ঢাকা, মঙ্গলবার   ২৬ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ১১ ১৪৩১

বিজিএমইএ ভবন ভাঙতে সময় লাগবে ছয় মাস

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১১:২৭ এএম, ২৩ জানুয়ারি ২০২০ বৃহস্পতিবার

ভেঙে ফেলা হচ্ছে হাতিরঝিল জলাশয়ের মধ্যে নির্মিত বিজিএমইএ ভবন। নানা আলোচনা-সমালোচনার পর অবশেষে অপসারণের কাজ শুরু হয়েছে। গতকাল বুধবার প্রথম দিন ভবনটির নিচতলার কয়েকটি টাইলস মেশিনের সাহায্যে ভেঙে দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে অপসারণের কাজ শুরু করেন গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম। এক সপ্তাহের মধ্যে পুরোদমে ভবন ভাঙার কাজ শুরু হলেও পুরো ভবন অপসারণে সময় লাগবে অন্তত ছয় মাস।

এর আগে বিজিএমইএ ভবন অপসারণে ডিনামাইটের মতো ভয়াবহ বিস্ম্ফোরক ব্যবহারের কথা শোনা গেলেও সে পদ্ধতিতে ভবনটি অপসারণ করা হচ্ছে না। শেষ পর্যন্ত সনাতন পদ্ধতিতেই ভাঙা হচ্ছে ভবনটি।

ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ফোর স্টার এন্টারপ্রাইজের প্রতিনিধি মোহাম্মদ মুরাদ জানান, ‘সনাতন পদ্ধতিতে ভাঙা হলেও জননিরাপত্তার বিষয়ে তারা সদাসতর্ক। নিরাপত্তার ভাবনা থেকে ভবনটি ভাঙতে আধুনিক যন্ত্রপাতি ব্যবহার করা হবে। প্রথমে প্রতিটি ফ্লোরের কিছু অংশ ভেঙে দেওয়া হবে। তারপর ভারী মেশিনে কম্পন সৃষ্টির মাধ্যমে প্রতিটি ফ্লোরের কাঠামো দুর্বল করে আলগা করা হবে।’

তিনি জানান, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) কাছ থেকে তারা ছয় মাস সময় নিয়েছেন। এই সময়ের মধ্যেই ভাঙার কাজ শেষ করা হবে।

ভবনটি ভাঙা প্রসঙ্গে বিজিএমইএর বর্তমান সভাপতি রুবানা হক বলেন, ‘ভবনটি উচ্ছেদে আদালতের রায়ের প্রতি তাদের পূর্ণ শ্রদ্ধা রয়েছে। তবে এত বড় স্থাপনা উচ্ছেদে যুক্ত শ্রমিকদের নিরাপত্তার বিষয়টি যেন সর্বোচ্চ গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হয়।’

উল্লেখ্য, র‌্যাংগস ভবন ভাঙতে শ্রমিক নিহত হওয়ার তিক্ত অভিজ্ঞতার কারণে বিজিএমইএ ভবনটি কোন পদ্ধতিতে ভাঙা হবে, তা নিয়ে ব্যাপক কৌতূহলের সৃষ্টি হয়। ২০০৭ সালে রাজধানীর র‌্যাংগস ভবন অপরিকল্পিতভাবে ভাঙতে গিয়ে ১৪ জন শ্রমিক নিহত হন। এ কারণে বিজিএমইএ ভবনটি চীনা বিশেষজ্ঞদের সহায়তায় ডিনামাইট দিয়ে গুঁড়িয়ে ফেলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। রাজউকের ওই সিদ্ধান্তের পর চীনা বিশেষজ্ঞরা বিজিএমইএ ভবনটি সরেজমিন পরিদর্শন করেন। তবে শেষ পর্যন্ত ডিনামাইটের চিন্তা বাদ দেওয়া হয়। ভবনটি ভাঙতে সেনাবাহিনীর সহযোগিতা নেওয়ার কথাও শোনা গিয়েছিল। তবে শেষ পর্যন্ত সনাতন পদ্ধতিতেই ভবনটি ভাঙার বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
এসএ/