ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৮ ১৪৩১

মুশফিকদের সমর্থনে মাঠে অভিনেত্রী মৌসুমি!

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৮:৩৭ পিএম, ১৭ জানুয়ারি ২০২০ শুক্রবার

মৌসুমি হামিদ

মৌসুমি হামিদ

বঙ্গবন্ধু বিপিএলের ফাইনালে মিরপুর-শের-ই বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে মুখোমুখি খুলনা টাইগার্স এবং রাজশাহী রয়্যালস। অপেক্ষার পালা শেষ হচ্ছে কিছুক্ষণের মাঝেই, ফয়সলা হয়ে যাবে বঙ্গবন্ধু বিপিএলের শিরোপা উঠছে কার হাতে। যা উপভোগ করতে মাঠে উপস্থিত জনপ্রিয় অভিনেত্রী মৌসুমি হামিদ।

শুক্রবার সন্ধ্যার এ ম্যাচে টস হেরে ব্যাট করছে রাজশাহী। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ১৯ ওভারে রাজশাহীর সংগ্রহ ৪ উইকেটে ১৪০ রান। ইরফান শুক্কুর ফিফটি হাঁকিয়ে আউট হন। আন্দ্রে রাসেল ১৯ রানে এবং নওয়াজ ২৮ রানে ক্রিজে আছেন।

এদিকে, পুরো বিপিএলজুড়ে দর্শক খরা থাকলেও উত্তেজনাময় এ ম্যাচ উপলক্ষ্যে মিরপুরের গ্যালারি আজ দর্শকে ভরে উঠেছে কানায় কানায়। এর আগে নানারকম ক্ষোভ, দুঃখ, অভিমান থেকে দর্শকরা খেলা দেখতে স্টেডিয়ামে না গেলেও সবকিছুর অবসান হয়ে গেল আজকের ফাইনালে।

গ্যালারিতে তিল ধারণের জায়গা নেই। আয়োজকদের হিসাবমতে, আজ সাড়ে ২৭ হাজারের বেশি দর্শক দেখছেন আজকের ফাইনাল। ফাইনালকে ঘিরে দর্শকদের আগ্রহ সত্যিই বিস্ময় জাগানিয়া। কেননা, পুরো টুর্নামেন্টের বেশিরভাগ ম্যাচেই কাউন্টারে বসে মাছি মারতে দেখা গেছে টিকিট বিক্রেতাদের। স্টেডিয়ামের গ্যালারিও ছিল ধূ ধূ মরুভূমি। শুক্রবারের ম্যাচগুলোতে শুধু দেখা মিলত দর্শকদের। অন্যান্য দিনগুলোতে একই দৃশ্য, শূন্য গ্যালারি।

আর দর্শকভর্তী মিরপুরের গ্যালারিতেই দেখা মিলল মৌসুমির। রাজশাহীর বিপক্ষে বিপিএলের ফাইনালে মূলত মুশফিকদের সমর্থন দিতেই মাঠে হাজির হয়েছেন এই লাক্স তারকা। 

৩১ বছর বয়সী মৌসুমি আসলে খুলনার সাপোর্টার। কারণ খুলনার সাথে তার নাড়ির সম্পর্ক। কী, বুঝতে পারলেন না? তাহলে জেনে নিন, অভিনেত্রী মৌসুমির বাড়ি সাতক্ষীরার তালা-তে। পড়াশুনাও করেছেন খুলনা শহরের সরকারি আজম খান কমার্স কলেজে।  

এদিকে, দর্শকদের এই ঢল নামায় কালোবাজারিদেরও চলছে রমরমা ব্যবসা। গত একমাস টুর্নামেন্ট চলাকালীন এইসব কালোবাজারিদের মলিন মুখে টিকিট হাতে ঘুরতে দেখা গেছে। দুপুরের আগেই কাউন্টারগুলোতে টিকিট শেষ হয়ে গেছে। 

কিন্তু কালোবাজারিদের কাছে পাওয়া গেছে ফাইনালের টিকিট। আর সেখানে টিকিটের মূল্য বেড়ে দাঁড়িয়েছে তিনগুণ। এমনকী বিসিবির দেওয়া ভলান্টিয়ার আইডি কার্ড গলায় ঝুলিয়ে কালোবাজারে টিকিট বিক্রি করতে দেখা গেছে। সব মিলিয়ে যেন প্রাণ ফিরেছে হোম অব ক্রিকেট মিরপুরে।

এনএস/