উত্তেজনা ছড়ালো শেষ ৩ ওভারের তাণ্ডব
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ১০:০৬ পিএম, ১৭ জানুয়ারি ২০২০ শুক্রবার
আন্দ্রে রাসেল ও মোহাম্মদ নওয়াজ
জিতলেই হাতে উঠবে স্বপ্নের ট্রফি। এমনই ম্যাচের শুরুতেই একবার হেরে বসে রাজশাহী রয়্যালস। আজ মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে মুদ্রা নিক্ষেপের লড়াইয়ে হেরে রাসেলদের নামতে হয় ব্যাটিংয়ে। খুলনা অধিনায়কের সিদ্ধান্তটা যে সময়োপযোগীই ছিল। লিটনদের দীর্ঘ সময় চেপে রেখে লক্ষ্যটা নাগালে রাখার চেষ্টায় ছিল খুলনা।
কিন্তু শেষ তিন ওভারে যেন এলোমেলো হয়ে গেল সব, পাল্টে গেল দৃশ্যপট। খোলস ছেড়ে বেরিয়ে এলো রাজশাহী কিংস। ১৭ ওভার শেষে ১১৬ রান তোলা রাসেলরা দেড় শ তুলতে পারবে কিনা তা নিয়েই জেগেছিল সশংয়। তবে শঙ্কাটা উড়িয়ে দিয়েছেন আন্দ্রে রাসেল ও মোহাম্মদ নওয়াজ। দুজনের ব্যাট হঠাৎই যেন হয়ে উঠল তলোয়ার। যাতে শেষ তিন ওভারে রাজশাহী স্কোরবোর্ডে যোগ করল ৫৪ রান!
এদিন খুলনার বোলারদের রীতিমত কচুকাটা করলেন নওয়াজ-রাসেল। ইনিংসের ১৮তম ওভারে রবি ফ্রাইলিঙ্ককে দিয়ে তাণ্ডবের শুরু। ওই ওভারে নওয়াজ নিলেন ২১ রান। পরের ওভারে মোহাম্মদ আমিরকে বেধড়ক পিটিয়ে রাসেল-নওয়াজ মিলে যোগ করলেন আরও ১৮ রান। আর শেষ ওভারে বল করতে আসা শফিউল ইসলামেরও হলো না শেষ রক্ষা। দারুণ বোলিংয়ের পরও তিনি দিলেন ১৫ রান।
মূলত, এই শেষ তিন ওভারের তাণ্ডবেই রাজশাহী রয়্যালস পেয়েছে চ্যালেঞ্জিং সংগ্রহ। নির্ধারিত ওভার শেষে রাসেলদের সংগ্রহ দাঁড়ায় চার উইকেটে ১৭০ রান। আসলে পরিস্থিতিই রাজশাহীকে চাপের মুখে ফেলে দিয়েছিল। লিটন দাসের মন্থর গতির ব্যাটিংই এর জন্য দায়ী।
২৮ বলে একটি করে চার ছক্কায় মাত্র ২৫ রান করেছেন তিনি। আরেক ওপেনার আফিফ হোসেন ৮ বলে করেন ১০ রান। শোয়েব মালিকের ব্যাট থেকে এসেছে ১৩ বলে ৯। এই ত্রয়ীর প্রস্তর যুগের ব্যাটিং পুষিয়ে দিয়েছেন ইরফান শুক্কুর, অধিনায়ক রাসেল ও নওয়াজ। প্রথমজন ৩৫ বলে ৫২ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলে বিদায় নেন।
ইনিংসে ছয়টি চারের সঙ্গে দুটি চার মেরেছেন তিনি। শুক্কুরের মতো নওয়াজেরও বাউন্ডারি সংখ্যা একই। কুড়ি বলে ৪১ রানে অপরাজিত থাকলেন পাকিস্তানি অলরাউন্ডার। আর ১৬ বলে ২৭ রানে অজেয় থাকা রাসেলের ইনিংসে ছিল তিনটি ছক্কা। রাজশাহীর পতন হওয়া উইকেটের দুটি নিয়েছেন মোহাম্মদ আমির।
তবে দারুণ বোলিং করেও শেষ পর্যন্ত লক্ষ্যমাত্রা হাতের নাগালে রাখতে পারেননি খুলনা। তাই জয়ের জন্য চ্যালেঞ্জটা নিতে হচ্ছে ব্যাটসম্যানদের। মুশফিকরা পারবেন তো ১৭১ রানের লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছাতে? এ প্রশ্নের জবাব পেতে অপেক্ষা করতে হচ্ছে শেষ পর্যন্ত।
এনএস/