যুক্তরাষ্ট্রবিরোধী বিক্ষোভে কাঁপছে বাগদাদ
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৪:৫২ পিএম, ২৪ জানুয়ারি ২০২০ শুক্রবার | আপডেট: ০৫:২২ পিএম, ২৪ জানুয়ারি ২০২০ শুক্রবার
গত কয়েক দশকের মধ্যে এত বড় মার্কিন বিরোধী বিক্ষোভ ইরাকে আর দেখা যায়নি। বাগদাদের অধিবাসীরা ছাড়াও ইরাকের বিভিন্ন প্রদেশ থেকে শিয়া, সুন্নি, কুর্দি ও আরব গোত্রগুলো এই মহাবিক্ষোভে যোগ দিয়েছে।
বাগদাদের রাস্তা জনসমুদ্রে পরিণত হয়েছে। বিক্ষোভকারীরা শ্লোগান দিচ্ছেন: আমেরিকা ধ্বংস হোক, ইসরাইল ধ্বংস হোক। ইরাক থেকে এখনই বের হও মার্কিন সেনারা। নো টু আমেরিকা বা মার্কিনিদের প্রতি না।
ইরাকের আজকের শান্তিপূর্ণ মহাবিক্ষোভকে ১৯২০ সালে অনুষ্ঠিত ইরাকের ইসলামী বিপ্লব বা গণ-অভ্যুত্থানের সঙ্গে তুলনা করা হচ্ছে। সে সময় ইরাক ও ইরানের প্রখ্যাত শিয়া ও সুন্নি আলেমদের আহ্বানে ব্রিটিশ দখলদারির বিরুদ্ধে ইরাকের সর্বত্র গণ-প্রতিরোধ শুরু হয়।
ইরাকে আজকের গণ-বিক্ষোভের ডাক দিয়েছেন দেশটির প্রধান প্রধান গোত্র-প্রধান এবং তাতে সমর্থন দিয়েছেন ইরাকের শিয়া ও সুন্নি ধর্মীয় নেতৃবৃন্দসহ প্রধান রাজনৈতিক দলগুলো।
ইরাকে কাসেম সোলাইমানির ওপর হামলা ছিল আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন এবং প্রকাশ্য রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস। কারণ ইরাক সফররত সোলাইমানি ছিলেন ইরাকি প্রধানমন্ত্রীর রাষ্ট্রীয় মেহমান। এর আগে মার্কিন হামলায় জনপ্রিয় ইরাকি আধা-সামরিক বাহিনী পিএমইউ বা হাশদ্ আশ শাবয়ি'র শীর্ষস্থানীয় কয়েকজন কমান্ডারসহ শত শত সদস্য নিহত হন। আর এই প্রেক্ষাপটে ইরাকের জাতীয় সংসদ সেদেশ থেকে মার্কিন ও তার মিত্র জোটের সব সেনাদের ইরাক থেকে বের করে দেয়ার ঐতিহাসিক প্রস্তাব অনুমোদন করে। ইরাকে ১৬ বছর ধরে অবস্থান করছে মার্কিন সেনারা। দেশটিতে এখনও মার্কিন সেনার সংখ্যা কয়েক হাজার হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, বাগদাদের আজকের এই মহাবিক্ষোভে অংশ নেয়া ইরাকিদের সংখ্যা অন্তত কয়েক মিলিয়ন হবে। এ মহাবিক্ষোভকে মার্কিন সরকার ও তার আঞ্চলিক সহযোগিদের জন্য বড় ধরনের রাজনৈতিক পরাজয় ও মার্কিনিদের প্রতি ইরাকিদের পদাঘাতের সমতুল্য বলে মনে করা হচ্ছে। এ মহাবিক্ষোভ ইরাকের জাতীয় সংহতি ও ঐক্য জোরদার করবে এবং এ অঞ্চলে মার্কিন-ইসরাইলি ষড়যন্ত্রগুলোকে বানচাল করবে বলে বিশ্লেষকরা উল্লেখ করছেন। মার্কিন টেলিভিশন সিএনএন বাগদাদের আজকের মহাবিক্ষোভকে মার্কিন সরকারের জন্য দুঃস্বপ্ন বলে উল্লেখ করেছে।
এসি