ঢাকা, শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৯ ১৪৩১

‘যৌন-প্রজনন স্বাস্থ্য নিয়ে সচেতনতা জরুরি’

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৩:০৬ পিএম, ২৪ জানুয়ারি ২০২০ শুক্রবার

বাংলাদেশে বড় একটি প্রজননক্ষম জনগোষ্ঠী (১৫ থেকে ২৫ বছর বয়সী কিশোর-কিশোরী ও তরুণ-তরুণী) রয়েছে। যারা দেশের মোট জনগোষ্ঠীর শতকরা ১৯ ভাগের বেশি। তবে দেশের আর্থ-সামাজিক অবস্থা ও অসচেতনতার কারণে তাদের মধ্যে শতকরা ৯৫ ভাগ নারী ১৮ বছর পূর্ণ হওয়ার আগেই বিয়ে হয়ে যাচ্ছে। অথচ অধিকাংশ কিশোর-কিশোরীদের মধ্যে যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য সম্পর্কে সঠিক জ্ঞান ও উপলব্ধি না থাকায় কিশোরী মাতৃত্বহার বাড়ছে। তাই যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য সম্পর্কে লজ্জা নয় বরং সচেতন হওয়া জরুরি বলে মন্তব্য করছেন বিশেষজ্ঞরা।

গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে সাভারের গণস্বাস্থ্যকেন্দ্রের পিএইচএ ভবনে অধিকার এখানে, এখনই বাংলাদেশ প্ল্যাটফর্ম (আরএইচআরএন) এর উদ্যোগে আয়োজিত ‘জাতীয় যুব সম্মেলন-২০২০’ এর শেষ দিনে বক্তারা এসব কথা বলেন।

এ সময় বক্তারা বৈশ্বিক উন্নয়ন এজেন্ডা ২০৩০ অর্জনে তরুণ নেতৃত্ব ও ভূমিকা, যৌনপ্রজনন স্বাস্থ্য জ্ঞান, মানবাধিকার, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে তরুণদের দায়িত্ব ও লিঙ্গ সমতায় সামাজিক আন্দোলনের প্রতি গুরুত্বারোপ করেন। পাশাপাশি যৌন প্রজনন স্বাস্থ্য শিক্ষাসহ অধিকার বিষয়ক কাজের সঙ্গে কিশোর-কিশোরী ও তরুণদের সম্পৃক্ত করতে অভিজ্ঞতা বিনিময় ও নেটওয়াকিং বৃদ্ধির পরামর্শ দেন। এজন্য মাঠ পর্যায়ে কার্যক্রম বাস্তবায়ন, চর্চা ও কৌশল সম্পর্কে অবহিত করার কথা বলেন।

সম্মেলনে বক্তারা আরও বলেন, দেশে বিভিন্ন সূচকে ইতিবাচক পরিবর্তন হলেও এখনো কিশোরী মাতৃত্বহারের উল্লেখেযোগ্য কোনো পরিবর্তন ঘটেনি। এতে করে বোঝা যায় সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে তাদের অংশগ্রহণের সুযোগ খুবই কম। কারণ স্বাস্থ্যসেবা বিষযক যে সব নীতিমালা, কর্মসূচি ও সেবা সমূহ রয়েছে। সেখানে কিশোর-কিশোরী ও যুবকদের জীবন বাস্তবাতা, প্রয়োজন ও চাহিদাগুলো বিবচনায় নিয়ে তাদের যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য সম্পর্কে সঠিক প্রতিফলন হয় না। 

বক্তারা বলেন, তাই যৌন-প্রজনন স্বাস্থ্য বিষয়ে লজ্জা না করে সচেতন হতে হয়ে কিশোর-কিাশোরী ও তরুণদের মধ্যে ব্যাপকভিত্তিক প্রজনন স্বাস্থ্য শিক্ষা, লিঙ্গ বৈষম্যতা দূরীকরণে সামাজিক সহনশীলতা এবং যুববান্ধব যৌন প্রজনন স্বাস্থ্য সেবার ব্যবস্থা বাড়ানোর প্রতি গুরুত্বরোপ করেন।