ঢাকা, মঙ্গলবার   ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪,   পৌষ ৯ ১৪৩১

বিয়ের দিনে কনের বাড়িতে হামলা, আহত ৪

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১১:০২ পিএম, ২২ জানুয়ারি ২০২০ বুধবার

ঢাকার নবাবগঞ্জে বিয়ের দিনে কনের বিয়ে বাড়িতে হামলা চালিয়ে ৪ জনকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে জখম করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ভুক্তভোগী পরিবারের অভিযোগ কনের সাবেক স্বামী এই ঘটনা ঘটিয়েছে। 

বুধবার ভোর রাতে উপজেলার নয়নশ্রী ইউনিয়নের ছোট গোল্লা চকপাড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এঘটনায় সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় কনের সাবেক স্বামীর পরিবারসহ ১২-১৩ জনের বিরুদ্ধে নবাবগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দেয়া হয়েছে। 

আহতরা হলেন, কনের বাবা অনিল বাড়ৈ (৬৫), মা বিশখা বাড়ৈ (৫৫), ভাই রনজিৎ বাড়ৈ ও রনজিতের স্ত্রী পূর্ণিমা বাড়ৈ (১৮)। আহত অনিল বাড়ৈ ও রনজিৎ বাড়ৈকে পিজি হাসপাতালে এবং বিশখা ও পূর্ণিমাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। 

আহত অনিল বাড়ৈর বড় মেয়ে মুক্তা রায় অভিযোগ করে জানান, কয়েক বছর আগে উপজেলার কান্দামাত্রা গ্রামের জয়ন্ত মল্লিকের সাথে ছোট বোন আনিকা বাড়ৈর বিয়ে হয়েছিল। নেশাগ্রস্থ স্বামীর সাথে প্রায় এক বছর আগে ছাড়াছাড়ি হয়ে যায়। ২২ জানুয়ারি বুধবার ছোট বোনের দ্বিতীয় বিয়ের তারিখ ধার্য করা ছিল। হিন্দু ধর্মমতে ভোরে অধিবাস (গায়ে হলুদ) হওয়ার কথা ছিল। ভোর রাত সাড়ে ৩টার দিকে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে ভাই রণজিৎ বাড়ৈ ঘরের বাইরে বের হয়। 

এসময় বাড়ির উঠানে আগে থেকে ওঁত পেতে ছিল সাবেক স্বামী জয়ন্ত মল্লিকসহ ১২-১৩ জনের সশস্ত্র একটি দল। ঘরের বাইরে যাওয়া মাত্র রণজিৎকে মুখ চেপে ধরে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে আহত করে হামলাকারীরা। তার চিৎকার শুনে রণজিতের স্ত্রী পূর্ণিমা বাড়ৈ এগিয়ে গেলে তাকেও ছুড়িকাঘাত করা হয়। পরবর্তীতে বাবা অনিল বাড়ৈ ও মা বিশখা বাড়ৈকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে আহত করে পালিয়ে যায় হামলাকারীরা। ভোরেই আহতদের চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। 

আণিকা বাড়ৈ অভিযোগ করেন, হামলাকারী জয়ন্ত মল্লিকসহ কয়েকজনকে আমরা চিনেছি। ওরা আমার বাবা অনিল বাড়ৈর বাম কান ও ভাই রণজিৎ বাড়ৈর দুই কান এবং ডান হাত ধারালো অস্ত্র দিয়ে ছিন্ন করেছে। এছাড়া মা বিশখা ও ভাইয়ের স্ত্রী পূর্ণিমাকে পেটে ছুরিকাঘাত করা হয়েছে। এর মধ্যে রণজিৎ বাড়ৈর অবস্থা আশংঙ্কাজনক।

বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় নবাবগঞ্জ থানার ডিউটি অফিসার উপপরিদর্শক আব্দুল জলিল অভিযোগ পাওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, থানার উপপরিদর্শক সুজন বিশ্বাসকে সরেজমিনে পাঠানো হচ্ছে।

কেআই/এসি