শোয়েবের কাছেই হারলো বাংলাদেশ
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৬:৪৮ পিএম, ২৪ জানুয়ারি ২০২০ শুক্রবার
ম্যাচ জেতানো ইনিংস খেলার পথে শোয়েব মালিক
বাংলাদেশের দেয়া ১৪২ রানের মামুলি টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে শূন্য রানেই আউট হয়ে যান পাকিস্তানের অধিনায়ক বাবর আজম। এরপর দলীয় ৩৫ রানে হাফিজও ফিরে গেলে জয়ের স্বপ্ন জাগে টাইগার শিবিরে। কিন্তু টাইগারদের সব স্বপ্নে পানি ঢেলে দেন এক শোয়েব মালিক। অভিজ্ঞ এ ব্যাটসম্যানের ফিফটিতেই হেরে সিরিজ শুরু করল বাংলাদেশ।
শেষ পর্যন্ত ৪৫ বলে ৫৮ রান করে অপরাজিত থাকেন মালিক। মূলত শোয়েবের এ দায়িত্বশীল ব্যাটিংই ম্যাচ থেকে ছিটকে দেয় বাংলাদেশকে। তিন বল হাতে রেখেই পাঁচ উইকেটের জয় পায় স্বাগতিকরা।
এর আগে ইনিংসের পঞ্চম ওভারে মোহাম্মদ হাফিজকে ফেরান মুস্তাফিজ। ১২তম ওভারে অভিষেক ব্যাটসম্যান আহসান আলীকে সাজঘরে ফেরান আমিনুল ইসলাম বিপ্লব। পরে ইফতেখার (১৬) ও ইমাদ ওয়াসিমকে (৬) ফেরালেও পাকিস্তানকে জয়ের পথে বাঁধা হয়ে দাঁড়াতে পারেনি টাইগার বোলাররা।
শুক্রবার লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে তিন ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথমটিতে টস জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশের অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।
ইনিংসের গোড়াপত্তন করতে নামেন তামিম ইকবাল ও মোহাম্মদ নাঈম শেখ। শুরুটা সাবধানী করেন তারা। উদ্বোধনী জুটিতেই তুলে ফেলেন ৫০ রান। তবে রান তোলার গতিটা ছিল মন্থর। সেটা বাড়াতে গিয়েই দলীয় ৭১ রানে রানআউটে কাটা পড়েন তামিম। ফেরার আগে ৩৪ বলে ৪ চার ও ১ ছক্কায় ৩৯ রান করেন তিনি।
স্লো-গতিতে রান ওঠায় ব্যাটিংঅর্ডারে পরিবর্তন এনে লিটন দাসকে ওয়ানডাউনে নামানো হয়। তাকে নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন নাঈম। তবে সতীর্থকে বেশিক্ষণ সঙ্গ দিতে পারেননি লিটন। রানের চাকা দ্রুতগতিতে ঘোরাতে পারেননি তিনিও। খানিক পরই রানআউটে কাটা পড়েন উইকেটকিপার-ব্যাটসম্যান।
এ পরিস্থিতিতেও খোলসবন্দি থাকেন নাঈম। তা থেকে বের হতে গিয়ে শাদাব খানের শিকারে পরিণত হন তিনি। ফেরার আগে ৪১ বলে ৩ চার ও ২ ছক্কায় ৪৩ রান করেন বাঁহাতি ওপেনার। পরে আফিফ হোসেনকে নিয়ে রান বাড়ানোর প্রচেষ্টা চালান মাহমুদউল্লাহ। তবে ব্যর্থ হন আফিফ। অভিষিক্ত হারিস রউফের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের প্রথম উইকেট হয়ে ফেরেন তিনি।
তার পর ক্রিজে আসেন সৌম্য সরকার। কিন্তু ঝড় তুলতে পারেননি তিনিও। শাহীন আফ্রিদির শিকার হয়ে বিদায় নেন বাঁহাতি ব্যাটার। শেষ পর্যন্ত ৫ উইকেটে ১৪১ রান করে বাংলাদেশ। মাহমুদউল্লাহ ১৯ রান নিয়ে অপরাজিত থাকেন। আর ৫ রান নিয়ে আনবিটেন থাকেন মোহাম্মদ মিঠুন।
দীর্ঘ প্রায় এক যুগ পর পাকিস্তানের মাটিতে সিরিজ খেলছে বাংলাদেশ। তিন ধাপে অনুষ্ঠিত হবে সিরিজটি। প্রথম ধাপে এদিন থেকে শুরু হলো টি-টোয়েন্টি সিরিজ। একই ভেন্যুতে ২৫ ও ২৭ জানুয়ারি গড়াবে সিরিজের বাকি দুটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ। সিরিজ শেষে আগামী ২৮ জানুয়ারি দেশে ফিরবে টিম বাংলাদেশ।
এনএস/