ঢাকা, শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৮ ১৪৩১

শিল্পকলা একাডেমি’র পুরস্কারে ভূষিত হলেন অধ্যাপক ড. ফরিদা জামান

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৯:৩১ পিএম, ২৬ জানুয়ারি ২০২০ রবিবার | আপডেট: ০৯:৩৫ পিএম, ২৬ জানুয়ারি ২০২০ রবিবার

অধ্যাপক ড. ফরিদা জামান

অধ্যাপক ড. ফরিদা জামান

বাংলাদেশের চারুশিল্পীরা বিভিন্ন আঙ্গিক, শৈলী ও মাধ্যমে বহুমুখী শিল্পচর্চা করেন। চিত্রকলা, ভাস্কর্য, ছাপচিত্র, মৃৎশিল্পকর্ম, দেয়ালচিত্র, স্থাপনাশিল্প এরকম নানা প্রকার শিল্পচর্চায় আমাদের প্রতিভাবান ও সৃজনশীল শিল্পীরা তৎপর রয়েছেন। এদের মধ্যে কেউ কেউ ব্যতিক্রমধর্মী উপাদান প্রয়োগ করে সৃজনধ্যানে নিবিষ্ট।

বিশ্ব বরেণ্য চিত্রশিল্পী এস এম সুলতানের জন্মবার্ষিকীতে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির আয়োজনে প্রতিবছর ১ জন বিশিষ্ট চারুশিল্পীকে সুলতান স্বর্ণ পদক প্রদান করা হয়। প্রতি বছরের ধারাবাহিকতায় এস এম সুলতানের ৯৬তম জন্মবার্ষিকী ২০২০ উপলক্ষে আগামী ২৭ জানুয়ারি সুলতানের কর্ম ও জীবনের উপর আলোচনা ও সুলতান স্বর্ণপদক প্রদান করা হবে। সুলতান স্বর্ণ পদক ২০২০ পাচ্ছেন অধ্যাপক ড. ফরিদা জামান। 

পদকপ্রাপ্ত শিল্পীকে আগামীকাল ২৭ জানুয়ারি ২০২০ বিকাল ৫টায় নড়াইল সুলতান মঞ্চে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি প্রদত্ত সুলতান (স্বর্ণ) পদক তুলে দিবেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের মাননীয় প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য্য। এছাড়াও স্বর্ণ পদক প্রদান অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন নড়াইল ১ এর সংসদ সদস্য মোঃ কবিরুল হক মুক্তি এবং নড়াইল ২ এর সংসদ সদস্য মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা।

বিগত বছরগুলোতে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি’র  ‘সুলতান স্বর্ণ পদকপ্রাপ্ত হয়েছেন শিল্পী কাইয়ুম চৌধুরী, রফিকুন নবী, মর্তুজা বশীর, আমিনুল ইসলাম, সৈয়দ জাহাঙ্গীর, মাহমুদুল হক, আব্দুস শাকুর শাহ্, আবুল বারাক আলভী, সমরজিৎ রায় চৌধুরী, আবু তাহের, হামিদুজ্জামান খান, মনিরুল ইসলাম, মনসুর উল করিম, কালিদাস কর্মকার, আব্দুল মান্নান, হাশেম খান ও ফেরদৌসী প্রিয়ভাষিণী, শিল্পী মুস্তফা মনোয়ার।

একনজরে অধ্যাপক ড. ফরিদা জামানের শিক্ষা ও কর্মজীবন-

শিক্ষাঃ 
১৯৭৪: বি.এফ.এ. চারু ও কারুকলা মহাবিদ্যালয় (বর্তমানে চারুকলা অনুষদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়)
১৯৭৮: এম.এফ.এ. মহারাজা শিবাজি রাও বিশ্ববিদ্যালয়, বরদা, ভারত।
১৯৯৫: পি.এইচ.ডি বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়, শান্তিনিকেতন, পশ্চিম বাংলা, ভারত।

অভিজ্ঞতাঃ
২০০৫-২০০৬: পরিচালক, ইন্সিটিউট অব ফাইন আর্টস, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।
২০০৮-২০১১:  চেয়ারম্যান, অঙ্কন ও চিত্রায়ন বিভাগ, চারুকলা অনুষদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।
১৯৭৮:            প্রভাষক, অঙ্কন ও চিত্রায়ন বিভাগ, চারুকলা অনুষদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।
সদস্য:               জাতীয় কমিটি এশিয়ান আর্ট বিয়েনাল।
সদস্য:               বিচারক, জাতীয় নবীন চিত্রকলা প্রদর্শনী, বাংলাদেশ।
সদস্য:               বিচারক, বারজার নবীন চিত্রকলা প্রদর্শনী, বাংলাদেশ।
১৯৯৬:            ৭২টি ডাইওরামা (বাংলাদেশের সামাজিক, সংস্কৃতিক ও অর্থনীতিক ইতিহাস, প্রাগৈতিহাসিক থেকে স্বাধীনতা পর্যন্ত) বাংলাদেশ শিশু একাডেমী শিশু যাদুঘর, ঢাকা, বাংলাদেশ।
প্রতিষ্ঠাতা সদস্য, সাঁকো, মহিলা শিল্পী সংগঠন, ঢাকা, বাংলদেশ।

