আইসিজে`র রায় মিয়ানমার যেন এড়াতে না পারে: জাতিসংঘ
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৬:৪০ পিএম, ২৩ জানুয়ারি ২০২০ বৃহস্পতিবার
ইয়াং হি লি
রোহিঙ্গা গণহত্যার রায় ঘোষণা করেছে আন্তর্জাতিক ন্যায়বিচার আদালত (আইসিজে)। যে রায়ে মিয়ানমারকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। তবে এ গণহত্যার বিচার প্রক্রিয়া চলমান থাকবে বলেও জানিয়েছে আদালত।
এদিকে, আইসিজে'র এ সিদ্ধান্ত মিয়ানমার যেন এড়িয়ে যেতে না পারে, সে জন্য সতর্ক থাকতে হবে এবং দেশটিকে জবাবদিহিতার আওতায় আনতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক বিশেষ দূত ইয়াং হি লি।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রাজধানীর একটি অভিজাত হোটেলে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ড সফর শেষে ওই সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করা হয়।
এর আগে এদিন বিকেলেই আইসিজেতে উল্লিখিত বিচারের রায় ঘোষণা হয়। সংবাদ সম্মেলনে রায়ের বিষয়ে মন্তব্য জানতে চাইলে জাতিসংঘের এই বিশেষ দূত বলেন, এ বিষয়ে কী হবে- তা নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাই না আমি। তবে আমি এতটুকু বলতে পারি যে, সিদ্ধান্ত যা-ই হোক, মিয়ানমারের উচিত হবে তা মেনে নেয়া। পাশাপাশি সংকট নিরসনে মিয়ানমার যাতে দায়িত্বে অবহেলা না করে, তা নিশ্চিতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে কাজ করতে হবে। মিয়ানমারকে জবাবদিহিতার আওতায় আনতে হবে।
রোহিঙ্গা পরিস্থিতি দেখতে ইয়াং হি লি চলতি মাসেই বাংলাদেশ সফর করেন। তিনি থাইল্যান্ড থেকে বাংলাদেশ সফরে আসেন। বাংলাদেশ সফরকালে তিনি রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করেন। এছাড়া সরকারি-বেসরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন ইয়াং হি লি। জাতিসংঘের এ বিশেষ দূত গত বছরের জানুয়ারি মাসে কক্সবাজার রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করেছিলেন। সে সময় তিনি থাইল্যান্ডও সফর করেন।
তবে রোহিঙ্গা পরিস্থিতি দেখতে বেশ কয়েকবার মিয়ানমার সফরে যেতে চাইলেও সে দেশের সরকার তাকে প্রবেশে অনুমতি দেয়নি।
আজ সফরের শেষ দিনে রোহিঙ্গা পরিস্থিতি নিয়ে ডাকা তার এ সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকরা জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে (রোহিঙ্গা ইস্যুতে) চীন-রাশিয়ার ভূমিকা নিয়ে মন্তব্য জানতে চান।
জবাবে তিনি বলেন, নিরাপত্তা পরিষদে রাশিয়া ও চীনের ভূমিকা লজ্জাজনক। নিরাপত্তা পরিষদে তাদের প্রতি যে দায়িত্ব ছিল, তা পালনে তারা ব্যর্থ হয়েছে। চীন এখন বিশ্ব নেতৃত্বের জায়গায় যেতে চলেছে। বিশ্ব নেতৃত্ব দিতে হলে মানবাধিকারকে সম্মান দিতে হবে।
জাতিসংঘের এ বিশেষ দূত বলেন, রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে পরিচালিত নির্যাতনের দায়বদ্ধতা নিশ্চিত করতে নতুন একটি অ্যাডহক আন্তর্জাতিক আদালত স্থাপন করা দরকার। আগামী মার্চে জেনেভায় জাতিসংঘ মানবাধিকার কাউন্সিলে আমি পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন পেশ করব। সেখানে আমি এ বিষয়ে বিস্তারিত লিখব।
তিনি আরও বলেন, সিয়েরা লিওন, রুয়ান্ডা বা বসনিয়া হার্জেগোভিনায় যেভাবে গণহত্যার বিচার হয়েছে, এ ক্ষেত্রেও একই ধরনের সুপারিশ করব আমি।
এনএস/