শেকৃবি কর্মচারী কল্যাণ সমিতির কার্যালয়ে জুয়ার আসর, আটক ১৯
শেকৃবি প্রতিনিধি
প্রকাশিত : ০৬:২৮ পিএম, ২৭ জানুয়ারি ২০২০ সোমবার
রাজধানীর প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শেকৃবি) কর্মচারী কল্যাণ সমিতির কার্যালয়ে জুয়া খেলারত অবস্থায় ৫ বহিরাগতসহ মোট ১৯ জনকে আটক করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটে গত রবিবার (২৬ জানুয়ারি) রাত সাড়ে ১১ টায়। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কর্তৃক আটককৃত সবাইকে শেরেবাংলা নগর থানা পুলিশে সোপর্দ করা হয়।
আটক কর্মচারীদের বিশ্ববিদ্যালয় ব্যবস্থা নিবে বলে জানায় শেকৃবি উপ উপাচার্য ও প্রক্টর। জানা যায়, রবিবার (২৬ জানুয়ারি) রাত সাড়ে ১১ টায় গোপন তথ্যের ভিত্তিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. সেকেন্দার আলীর নেতৃত্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডি নিরাপত্তা কর্মচারীদের নিয়ে কর্মচারী কল্যাণ সমিতির কক্ষে অভিযান চালায়। এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত ১৪ জন কর্মচারীসহ ৫ জন বহিরাগতকে জুয়ার আসর থেকে আটক করেন।
আটককৃতরা হলেন, প্যাথলজি বিভাগের (এএসভিএম) ল্যাব অ্যাটেন্ডেন্ট পলাশ কান্তি মন্ডল, অ্যাকুয়াকালচার বিভাগের সিনিয়র অ্যাটেন্ডেন্ট মো. নবীর, নিরাপত্তা শাখার গার্ড জাহাঙ্গীর, স্টেট অফিসের ঝাড়ুদার জুয়েল রানা, শ্রমিক মো. আরিফ হোসেন, কীটতত্ত্ব বিভাগের শ্রমিক মো. স্বপন, শিক্ষক সমিতির গার্ড দেলোয়ার হোসেন, শেরেবাংলা হলের ডাইনিং ম্যানেজার কবির হোসেন, অ্যানিমেল নিউট্রিশন বিভাগের ল্যাব অ্যাটেন্ডেন্ট আশরাফুল, নিরাপত্তা শাখার গার্ড ইদ্রিস মৃধা, নিরাপত্তা শাখার গার্ড মো. ওসমান গনি, দোয়েল ভবনের লিফটম্যান মো. মাসুদ রানা, শ্রমিক মো. সোহেল হোসেন ও শেরেবাংলা হলের ক্যান্টিনবয় রুবেল হোসেন।
আটক বহিরাগতরা হলেন উদ্যানতত্ব বিভাগের শ্রমিক মানিকের ভাই চাঁন মিয়া, মিরপুরের সবজি ব্যবসায়ী মো. পলাশ, পাকা মার্কেটে রিক্সা ব্যবসায়ী শাহাবুদ্দিন, আসাদুল ইসলাম ও আদাবর থানার ঠিকাদার ব্যবসায়ী সারোয়ার।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. ফরহাদ হোসাইন সাংবাদিকদের জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু কর্মচারী ও বহিরাগতরা মিলে সমিতির কার্যালয়ে জুয়া খেলছে। এসময় কিছু টাকাসহ জুয়া খেলার সরঞ্জাম জব্দ করা হয়।
জুয়ার আসর থেকে আটককৃত একজন বলেন, মাঝে মাঝে আমরা এখানে অল্প টাকার জুয়া খেলি। আমরা তো চুনোপুটি। এখানে প্রায় সময় লাখ লাখ টাকার জুয়া খেলা হয়, আর সেখানে নেতৃত্ব দেন রাঘোব বোয়াল মৃত্তিকা বিজ্ঞান বিভাগের ল্যাব অ্যাটেন্ডেন্ট মো. মোসলেম । আপনারা আসার কিছুক্ষণ পূর্বে মোসলেম দেড় লাখ টাকা নিয়ে চলে গেছে। কিন্তু সে রাজনীতি করার কারণে তার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেওয়া হয় না।
জানা যায়, মো. মোসলেম পূর্বেও বিভিন্ন অভিযোগে যুক্ত থাকলেও প্রশাসন তার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয়নি। এ বিষয়ে মোসলেমের সাথে মুঠোফোনে কথা বলার ব্যর্থ চেষ্টায় কোন ফল পাওয়া যায়নি।
উপ উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. সেকেন্দার আলী সাংবাদিকদের জানান, জুয়ার আসর থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারীসহ ৫ বহিরাগতকে আটক করা হয়েছে। বহিরাগতদের পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে। শেরেবাংলা নগর থানার ওসি জানে আলম মুন্সী জানান, শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন গত রবিবার রাতে জুয়ার থেকে ৫জনকে আটক করে আমাদের কাছে সোপর্দ করে। তাদেরকে জুয়া আইনে কোর্টে চালান করা হয়েছে।
আরকে//