উইঘুর প্রশ্নে ‘চীন ভালো বন্ধু’ বললেন ইমরান
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৭:২৯ পিএম, ২৩ জানুয়ারি ২০২০ বৃহস্পতিবার
ফাইল ছবি
কাশ্মীরে সংখ্যালঘুদের মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে সরব পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান কিন্তু চীনে নিপীড়িত উইঘুর সম্প্রদায়ের মুসলিমদের পাশে প্রকাশ্যে দাঁড়াতে রাজি হলেন না।
জানালেন, ‘বহু বিপদে পাশে দাঁড়ানো ভাল বন্ধু’ চীনের সঙ্গে বিষয়টি তুলতে পারেন তিনি ঘরোয়া আলোচনায়। কিন্তু কখনওই প্রকাশ্যে নয়।
জার্মান টেলিভিশন ‘ডয়েসে ভেলে’কে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে কাশ্মীরে সংখ্যালঘুদের মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়টি নিয়ে একের পর এক অভিযোগ করেন পাক প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু চীনে যে দীর্ঘ দিন ধরে নিপীড়িত, নির্যাতিত হয়ে চলেছেন উইঘুর সম্প্রদায়ের মুসলিমরা, সেই প্রসঙ্গ উঠতেই ইমরান বলেন, ‘‘এটা খুবই স্পর্শকাতর ইস্যু। তাই চীনের সঙ্গে উইঘুর ইস্যু নিয়ে আলোচনাটা এড়িয়ে যেতে চায় ইসলামাবাদ।’’
পাক প্রধানমন্ত্রীর কথায়, ‘‘মূলত, দু’টি কারণে উইঘুর ইস্যু নিয়ে চুপ রয়েছে পাকিস্তান। প্রথমত, কাশ্মীরে যা ঘটছে আর তার মাত্রা যতটা, সেই নিরিখে চীনে উইঘুরদের উপর অত্যাচারের অভিযোগের কোনও তুলনাই হয় না। দ্বিতীয়ত, চীন আমাদের খুব ভাল বন্ধু। নানা সময়ে আমাদের অর্থনীতির বিপদে-আপদে, আমাদের সঙ্কট-পর্বে চীন আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছে। তাই এটা আমাদের কাছে খুব স্পর্শকাতর বিষয়। ফলে এটা আমরা তুলতে পারি শুধুই ঘরোয়া আলোচনায়। কিন্তু কখনওই তা নিয়ে প্রকাশ্যে বলাটা আমাদের উচিত হবে না।’’
আন্তর্জাতিক মহলে চীনের বিরুদ্ধে সংখ্যালঘু উইঘুর সম্প্রদায়ের মুসলিমদের উপর নির্যাতন, নিপীড়নের অভিযোগ দীর্ঘ দিনের। অভিযোগ, চীনে উইঘুরদের ধর্মাচরণে বাধা দেওয়া হয়। তাঁদের পাঠিয়ে দেওয়া হয় ‘ডিটেনশন ক্যাম্পে। এমনকী, ভয় বা প্রলোভন দেখিয়ে উইঘুরদের ধর্মান্তকরণেও বাধ্য করা হচ্ছে বলে অভিযোগ। অথচ, আন্তর্জাতিক স্তরে এই সব অভিযোগ যত বার উঠেছে, তত বারই মুখে কুলুপ এঁটে থেকেছে ইসলামাবাদ।
ভারতে সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিলের সময় পাক প্রধানমন্ত্রীকে কাশ্মীরে সংখ্যালঘুদের নিপীড়নের অভিযোগে সরব হতে দেখে মার্কিন বিদেশ দফতরের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া সংক্রান্ত দফতরের তদারকি অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি অ্যালিস ওয়েল্স বলেছিলেন, ‘‘পশ্চিম চীনে উইঘুররা যে ভাবে নিপীড়িত হচ্ছেন, তা নিয়ে একই রকম ভাবে পাকিস্তানকে উদ্বিগ্ন হতে দেখলে খুশি হব।’’
এসি