা করেন।

গত ২৬ জুন বরগুনা সরকারি কলেজের সামনে রিফাত হত্যাকাণ্ড ঘটে। গত ১ সেপ্টেম্বর বিকেলে ২৪ জনকে অভিযুক্ত করে প্রাপ্তবয়স্ক ও অপ্রাপ্তবয়স্ক- এ দু ভাগে বিভক্ত করে আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করে পুলিশ। এর মধ্যে প্রাপ্তবয়স্ক ১০ এবং অপ্রাপ্তবয়স্ক ১৪ জন।

এ মামলার চার্জশিটভুক্ত প্রাপ্তবয়স্ক আসামি মো. মুসা এখনো পলাতক রয়েছেন। এছাড়া নিহত রিফাতের স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নি ও অপ্রাপ্তবয়স্ক আসামি প্রিন্স মোল্লা উচ্চ আদালতের আদেশে এবং বরগুনার শিশু আদালতের আদেশে মারুফ মল্লিক এবং আরিয়ান হোসেন শ্রাবণ জামিনে রয়েছেন। আর বাকি আসামিরা এখন কারাগারে।

গত ১ জানুয়ারি মামলার প্রাপ্তবয়স্ক ১০ আসামির বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করেন বরগুনা জেলা ও দায়রা জজ আদালত। অন্যদিকে, ৮ জানুয়ারি রিফাত হত্যা মামলার অপ্রাপ্তবয়স্ক ১৪ আসামির বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করেন বরগুনার শিশু আদালত।

এনএস/