প্রকাশনাঃ
“আধুনিক চিত্রকলায় লোকশিল্পের প্রভাব (দুই বাংলা)” প্রকাশক ফোকলোর বিভাগ, বাংলা একাডেমী, ঢাকা।

“ফর দা লাভ অফ কান্ট্রি” মারটিন ব্রাডলি, প্রকাশক পাঞ্জেরী, ঢাকা, ২০১৯

তথ্যচিত্রঃ
“জলের শিল্পমঞ্জরি” নির্মাতাঃ আনোয়ার এবং জেমি, পরিচালকঃ মানজারে হাসিন মুরাদ, ২০০৬
“জল গোধূলি” নির্মাতাঃ শবনম ফেরদৌসি, প্রযোজকঃ বেঙ্গল ফাউন্ডেশন, ২০০৪

একক প্রদর্শনীঃ
১৯৭৯: চারু ও কারুকলা মহাবিদ্যালয়, ঢাকা, বাংলাদেশ।
১৯৮৩: ইন্সিটিউট অফ ফাইন আর্টস, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা, বাংলাদেশ।
১৯৯৫: ডিভাইন আর্ট গ্যালারি, ঢাকা বাংলাদেশ।
২০০২: চিত্রক আর্ট গ্যালারি, ঢাকা, বাংলাদেশ।
২০০৬: বেঙ্গল গ্যালারি অফ ফাইন আর্টস, ঢাকা, বাংলাদেশ।
২০১০: প্রকৃতি ও জীবন, যামিনী রায় গ্যালারি, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কেন্দ্র, আই সি সি আর, কলকাতা, পশ্চিম বাংলা, ভারত।
২০১৩: শিকড়ের টানে, বেঙ্গল গ্যালারি অফ ফাইন আর্টস, ঢাকা, বাংলাদেশ।
২০১৯: ফর দা লাভ অফ কান্ট্রি, নলিনীকান্তি ভট্টশালী গ্যালারি, জাতীয় যাদুঘর, ঢাকা, বাংলাদেশ।

গুরুত্বপূর্ণ প্রদর্শনী( দেশ ও বিদেশ, চিত্র কর্মশালা) ঃ
দেশ ও দেশের বাহিরে ৮টি একক চিত্র প্রদর্শনী। ১৯৭৪ সাল থেকে ১০০ এর অধিক যৌথ প্রদর্শনী সহ চিত্রকর্মশালায় অংশগ্রহণঃ দিল্লী, বোম্বে, হায়াদ্রাবাদ, কলকাতা, বরদা, লন্ডন, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, নিউ ইয়র্ক, হংকং, বেইজিং, সিওল, দক্ষিণ করিয়া, বুল্গেরিয়া, ফুকুওকা, টোকিয়ো, জার্মানি, প্যারিস, ব্রাসেলস, বেলজিয়াম, অস্ট্রেলিয়া, মায়ানমার, থাইল্যান্ড এবং বাংলাদেশ।

স্বীকৃতি ও পুরষ্কার সমুহঃ 
১৯৭৫: বাংলাদেশ ও ভারত সরকারের সংস্কৃতি বিনিময় বৃত্তি।
১৯৭৭: চিত্রকলায় প্রথম পুরষ্কার, বরদা, ভারত।
১৯৭৯: নবীন শিল্পী পুরষ্কার, স্বর্ণ পুরষ্কার। ৪র্থ নবীন ছিত্রকালা প্রদর্শনী (ভ্রাম্যমাণ), বাংলাদেশ।
১৯৮১: সাংস্কৃতিক বিনিময় পুরষ্কার, চায়না।
১৯৮২: কমেন্দেশন অ্যাওয়ার্ড, ৫ম ত্রিনালে, নিউ দিল্লী, ভারত।
১৯৮৫: কালচারাল অ্যাওয়ার্ড, গভঃ অফ অস্ট্রেলিয়া।
১৯৮৬: জাতীয় শিশু বই অলঙ্করণ পুরষ্কার, ঢাকা, বাংলাদেশ।
১৯৮৮: আন্তর্জাতিক আজীবন সদস্য, “স্যালন ডি টোকিও” জাপান।
১৯৮৮: ইউ জি সি বৃত্তি, বাংলাদেশ ভারত সংস্কৃতি বিনিময়।
২০০৮: স্বর্ণপদক, এক্সিলেন্ট আর্টিস্ট অফ ওয়ার্ল্ড, বেইজিং অলিম্পিক ২০০৮।
২০০৯: বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ, আজীবন সন্মাননা।

এসি