ঢাকা, মঙ্গলবার   ০৫ নভেম্বর ২০২৪,   কার্তিক ২১ ১৪৩১

সিটি নির্বাচন: অনলাইনে সরব প্রার্থীরা

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১১:১১ এএম, ৩১ জানুয়ারি ২০২০ শুক্রবার | আপডেট: ০১:০৬ পিএম, ৩১ জানুয়ারি ২০২০ শুক্রবার

রাত পোহালেই ঢাকার দুই সিটির নির্বাচন। ইতিমধ্যে আনুষ্ঠানিকভাবে শেষ হয়েছে নির্বাচনী প্রচারণা। তবে থেমে নেই সোশ্যাল মাধ্যমে। মেয়র প্রার্থী থেকে শুরু করে কাউন্সিলর প্রার্থীদেরও এ মাধ্যমে প্রচারণায় নামতে দেখা গেছে। 

ভোটারদের আকৃষ্ট করতে ছবি, পোষ্টার ও ভিডিও গ্রাফিকসসহ নানাভাবে তারা ভোটারদের নিজেদের কাছে টানতে চেষ্টা করছেন। সঙ্গে আছে ফেসবুক, টুইটার, ইউটিউব ও ইন্সটাগ্রাম। 

সশরীরে হাজির হওয়ার আর সুযোগ না থাকায় মূলত এ পদ্ধতি বেছে নিয়েছেন প্রার্থীরা।  এমনকি মোবাইল কলের মাধ্যমেও এক প্রার্থীকে ভোট চাইতে শোনা যায়। 

১ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে মেয়র পদে ঢাকা উত্তরে ছয়জন এবং দক্ষিণে ছয়জন করে মোট ১২ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এসব প্রার্থীর মধ্যে চারজন আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মতো দুটি বড় রাজনৈতিক দলের মনোনীত প্রার্থী। 

বলা হচ্ছে, ঢাকা সিটির এবারের নির্বাচনে বিএনপি যতটা প্রচারণায় নেমেছে অতীতে কোনো নির্বাচনে তা দেখা যায়নি। ফলে, প্রচারণার সময়েই দু’এক জায়গায় হামলা-পাল্টা হামলার ঘটনাও ঘটে। তাইতো দুই দলের প্রার্থীর মধ্যেই লড়াইটা যে এবার জমজমাট হবে তা অনেকটা বলাই যায়। বাকি আটজনের তেমন হাঁকডাক শেষ পর্যন্তও সেভাবে নজরে আসেনি।

গতকাল বৃহস্পতিবার প্রচারণা আনুষ্ঠানিকভাবে শেষ হলে মেয়রপ্রার্থী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেষ মুহূর্তের প্রচারণায় সরব হয়ে ওঠে। বিশেষ করে প্রধান দুই রাজনৈতিক পরাশক্তি। এতে পিছিয়ে নেই কাউন্সিলররাও। এতে তাদের নিজেদের ভেরিফাইড ফেসবুক পেজ, ওয়েবসাইট ও ইউটিউবসহ টুইটারে টুইট করতেও দেখা যায়। 

ঢাকা উত্তরে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ও সাবেক মেয়র আতিকুল ইসলাম নামের একটি ফেসবুক পেজে ৭ লাখ ৭ হাজারের বেশি অনুসারী তাকে অনুসরণ করছেন। আর সেই ফেসবুক পেজে শোভা পাচ্ছে ভোটারদের কাছে আতিকুলের নানা প্রতিশ্রুতি, ঢাকাকে নিয়ে তার ভাবনার কথা। চাওয়া হচ্ছে ভোট।

একই ধরনের প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন এই নির্বাচনে তার বিপরীতে অবস্থানকারী ধানের শীষের প্রার্থী তাবিথ আউয়াল। আতিকুলের তুলনায় ফেসবুকে তাবিথের অনুসারী বেশি। তাবিথ আউয়াল নামের ভেরিভাইড পেজটিতে অনুসারী ৭ লাখ ৫২ হাজারের বেশি। 

গণসংযোগস্থল থেকে তা ফেসবুক লাইভের মাধ্যমে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারকারীদের কাছে তুলে ধরছেন এই প্রার্থী। এছাড়া বিভিন্ন সময় ঢাকা উত্তর সিটির জন্য তারা নানা ভাবনা ও পরিকল্পনা তুলে ধরছেন। তাবিথ নিজেই বিভিন্ন সময় দিচ্ছেন নানা ভিডিও বার্তা, চাওয়া হচ্ছে ভোট।

অপরদিকে ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে ক্ষমতাসীন দলের মনোনয়নে লড়ছেন ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস। প্রতীক বরাদ্দের দিন থেকেই প্রচারণায় নামেন এই প্রার্থী। তখন থেকে নিয়মিত ভোটারদের কাছে গিয়ে ভোট চাচ্ছেন এই প্রার্থী। 

২ লাখ প্রায় ৩৫ হাজার অনুসারী রয়েছে তাপসের ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে। এই পেজের মাধ্যমে তুলে ধরা হচ্ছে তার প্রচারণার নানা দিক। জানিয়ে দেয়া হচ্ছে পরবর্তী দিনের প্রচারণার সময় ও গণসংযোগস্থল।

এ সিটিতে ধানের শীষ প্রতীকে তাপসের বিপরীতে রয়েছেন সাদেক হোসেন খোকার ছেলে ইশরাক হোসেন। তরুণ এই প্রার্থী গণসংযোগের মতো সমানতালে প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। এক্ষেত্রে তাপসের তুলনায় এগিয়ে প্রয়াত মেয়র সাদেক হোসেন খোকার ছেলে। ভোটারদের কাছে নিজের বার্তা পৌঁছে দিতে তার নামের ফেসবুক পেইজটি একাধিকবার বুস্ট করা হয়েছে।

৬ লাখ ৯৩ হাজারের বেশি মানুষ এই পেইজের মাধ্যমে ইশরাককে অনুসরণ করছেন। আর এর মাধ্যমেই তার বিভিন্ন পথসভা, গণসংযোগের ভিডিও চিত্র তুলে ধরা হচ্ছে। 

মেয়র প্রার্থীদের মতোই একই পথে হাঁটছেন সাধারণ ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রার্থীরা। পিছিয়ে নেই সংরক্ষিত ওয়ার্ডে নারী প্রার্থীরা। ইতিমধ্যে নিজ নামে ফেসবুক পেজ ছিল না, এমন প্রার্থীরা নির্বাচনের প্রতীক বরাদ্দ পেয়ে পেজ খুলেছেন। আর এর মাধ্যমে ভোটারদের কাছে পৌঁছে দেয়ার চেষ্টা করছেন ওয়ার্ডকে ঘিরে তাদের ভাবনা, প্রতিশ্রুতির কথা। চাইছেন ভোট।

এআই/