মাঘের প্রথম দিনেই কুয়াশার চাদরে ঢাকা চারপাশ
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৮:৩৯ এএম, ১৫ জানুয়ারি ২০২০ বুধবার
মাঘের প্রথম দিনেই শৈত্য প্রবাহ আর কুয়াশার মাত্রা বেড়েছে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে। উত্তরের জেলায় বেড়েছে দুর্ভোগ। এছাড়াও হিমেল বাতাস আর ঘন কুয়াশা শীতের মাত্রাকে বাড়িয়ে দেয়ায় বেড়েছে শীত জনিত রোগবালাই। কাজে যেতে না পেরে বিপাকে পড়েছেন দিনমজুর, শ্রমজীবী আর খেটে খাওয়া মানুষ। শীতবস্ত্র প্রয়োজন এসব অঞ্চলে।
সারাদেশে বেড়েছে শীতের তীব্রতা। কুয়াশার চাদরে ঢাকা চারিপাশ। হিমেল বাতাস আর ঘন কুয়াশায় জীবন অচল।
বিপাকে আছে রংপুরের দরিদ্র আর শ্রমজীবী মানুষ। কাজের সন্ধানে কুায়াশার মধ্যে বের হলেও মিলছে না কাজ। মহাসড়কে যান চলছে হেডলাইট জ্বালিয়ে ধীর গতিতে। গত ৮ দিনে ঘন কুয়াশার কারণে রংপুর-ঢাকা ও রংপুর-দিনাজপুর মহাসড়কে ২০টি দুর্ঘটনায় ৬ জন নিহত হন।
ঠাকুরগাঁওয়ে মধ্যরাতের পর থেকে প্রায় দুপুর পর্যন্ত পড়ছে বৃষ্টির মতো ঘন কুয়াশা।
শৈত্য প্রবাহ, হিমেল বাতাস আর তীব্র শীতের কারণে বিপর্যস্ত জনজীবন। প্রত্যন্ত অঞ্চলে গরম কাপড়ের অভাবে খড়খুটো জ্বালিয়ে চলছে শীত নিবারণের চেষ্টা।
নতুন করে গাইবান্ধায়ও বেড়েছে শীতের প্রকোপ। শীতবস্ত্রের অভাবে আছে শীতার্তরা। বেড়েছে গেছে ঠাণ্ডা জনিত রোগবালাই। প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হচ্ছে না মানুষ।
দেশের সবচেয়ে উত্তরের জনপদ দিনাজপুরের হিলিতে জেঁকে আছে শীত। তীব্র ঠাণ্ডায় স্কুলে যেতে না পারায় লেখা পড়ায় ব্যাঘাত ঘটছে শিক্ষার্থীদের। কষ্টে আছে খেটে খাওয়া দিনমজুর, হতদরিদ্র আর ছিন্নমূল মানুষ।
চাঁপাইনবাবগঞ্জে বয়ে যাওয়া শৈত প্রবাহে জনজীবন ব্যহত হচ্ছে। বিশেষ করে নিম্ন আয়ের মানুষ প্রচন্ড ঠাণ্ডায় কাজে বের হতে পারছেন না। চাঁপাইনবাবগঞ্জ-সোনামসজিদ মহাসড়কে যান চলাচল কমে গেছে। কুয়াশায় হেডলাইট চালিয়ে যান চলাচল করতে দেখা গেছে। এদিকে, ফুটপাতের গরম কাপড়ের দোকানগুলোতে ভিড় লক্ষ করা গেছে।
টানা কয়েকদিনের শৈত প্রবাহ আর ঘন কুয়াশায় জামালপুরের জনজীবন স্থবির হয়ে পড়েছে। ঠাণ্ডার কারণে দুর্ভোগে নিম্ন আয়ের মানুষ। দিনের বেলায় হেড লাইট জ্বালিয়ে চলছে গাড়ি। আগুন জ্বালিয়ে চলছে শীত নিবারণের চেষ্টা।
শীতার্ত মানুষের শীত বস্ত্রের পাশাপাশি প্রয়োজন খাদ্য আর চিকিৎসা সহযোগিতা।
একে//