ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৮ ১৪৩১

পাকিস্তান সফর থেকে এবার গুটিয়ে নিলেন ৫ বিদেশি স্টাফ

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০২:০১ পিএম, ১৮ জানুয়ারি ২০২০ শনিবার

পরিবারের ভয়ের কারণে আসন্ন পাকিস্তান সফর থেকে আগেই নিজের নাম প্রত্যাহার করে নিয়েছেন টাইগারদের নির্ভরতার প্রতীক মি. ডিপেন্ডাবল খ্যাত মুশফিকুর রহিম। এবার এ সফর থেকে নিজেকে গুটিয়ে নিলেন আরও ৫ বিদেশি কোচিং স্টাফ।

হেড কোচ রাসেল ডোমিঙ্গো আর ফিজিও ক্যালেফ্যাতো শুরু থেকেই সফরে রাজি থাকলেও বিপরীত গুরুত্বপূর্ণ পাঁচ বিদেশি কোচিং স্টাফদের মাঝে। 

জানা গেছে, ২২ জানুয়ারি পাকিস্তান সফরে যাচ্ছেন না স্পিন কোচ ডেনিয়েল ভেট্টরি, ফিল্ডিং কোচ রায়ান কুক, ব্যাটিং কোচ নেইল ম্যাকেঞ্জি। এমনকি পাকিস্তানে যেতে অসম্মতি জানিয়েছেন কম্পিউটার বিশ্লেষক শ্রীনিবাসন চন্দ্রশেখরন। এছাড়াও দলের সঙ্গে যাচ্ছেন ট্রেনার মারিও ভিল্লাভারায়ন। 

অবশ্য তার না যাওয়ার কারণ হলো,  তিনি নিজেই চোটে পড়েছেন। ক্রিকবাজকে এমন খবর নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট অপারেশন চেয়ারম্যান আকরাম খান।

তিনি বলেন,‘আমরা মুশফিকের চিঠি পেয়েছি। ব্যক্তিগত কারণে পাকিস্তান সফরে থাকবে না সে।’

তিনি আরও বলেন, ‘অবশ্য দ্বিতীয় ও তৃতীয় ধাপের সফরে থাকবেন কি-না তা নিশ্চিত করা হয়নি। তবে বাংলাদেশ জাতীয় দলের প্রধান কোচ রাসেল ডমিঙ্গোর পাকিস্তানে যেতে সমস্যা নেই। সমস্যা নেই দক্ষিণ আফ্রিকান ফিজিও জুলিয়ান ক্যালিফাতোরও।’

তবে এসব জায়গায় স্থানীয় স্টাফদের অন্তবর্তী দায়িত্ব দিয়ে পাঠানো হচ্ছে। স্পিন পরামর্শক হিসেবে এই সফরে যাবেন স্থানীয় কোচ সোহেল ইসলাম। বাড়তি দায়িত্ব হিসেবে প্রধান কোচ ডমিঙ্গো পূরণ করবেন ম্যাকেঞ্জির অভাব। ট্রেনার মারিওর জায়গায় পাকিস্তান যাবেন দেশি ট্রেনার তুষার কান্তি হাওলাদার।

এদিকে, দায়িত্ব নেয়ার কয়েক মাসের মাথায় পেস বোলিংয়ের কোচের পদ ছেড়ে দিয়ে নিজ দেশে পাড়ি জমিয়েছেন প্রোটিয়া চার্লস ল্যাঙ্গাভেল্টে। তাই বর্তমানে পদটি ফাঁকাই রয়েছে। এ সফরে টাইগারদের খন্ডকালীন দায়িত্ব পালন করবেন বাংলাদেশ এইচপি দলের লংকান কোচ চম্পাকা রমানায়েকে।  

এদিকে দরজায় কড়া নাড়ছে পাকিস্তান সফর। তাই আগামিকাল রোববার থেকে তিন দিনের প্রস্তুতি শিবির শুরু হচ্ছে। ফলে আজ শনিবার দল দেওয়া ছাড়া আসলে উপায়ও নেই। 

দেশের ক্রিকেটের অন্যতম শীর্ষ তারকা ‘পঞ্চ পান্ডবের’ অন্যতম সদস্য মুশফিকুর রহীম এ সফরে না গেলও এ মুহূর্তে যারা জাতীয় দলকে প্রতিনিধিত্ব করতে পারেন এবং টি-টোয়েন্টি দলে বিবেচনায় আসতে পারেন, তাদের প্রায় সবাই থাকছেন এ সফরে। ক্রিকেটারদের মধ্যে শুধু মুশফিকই যাবেন না।

তিন সংস্করণেই বাংলাদেশের অবিচ্ছেদ্য এ ব্যাটসম্যান না থাকলে মিডল অর্ডারে ভুগতে হয় টাইগারদের। তবে মুশফিক নিজে বলছেন, তার কিংবা যে কারো বিকল্প পেতে বাংলাদেশে এক ঘণ্টার বেশি সময় লাগে না। তাই, টিম ম্যানেজমেন্টকে তার জায়গায় কাকে নেয়া যেতে পারে তা নিয়ে রয়েছে বাড়তি চিন্তা। 

আসন্ন এ টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম বল মাঠে গড়ানোর কথা রয়েছে ২৪ জানুয়ারি লাহোরে। দ্বিতীয়টি পরদিনই। এরপর একদিনের বিশ্রাম। ২৭ জানুয়ারি তৃতীয় ম্যাচ দিয়ে শেষ হবে সিরিজটি।  

এআই/