ঢাকা, সোমবার   ২৫ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ১০ ১৪৩১

বিজেপির নয়া সভাপতি কে এই নাড্ডা

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৭:১৩ পিএম, ২০ জানুয়ারি ২০২০ সোমবার

বিজেপির নয়া সভাপতি নাড্ডাকে শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন মোদি ও অমিত শাহ

বিজেপির নয়া সভাপতি নাড্ডাকে শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন মোদি ও অমিত শাহ

বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি নির্বাচিত হলেন জগৎপ্রকাশ নাড্ডা। গত এক বছর ধরে দলের কার্যকরী সভাপতির দায়িত্ব সামলাচ্ছিলেন তিনি। সোমবার নয়াদিল্লিতে দলের সদর দফতরে সর্বসম্মতিক্রমে তার হাতে দলের দায়িত্ব তুলে দেয়া হয়। আগামী তিন বছরের (২০২০-২২) জন্য সভাপতির দায়িত্ব সামলাবেন নাড্ডা।

এদিন সকাল ১০টা থেকে সভাপতি নির্বাচন প্রক্রিয়া শুরু হয়। বেলা সাড়ে ১০টা নাগাদ সেখানে মনোনয়নপত্র জমা দেন নাড্ডা। অন্য কেউ ওই পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা না করায়, ভোটাভুটি ছাড়াই দুপুর আড়াইটা নাগাদ দলের সভাপতি হিসাবে নাড্ডার নাম ঘোষণা করেন রাধামোহন সিংহ।

ভোটাভুটি চলাকালীন এ দিন বিজেপির দফতরে হাজির ছিলেন অমিত শাহ, রাজনাথ সিংহ, নিতিন গডকরী-সহ বিজেপির কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা। ছিলেন বিজয় রুপানি, বিজয় গোয়েল, বাবুল সুপ্রিয়রাও।

এর আগে দলের সভাপতি পদ সামলেছেন অমিত শাহ। কিন্তু গত বছর লোকসভা নির্বাচনে জিতে নরেন্দ্র মোদী দ্বিতীয় বারের জন্য প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হলে, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হিসাবে তার সরকারে যোগ দেন অমিত শাহ। এক সঙ্গে দুই দায়িত্ব সামলানো সম্ভব নয় বলে গত বছর জুন মাসেই নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি লিখে জানিয়েছিলেন অমিত।

তখন থেকেই তার উত্তরসুরি হিসাবে উঠে আসছিল নাড্ডার নাম। তবে খাতা কলমে নাড্ডা বিজেপির সভাপতি হলেও, দলের আসল নিয়ন্ত্রণ অমিত শাহের হাতেই থাকবে বলে মত সমালোচকদের। যদিও বিজেপির তরফে এই অভিযোগ খারিজ করা হয়েছে।

মূলত, ছাত্র জীবন থেকে সঙ্ঘের (আরএসএস) সঙ্গে যুক্ত ছিলেন নাড্ডা। মোদী- অমিত শাহের ঘনিষ্ঠজন বলেই পরিচিত তিনি। তিন-তিন বার হিমাচল প্রদেশের বিধায়ক নির্বাচিত হন নাড্ডা। রাজ্যের স্বাস্থ্য এবং বন, পরিবেশ ও  বিজ্ঞান দফতরের দায়িত্বও সামলেছেন। 

গত নির্বাচনে নাড্ডা রাজনৈতিকভাবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ রাজ্য উত্তরপ্রদেশে বিজেপির নির্বাচনী প্রচারের দায়িত্বে ছিলেন। সেখানে সমাজবাদী পার্টি (এসপি) এবং বহুজন সমাজ পার্টির মহাজোটের বিরুদ্ধে কঠিন চ্যালেঞ্জ নিয়েও সাফল্য এনে দিয়েছিলেন নাড্ডা।

ইউপিএ সরকারকে কোণঠাসা করতে ২০১০ থেকে দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সঙ্গে কাজ করতে শুরু করেন তিনি। ২০১২-তে রাজ্যসভার সাংসদ নির্বাচিত হন। 

তার ছকেই উত্তরপ্রদেশের ৮০টি লোকসভা আসনের মধ্যে ৬২টিতে জয়লাভ করে বিজেপি। এছাড়াও মোদি সরকারের প্রথম মন্ত্রিপরিষদের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব সামলেছেন নাড্ডা এবং বিজেপির সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী শীর্ষ সংসদীয় বোর্ডের সদস্যও ছিলেন তিনি।

২০১৪ সালে নরেন্দ্র মোদী ক্ষমতায় এলে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য এবং পরিবার কল্যাণ দফতরের দায়িত্ব পান নাড্ডা। আর ২০১৯-এর জুনে বিজেপির কার্যকরী সভাপতি নিযুক্ত হন। তাই, সবকিছু মিলিয়ে শুরু থেকেই বিজেপির সভাপতি হওয়ার দৌড়েও এগিয়ে ছিলেন মোদি ও অমিত শাহ'র ঘনিষ্ঠ এই জেপি নাড্ডা। সূত্র- আনন্দবাজার পত্রিকা। 

এনএস/