তিন বাংলাদেশী নিহতে বিএসএফের দুঃখ প্রকাশ
নওগাঁ প্রতিনিধি
প্রকাশিত : ১১:২৭ পিএম, ২৩ জানুয়ারি ২০২০ বৃহস্পতিবার
বিএসএফ
নওগাঁর পোরশার হাঁপানিয়া দুয়ারপাল সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী-বিএসএফের গুলিতে তিন বাংলাদেশী গরু ব্যবসায়ী নিহতের ঘটনায় বিএসএফের পক্ষ থেকে দুঃখ প্রকাশ করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে ২৩১নং মেইন পিলারের নিকট নোম্যান্স ল্যান্ডে অনুষ্ঠিত বিজিবি ও বিএসএফের কমান্ডিং পর্যায়ের পতাকা বৈঠকে এই দুঃখ প্রকাশ করা হয়।
এসময় বাংলাদেশের পক্ষে নওগাঁ ১৬ বিজিবির কমান্ডিং অফিসার লেঃ কর্ণেল মোঃ আরিফুল হক ও ভারতের পক্ষে ১৫৯ বিএসএফের কমান্ডার হার্ষা জোসি নেতৃত্ব দেন।
নওগাঁ ১৬ বিজিবির সিও মোঃ আরিফুল হক বিএসএফের উদ্বৃতি দিয়ে জানান, ঘটনার জানার পর বিজিবির পক্ষ থেকে পতাকা বৈঠকের আহ্বান জানিয়ে পত্র দেয়া হয়। এর প্রেক্ষিতে প্রায় ঘণ্টাব্যাপী পতাকা বৈঠক চলে। এসময় বিএসএফ তাদের জওয়ানদের গুলিতে তিন ব্যাংলাদেশী নিহত হওয়ার কথা স্বীকার করে দুঃখ প্রকাশ করেন।
এদিকে বিজিবির পক্ষ থেকে এই ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে এ ধরনের ঘটনার যাতে পুনরাবৃত্তি না ঘটে সেই আহ্বান জানানো হয়।
এসময় ভারতের অভ্যান্তরে বিএসএফের গুলিতে নিহত বাংলাদেশী রনজিত কুমার ও কামাল হোসেনের মরদেহ আইনী প্রক্রিয়া শেষে বাংলাদেশে হস্তান্তর করা হবে জানিয়েছেন বিএসএফ। এ ঘটনায় সীমান্ত এলাকার মানুষের মাঝে আতংক ও ক্ষোভ বিরাজ করছে।
এদিকে নিহতদের পরিবারের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত বিজিবির কাছে এ বিষয়ে কোনও অভিযোগ করা হয়নি বলে জানিয়েছেন ১৬ বিজিবির হাঁপানিয়া ক্যাম্পের নায়েক সুবেদার মোখলেছুর রহমান। তবে বিকেলে ৪টার দিকে বাংলাদেশ সীমানায় পড়ে থাকা নিহত মফিজুল ইসলামের মরদেহ ঘটনাস্থল থেকে পোরশা থানা পুলিশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠিয়েছেন বলে জানিয়েছেন পোরশা থানার ওসি শাহিনুল ইসলাম।
বৃহস্পতিবার ভোরে ভারত থেকে গরু নিয়ে ফেরার পথে সীমান্ত এলাকার ২৩১/১০ (এস) মেইন পিলারের নীলমারী বীল এলাকায় বিএসএফ জওয়ানরা গরু ব্যবসায়ীদের লক্ষ্য করে গুলি ছুড়লে পোরশা উপজেলার বিষ্ণপুর বিজলীপাড়ার শুভ্র কুমারের ছেলে রজনিত কুমার (২৫), দিঘীপাড়া গ্রামের খোদাবক্সের ছেলে মফিজুল ইসলাম (৩৫) এবং কাঁটাপুকুরের মৃতু জিল্লুর রহমানের ছেলে কামাল হোসেন (৩২) নিহত হয়।
এনএস/