ঢাকা, শনিবার   ০৫ অক্টোবর ২০২৪,   আশ্বিন ২০ ১৪৩১

চীন ফেরতরা ১৪ দিন থাকবে হজ ক্যাম্পে, বিশৃঙ্খলা না করার আহ্বান

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৩:২৩ পিএম, ৩১ জানুয়ারি ২০২০ শুক্রবার

করোনাভাইরাস সংক্রমণের কারণে চীনের উহানে আটকে পড়া তিন ৩৬১ বাংলাদেশিকে দেশে ফিরিয়ে আনা হচ্ছে।

আজ শুক্রবার বিকেলে বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইট তাদের আনতে চীনের উদ্দেশে রওনা হবে। মধ্যরাতে বিমানটি তাদের নিয়ে ঢাকায় ফিরবে।

ফ্লাইটটি ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছানোর পর তাদের সবাইকে আশকোনো হজ ক্যাম্পে ১৪ দিন পর্যবেক্ষণে রাখা হবে। সেখানে পুলিশের সঙ্গে সেনা সদস্যরা নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবেন।

চীনের উহান ফেরত এসব বাংলাদেশিদের সঙ্গে আশকোনার হজ ক্যাম্পে দেখা বা সাক্ষাৎ করার জন্য বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি সৃষ্টি না করার আহ্বান জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক স্বপন। 

তিনি বলেন, পর্যবেক্ষণের এই সময়টাতে তাদের সঙ্গে দেখা করার জন্য স্বজনরা যাতে ব্যাকুল না হন এজন্য সবাইকে ধৈর্য ধারণ করতে হবে। চীন থেকে যারা ঢাকা আসছেন, তাদের খবর টাইম টু টাইম জানানো হবে। হজ ক্যাম্পে যেন কোনো ধরনের বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির সৃষ্টি না হয়।

শুক্রবার সকালে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। 

এ সময় পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী এনামুর রহমান সেখানে উপস্থিত ছিলেন।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আশকোনায় পর্যবেক্ষণে যাদের সুস্থ পাওয়া যাবে, তাদের বাড়ি যেতে দেওয়া হবে। আর কেউ অসুস্থ হলে হাসপাতালে নিয়ে যথাযথ চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হবে।

জাহিদ মালেক আরও বলেন, আমাদের ছেলেমেয়েদের আনার জন্য আমরা সম্পূর্ণ প্রস্তুত। তারা দেশের সন্তান, তাদের দেখাশোনা করার দায়িত্ব আমাদের। তবে কেউ যদি সংক্রমিত হয় তা যেন ছড়িয়ে না পড়ে, আমাদের দেশ যাতে নিরাপদে থাকে, এটা দেখাও আমাদের দায়িত্ব। সেজন্য সমস্ত ব্যবস্থা নিয়েছি।

এ সময় পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবদুল মোমেন বলেন, প্রধানমন্ত্রী অত্যন্ত সংবেদনশীল। ছাত্রছাত্রীদের দুগর্তির কথা শুনে আমাদের নির্দেশ দিয়েছেন তাদের স্বদেশে নিয়ে আসার জন্য। চীন সরকার বলেছিল ১৪ দিন আগে তাদের রিলিজ করবে না। গতকাল (বৃহস্পতিবার) আমাদের জানিয়েছে তাদের পাঠানোর জন্য একটা পকেট পেয়েছে। সাথে সাথে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, আপনারা আনানোর ব্যবস্থা করেন।

বিশেষ এ ফ্লাইটে চীন থেকে দেশে ফিরতে ১৯টি পরিবার ও ২০ শিশুসহ ৩৬১ জন নিবন্ধন করেছেন বলেও জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেন, খুব সেনসিটিভলি এদের হ্যান্ডেল করব, কোয়ারেন্টাইনে রাখব। এই সময় পরিবারের কেউ যেন দেখা করার চেষ্টা না করেন। এরা কেউ অসুস্থ না, কিন্তু আমরা জানি না…।