নিউজিল্যান্ডকে ধোলাই করে ছাড়ল ভারত!
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৫:৩০ পিএম, ২ ফেব্রুয়ারি ২০২০ রবিবার
তিন উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরা জাসপ্রিত বুমরাহ
নিজেদের মাটিতে সব সময়ের দাপুটে দল নিউজিল্যান্ড এবার যেন পথই খুঁজে পেল না। শক্তিশালী ভারতের কাছে ৫-০ ব্যবধানে হোয়াইটওয়াশ হতে হলো তাদের! আজ রোববার সিরিজের পঞ্চম টি-টোয়েন্টিতে ৭ রানে জিতে টি-টোয়েন্টিতে বিশ্বের প্রথম দল হিসেবে প্রতিপক্ষকে ৫-০তে হোয়াইটওয়াশ করল ভারত।
এদিন টস জিতে প্রথমে ব্যাট করে তিন উইকেট হারিয়ে ১৬৩ রান তুলেছিল ভারত। হোয়াইটওয়াশের লজ্জা এড়াতে নিউজিল্যান্ডের প্রয়োজন ছিল ১৬৪ রান। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ৯ উইকেটে ১৫৬ তুলতে সক্ষম হয় তারা।
যদিও রান তাড়ায় নেমে একটা সময় বেশ সুবিধাজনক জায়গাতেই ছিল নিউজিল্যান্ড। ১২ ওভারে তিন উইকেটে তাদের সংগ্রহ ছিল ১১৩ রান। হাতে ৭ উইকেট নিয়ে ৪৮ বলে করতে হতো ৫১ রান। সমীকরণটা বেশ সহজই ছিলো। ক্রিজেও ছিলেন দুই সেট ব্যাটসম্যান টিম সেইফার্ট ও রস টেলর।
কিন্তু সেখান থেকেই ক্রমশ পিছিয়ে পড়ে তারা। আর ভারতীয় দল দেখালো- কীভাবে প্রতিকূল পরিস্থিতিতেও মরিয়া লড়াই চালিয়ে জয় তুলে নেয়া যায়। ১১৬ রানে চতুর্থ উইকেট হারানোর পর এর সঙ্গে মাত্র ১৭টি রান যোগ করতেই হারিয়ে বসে আরও চার উইকেট। যাতে আবারও সহজ জয় হাতছাড়া করে কিউইরা।
এদিন ভারতের এ জয়ের অন্যতম নায়ক জাসপ্রীত বুমরাহ। ৪ ওভারে মাত্র ১২ রান দিয়ে ৩ উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরা হয়েছেন এই পেসার। এছাড়া নবদীপ সাইনি নিয়েছেন ২৩ রানে ২ উইকেট। শার্দুল ঠাকুরও ২ উইকেট নিলেও রান দিয়েছেন ৩৮টি। তবে মূলত বোলারদের দাপটেই ম্যাচে ফিরেছিল ভারত।
এদিকে, এটা ছিল রস টেইলরের ক্যারিয়ারের শততম টি-টোয়েন্টি। মাইলফলকের এ ম্যাচে জয় না পেলেও ৪২ বলে তুলে নেন ব্যক্তিগত ৭ম ফিফটি। দায়িত্ব নিয়ে দলকে টানছিলেনও তিনি। শেষ পাঁচ ওভারে নিউজিল্যান্ডের দরকার ছিল ৪২ রান। টেইলরের কল্যাণে সেটাই একসময় এসে দাঁড়ায় ২৪ বলে ৩৫ রানের সমীকরণে।
তবে ১৭তম ওভারের শুরুতে শার্দুল ঠাকুরকে মারতে গিয়ে মণীশ পাণ্ডেকে ক্যাচ দেন মিচেল স্যান্টনার (৬)। একই ওভারে ফিরে যান স্কট কুগলেজেন (০)। পরের ওভারেই মোক্ষম আঘাত। নবদীপ সাইনির করা বাইরের বলে মারতে গিয়ে লোকেশ রাহুলকে ক্যাচ দেন ৪৭ বলে ৫৩ রান করা রস টেইলর। এর সঙ্গেই শেষ হয়ে যায় কিউইদের জয়ের সম্ভাবনাও।
শেষ ওভারে দরকার ছিল ২১ রানের, অবশ্য দুটি ছক্কা হাঁকিয়ে উত্তেজনাও ছড়িয়েছিলেন ইশ সোধি। কিন্তু তা ওই পর্যন্তই। ঠাকুরের করা ওই ওভারে ১৩ রানের বেশি নিতে পারেননি সোধি। যাতে ৭ রানের হার নিয়ে মাথা নিচু করেই মাঠ ছাড়তে হয় তাকে।
এনএস/