ঢাবি ছাত্রীকে ধর্ষণ: সীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিলেন মজনু
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৯:১৫ পিএম, ১৬ জানুয়ারি ২০২০ বৃহস্পতিবার
রাজধানীর কুর্মিটোলায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের ঘটনায় আদালতের কাছে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন র্যাবের হাতে আটক মজনু।
বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন তিনি। পরে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
গত ৯ জানুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে আটক মজনুকে সাত দিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার অনুমতি দেন আদালত।
রিমান্ড শেষ হওয়ার একদিন আগেই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আবু সিদ্দিক আদালতে আসামির স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ডের আবেদন করলে আদালত তা মঞ্জুর করে বিচারকের খাস কামড়ায় নেয়। বিকেল সাড়ে ৫টা নাগাদ মজনুর জবানবন্দি রেকর্ড শেষ হয়।
এর আগে গত ১০ জানুয়ারি ঘটনার বর্ণনা দিয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ২২ ধারায় জবানবন্দি দেন ঢাবি শিক্ষার্থী। তখন মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ইয়াসমিন আরা তার জবানবন্দি রেকর্ড করেন। ওই ছাত্রী সেদিন বিচারকের কাছে ঘটনার বিস্তারিত বর্ণনা দেন।
প্রসঙ্গত, গত ৫ জানুয়ারি সন্ধ্যা সাড়ে ৫টার দিকে ঢাবির নিজস্ব বাস ক্ষণিকায় রওনা দেন তিনি। সন্ধ্যা ৭টার দিকে কুর্মিটোলা বাসস্ট্যান্ডে বাস থেকে নামেন। এরপর একজন অজ্ঞাত ব্যক্তি তার মুখ চেপে ধরে সড়কের পেছনে নির্জন স্থানে নিয়ে যায়। ধর্ষণের পাশাপাশি তাকে শারীরিক নির্যাতনও করা হয়। তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের ক্ষতচিহ্ন পাওয়া গেছে। ধর্ষণের এক পর্যায়ে তিনি অজ্ঞান হয়ে যান।
এরপর রাত ১০টার দিকে নিজেকে একটি নির্জন জায়গায় আবিষ্কার করেন ওই ছাত্রী। পরে সিএনজি নিয়ে ঢামেকে আসেন। রাত ১২টার দিকে ওই ছাত্রীকে ঢামেক হাসপাতালের ওয়ান-স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) ভর্তি করান তার সহপাঠীরা।
পরে ভুক্তভোগী ছাত্রীর দেয়া বর্ণনা অনুযায়ী বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে ৮ জানুয়ারি গ্রেফতার করা হয় মজনুকে।
এআই/এসি