ঢাকা, বুধবার   ২৭ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ১২ ১৪৩১

কৃষিবিদ আবদুল মান্নানের স্মরণে শোক র‌্যালী ও আলোচনা সভা

বাকৃবি প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ০৭:০৭ পিএম, ২৭ জানুয়ারি ২০২০ সোমবার

বগুড়া-১ আসনের সংসদ সদস্য, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি এবং বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সদস্য কৃষিবিদ মরহুম আবদুল মান্নানের স্মরণে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) শোক র‌্যালী ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার সকাল সাড়ে ১১ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন মিলনায়তনে ওই আলোচনা সভার আয়োজন করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

অনুষ্ঠানের শুরুতে সকাল ১১ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের হ্যালিপ্যাড থেকে একটি শোক র‌্যালি বের করা হয়। র‌্যালিটি বিশ^বিদ্যালয়ের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে জয়নুল আবেদিন মিলনায়তনে এসে শেষ হয়। পরে শোক সভায় আবদুল মান্নানের স্মরণে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়। পরে আবদুল মান্নানের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া করা হয়। এসময় মান্নানের সংক্ষিপ্ত জীবনীর স্মৃতিচারণ করে ডকুমেন্টারি তুলে ধরেন বাকৃবি শিক্ষক সমিতির সহ-সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. এ. কে. এম. জাকির হোসেন।

শোকসভায় বক্তারা বলেন, আবদুল মান্নান বাংলাদেশ কৃষি বিশ^বিদ্যালয়ের একজন অভিভাবক ছিলেন। তার মৃত্যুতে বিশ^বিদ্যালয় এখন অভিভাবক শূণ্যতায় ভুগছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজের দিকনির্দেশনা দিয়ে তিনি সবসময় সহায়তা করে গেছেন। বাংলাদেশের কৃষির উন্নয়নে জন্য তিনি সর্বদা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ও কৃষকদের পাশে থেকেছেন। আবদুল মান্নান ছিলেন অত্যন্ত সাধারণ একজন মানুষ। সাধারণ মানুষের সাথে তিনি মিশে থাকতেন। বাকসুর সহ-সভাপতি থাকাকালীন তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের জন্য বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজ করে। পরে তিনি তার রাজনৈতিক জীবনেও সফলতা অর্জন করেন। তিনি বাকৃবি পরিবারের একজন অবিচ্ছেদ্য সদস্য। তার চলে যাওয়া কোনো ভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। বাকৃবি সর্বদা আবদুল মান্নানকে স্মরণে রাখবে। কৃষিবিদদেরও জন্য পথপ্রদর্শক হয়ে থাকবেন।

শোক সভায় বিশ^বিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. লুৎফুল হাসানের সভাপতিত্বে এবং ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার মো. ছাইফুল ইসলামের সঞ্চালনায় উপস্থিত ছিলেন বাকৃবির ইমেরিটাস অধ্যাপক ড. আব্দুল সাত্তার মন্ডল, কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের  সাবেক মহাপরিচালক কৃষিবিদ হামিদুর রহমান, আবদুল মান্নানের সহধর্মিণী সাহাদারা মান্নান এবং সন্তান সাখাওয়াত হোসেন সজল। এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষর্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারিরা উপস্থিত ছিলেন।

আরকে//