ঢাকা, শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৮ ১৪৩১

ঢাবির ১৮ হলে `বঙ্গবন্ধু কর্নার` উদ্বোধন

ঢাবি সংবাদদাতা

প্রকাশিত : ০৭:৩৪ পিএম, ২৪ জানুয়ারি ২০২০ শুক্রবার

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারসহ ১৮টি আবাসিক হলের গ্রন্থাগারে বঙ্গবন্ধু কর্নার স্থাপন করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু)।

গতকাল বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) বিকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি) অডিটোরিয়ামে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো.আখতারুজ্জামান ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে একযোগে ১৮টি হলের গ্রন্থাগারে বঙ্গবন্ধু কর্নার উদ্বোধন করেন।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য আব্দুর রহমান। প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট ইতিহাসবিদ অধ্যাপক সৈয়দ আনোয়ার হোসেন। এছাড়াও অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক ড. সেলিম মাহমুদ, ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয়, ঢাবি ছাত্রলীগের সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাস, সাধারণ সম্পাদক ও ডাকসুর এজিএস সাদ্দাম হোসেন উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ডাকসুর স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক সাদ বিন কাদের চৌধুরী।

বঙ্গবন্ধু কর্নার স্থাপনের জন্য আয়োজকদের ধন্যবাদ জানিয়ে আব্দুর রহমান বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৮টি হলের গ্রন্থাগারে ‘বঙ্গবন্ধু কর্ণার’ স্থাপন করছে ডাকসু। এটা দেখে আজকে আনন্দ রাখার জায়গা নেই ।আর এটা তখনই হলো, যখন আমরা বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী পালনের দিন-ক্ষণ গণনা শুরু করছি।এটি আমাদের আবেগের একটি মাইলফলক। আমি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলাম। যে কাজটি আমরা করে যেতে পারিনি, আজকে ডাকসু করল। এজন্য আমি ডাকসুকে অভিনন্দন জানিয়ে খাটো করতে চাই না। এর মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা বঙ্গবন্ধু, বাংলাদেশ, মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে জানতে পারবেন।

অধ্যাপক আনোয়ার হোসেন বলেন, যে মানুষটির নামে আমাদের আত্মপরিচয়, তাকে এতো বিলম্বিত স্বীকৃতি কেন? যাই হোক, তারপরও তো হয়েছে। এজন্য আমি আনন্দবোধ করছি। বঙ্গবন্ধুর সৈনিক বললেই তা হওয়া যায় না। বরং তার আদর্শকে ধারণ করতে হয়। আমি আশা করবো, তরুণেরা বঙ্গবন্ধুকে অনুসরণ ও অনুকরণ করবে।

তিনি আরো বলেন, বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কথা বলতে গেলে আমার হৃদয়ে সাগরের ঢেউ ওঠে। কারণ মানুষটিকে আমি যত অধ্যয়ন করছি, ততই বিমুগ্ধ ও বিস্মিত হয়েছি। এটা এজন্যে যে, একজন মানুষের মাঝে কী করে এতো গুণাবলির সমন্বয় হয়? আমি বঙ্গবন্ধু চেয়ারের অধ্যাপক হওয়ায়, তাকে পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে অধ্যয়নের সুযোগ পেয়েছি। এখন এই বঙ্গবন্ধু কর্ণার থেকে শিক্ষার্থীরাও বঙ্গবন্ধুকে ব্যাপকভাবে জানতে পারবে।

ছাত্রলীগ সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সন্ত্রাস বিরোধী ঐক্য গঠনের সমালোচনা করে বলেন, ডাকসু ভিপি নুরুল হককে সাধারণ শিক্ষার্থীরা বর্জন করেছে। জঙ্গি সংগঠন শিবিরের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করা ভিপিকে বলতে চাই, আপনারা যে সন্ত্রাস বিরোধী ঐক্য গড়ে তুলেছেন, সেটা কিসের সন্ত্রাসবিরোধী ঐক্য? এটাতো জঙ্গির মদদে গড়া ঐক্য। বাংলাদেশ ছাত্রলীগ এবং ডাকসুতে ছাত্রলীগ থেকে নির্বাচিত প্রতিনিধি সবাই ঐক্যবদ্ধ থাকলে, এরকম নাম সর্বস্ব সংগঠন জঙ্গী কার্যক্রম করতে পারবেনা।

স্বাগত বক্তব্যে অনুষ্ঠানের সভাপতি সাদ বিন কাদের চৌধুরী বলেন, বঙ্গবন্ধু কর্নারে বঙ্গবন্ধু, বাংলাদেশের মুক্তি সংগ্রামের ইতিহাস ও ঐতিহাসিক বইসমূহ স্থান পাবে। এর জন্য প্রয়োজনীয় বই ও শেলফ ডাকসু সরবরাহ করবে। বঙ্গবন্ধু মানে বাংলাদেশ। বাংলাদেশ মানে বঙ্গবন্ধু। বঙ্গবন্ধুকে বাদ দিয়ে বাংলাদেশ কল্পনা করা যায় না। ঢাবিতেও রাজনীতি সহাবস্থানের বিষয়ে বঙ্গবন্ধুকে স্বীকার করে ক্যাম্পাসে রাজনীতি করতে হবে।

আরকে//