ভারতের এনআরসি ইস্যুতে কোন প্রভাব পড়বে না: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৬:২৩ পিএম, ২৬ জানুয়ারি ২০২০ রবিবার | আপডেট: ০৬:২৯ পিএম, ২৬ জানুয়ারি ২০২০ রবিবার
ফাইল ছবি
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেছেন, প্রতিবেশী দেশ ভারতের নাগরিকত্ব আইনের বিষয়টি একান্তই তাদের অভ্যন্তরীণ ইস্যু। এ নিয়ে বাংলাদেশের ওপর কোন প্রভাব পড়বে না। এ ব্যাপারে ভারত সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে নিশ্চয়তা প্রদান করা হয়েছে।
আজ জাতীয় সংসদে সরকারি দলের সদস্য অসিম কুমার উকিলের এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি সংসদকে এই তথ্য জানান।
আসাদুজ্জামান খান আরো বলেন, ভারত বাংলাদেশের একটি বন্ধুপ্রতিম দেশ। ১৯৭১ সালে মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে ভারতের অবদান অনস্বীকার্য। ভারত তার বিভিন্ন প্রদেশে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) ও জাতীয় জনসংখ্যা নিবন্ধন (এনআরসি) পরিকল্পনা নিয়েছে।
বাংলাদেশ আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে অভাবনীয় সাফল্যের পাশাপাশি অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বিশেষ করে উত্তরোত্তর জিডিপি বৃদ্ধি অর্জন করে যাচ্ছে। ভারতে বাংলাদেশের কোন অবৈধ অভিবাসনের কোন অর্থনৈতিক অনুপ্রেরণাবোধের যৌক্তিকতা আছে বলে প্রতীয়মান নয়।
তিনি বলেন, ভারত, বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্ত এলাকার নিরাপত্তায় দেশের নিরাপত্তা বাহিনী সদা সতর্কাবস্থায় বিশেষ নজরদারিসহ সার্বক্ষণিক টহল পরিচালনা করছে। যেসব সীমান্ত এলাকা ঝুঁকিপূর্ণ সে এলাকায় বাংলাদেশ ও ভারতের সীমান্ত এলাকায় সার্বক্ষণিক সমন্বিত টহল নজরদারী জোরদার করা হয়েছে।
এ জন্য ১২৮ টি বর্ডার সেন্টি পোস্ট নির্মাণ করা হয়েছে। সীমান্ত এলাকায় চোরাচালান প্রতিরোধে ৬৯৭টি বিওপি নির্মাণ করা হয়েছে। সীমান্ত এলাকায় যাতে অবৈধ অনুপ্রবেশ না ঘটে সেজন্য স্থানীয় এলাকাবাসীকে বিশেষ সচেতনতা প্রদানের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। সীমান্তে অপরাধ দমন, নারী ও শিশু পাচার প্রতিরোধ এবং মাদক পাচার বন্ধ করার লক্ষ্যে বাংলাদেশের নিরাপত্তা বাহিনী টহল জোরদার অব্যাহত আছে সবসময়।
এসি