বিএনপি চোরাপথে ক্ষমতায় আসার ষড়যন্ত্র করছে: ওবায়দুল কাদের
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৪:৫৫ পিএম, ২৬ জানুয়ারি ২০২০ রবিবার
ফাইল ছবি
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি চক্রান্তের চোরাপথ দিয়ে ক্ষমতায় আসার ষড়যন্ত্র করছে।
ওবায়দুল কাদের রোববার রাজধানীর রমনায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউট মিলনায়তনে মটর চালক লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘বিএনপিকে জনগণ প্রত্যাখ্যান করেছে, প্রত্যাখ্যাত হয়ে তারা ষড়যন্ত্র করছে। দলটি চক্রান্তের চোরাপথ দিয়ে ক্ষমতায় আসার ষড়যন্ত্র করছে। এদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।’
বিএনপি ক্ষমতায় এলে দেশে আবার রক্তস্রোত বইবে দাবি করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক আরো বলেন, ‘আপনাদের সতর্ক থাকতে হবে। অপরাজনীতির হোতা বিএনপি নামক অপশক্তি যেন আর ক্ষমতায় আসতে না পারে। এই অপশক্তি জঙ্গিবাদের পৃষ্টপোষক। এই অপশক্তি সাম্প্রদায়িক অপশক্তির পৃষ্টপোষক, এরাই এই বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক অপরাজনীতির সূচনা করেছে।’
তিনি বলেন, বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক রাজনীতি ও জঙ্গি পৃষ্টপোষকতার রাজনীতি এদের নেতিবাচক রাজনীতি। এদেশের মানুষ এই রাজনীতি প্রত্যাখ্যান করেছে। বাংলাদেশে এই অপশক্তি যদি আবার ক্ষমতায় আসতে পারে, তবে দেশ আবারও অন্ধকারে তলিয়ে যাবে। বিএনপি নামক অপশক্তি যদি আবারও ক্ষমতায় আসে এই দেশে রক্তস্রোত বইয়ে দেবে। এরা যদি আবারও ক্ষমতায় আসে, তবে এদেশ বিশ্বে দুর্নীতি ও সন্ত্রাসে চ্যাম্পিয়ন হবে।
আওয়ামী মটর চালক লীগের সভাপতি আলী হোসেনের সভাপতিত্বে সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিষ্টার বিপ্লব বড়ুয়া, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক আব্দুস সবুর, মটর চালক লীগের সাধারণ সম্পাদক সানোয়ার হোসেন চৌধুরী।
ঢাকা সিটি নির্বাচনে জয় পেতে আওয়ামী লীগ মনোনিত প্রার্থীরা ভোটারদের ঘরে ঘরে যাচ্ছেন জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, সরকারের সব এজেন্সি ও আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর প্রধানদের আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন ঢাকা সিটি নির্বাচনে সরকারের কোন ধরণের হস্তক্ষেপ যেন কেউ না করে। এই ব্যপারে তিনি সবাইকে ক্লিয়ার ম্যাসেজ দিয়েছেন।
‘সিটি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের বিজয়ী করতে সরকারি সংস্থাকে বাধ্য করে ব্যবহার করা হচ্ছে’- বিএনপি নেতাদের এমন বক্তব্যের জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, এই দল আন্দোলনেও ফেল, নির্বাচনেও ফেল। আন্দোলনে ফেল করলে নির্বাচনেও ফেল করে। বিএনপি ফেলের মধ্যেই আছে। তাদের ভাগ্যে বিজয় কবে আসবে জানি না। নেতিবাচক রাজনীতির কারণে মানুষ আর তাদের সঙ্গে নেই। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়ন অর্জন বিএনপি নেতিবাচক রাজনীতির উপর সংকটের যে কালো ছায়া ফেলেছে, সে থেকে বিএনপির নিস্তারের কোন উপায় নেই।
তিনি বলেন, ‘আসলে নির্বাচনে বিএনপির অবস্থা কি হবে সেটা তারা বুঝে গেছেন, তারা বুঝে গেছেন এই নির্বাচনের বিজয়ের ব্যপারে যথেস্ট সন্দিহান। বিজয়ী হতে পারবে না বলেই তারা আজকে বিভিন্ন ধরণের নালিশ করার পথ বেছে নিয়েছে। তারা যতই অপপ্রচারই করুক দেশের মানুষ শেখ হাসিনাকেই চায়, আওয়ামী লীগকেই চায়।’
গাড়ি চালাতে গিয়ে বেপরোয়া না হতে চালকদের প্রতি আহবান জানিয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, বেপরোয়া হলে দুর্ঘটনা অনিবার্য। গরিব মানুষরাই বেশি গাড়ি চালায়, নিজের জীবনের কথা, পরিবারে কথা এবং আপনার গাড়ির যাত্রী, সবার কথা ভাবতে হবে। আপনারা সতর্ক ভাবে গাড়ি চালাবেন।
গাড়ি চালানোর সময় মোবাইল ফোনে কথা না বলতে চালকদের প্রতি আহবান জানিয়ে তিনি বলেন, এক হাতে কানে মোবাইল ফোন লাগিয়ে আরেক হাতে স্টিয়ারিং থাকলে দুর্ঘটনা অনিবার্য গাড়ি চালানোর সময় কোন মাদক গ্রহণ করবেন না। অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় মাদক গ্রহণ করে স্টিয়ারিংয়ে ধরেন ফলে দুর্ঘটনা হয়। কাজেই এই কাজ টি আপনারা করবেন না।
এসি