আবরার হত্যা: ছেলে সকালের চিন্তায় স্ট্রোক করে বাবার মৃত্যু
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৮:৪৯ পিএম, ২ ফেব্রুয়ারি ২০২০ রবিবার
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যা মামলার পাঁচ নম্বর আসামি রাজবাড়ীর ইফতি মোশাররফ সকালের বাবা ফকির মোশাররফ হোসেনের নামাজের জানাযা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রোববার (২ ফেব্রয়ারী) বিকাল ৫টা ১০ মিনিটের দিকে পৌর ১নং ওয়ার্ডের ২৮ কোলনী পৌর কবরস্থানের সামনে তার নামাজে জানাযা অনুষ্ঠিত হয়। ওই কবরস্থানে তার দাফন সম্পন্ন হয়।
এসময় ফকির মোশাররফ হোসেনের পরিবারের সদস্য, জনপ্রতিনিধিসহ স্থানীয় এলাকাবাসীরা জানাযায় অংশগ্রহন করে। ফকির মোশাররফ হোসেন রাজবাড়ী পৌরসভার ১ নং ওয়ার্ডের ধুনচি গ্রামের আটাশকলোনি এলাকার বাসিন্দা। সকালের বাবার মৃত্যুর সংবাদ আবরাব হত্যাকারী সকাল জানে কিনা জানতে চাইলে, কেউ কিছু বলেননি।
এদিকে পরিবারের একমাত্র উপর্যনকারী স্বামীর মৃত্যুতে প্রায় পাগল তার স্ত্রী রাবেয়া বেগম। এছাড়া ছেলে ইফতি মোশাররফ সকাল হত্যা মামলায় জেলে।
জানাগেছে, ছেলে ইফতি মোশাররফ সকাল বুয়েট শিক্ষার্থী অাবরাব হত্যা মামলার ৫ নম্বর অাসামি। সে রাজবাড়ী জেলা শহরের পৌর ১নং ওয়ার্ডের ধুনচী গ্রামের ফকির মোশাররফ হোসেনে বড় ছেলে। সকালের ছোট ভাই ৯ম শ্রেনীর ছাত্র। সকালের বাবার টিউশনী টাকায় চলতো তাদের সংসার। হত্যা মামলায় ছেলে সকাল গ্রেফতারের পর থেকে সারাক্ষন দুশ্চিন্তায় থাকতেন। ছেলের চিন্তায় স্ট্রোক করে মারা গেলেন ।
ফকির মোশাররফ হোসেন ভাগনে ইমরান হোসেন কাজল জানান, মামা শুক্রবার ঢাকা থেকে সকালের সাথে দেখা করে এসে গতকাল শনিবার দুপুর অসুস্থতা বোধ করে। সে সময় তাকে রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। পড়ে রাতে সে স্ট্রোক করে। চিকিৎসকরা রাতেই ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। কিন্তু ফরিদপুর নেবার পথেই রাত পৌন ৪টার দিকে তিনি মারা যান। আসলে তার ছেলে সকালের চিন্তায় তিনি মারা গেছেন। এখন সকালের মা ও ছোট ভাইয়ের ভবিষৎ অনিশ্চিত । কিভাবে তারা বাঁচবে তা বলা কষ্ট।
রাজবাড়ী সদর উপজেলা চেয়ারম্যান এমএ খালেক বলেন, ফকির মোশাররফ অনেক ভাল মানুষ ছিল। ছেলের চিন্তায় আজ সে পৃথিবীর মায়া ছেরে চলে গেল। এখন তাদের দুঃখ প্রকাশ করা ছাড়া আর কিছু নাই।
পৌর মেয়র মহম্মদ আলী চৌধুরী বলেন, আসলে সন্তান যত খারাপই হোক না কেন। বাবা তো তার জন্য চিন্তা করবেই। আজ সেই চিন্তা করতে করতে সকালের বাবা ফকির মোশাররফ মারা গেল। সবাই তার জন্য দোয়া করবেন, সে যেন বেহেসশত বাসী হয়।
ভাই আব্দুল হালিম বকুল বলেন, সকালের বাবার জন্য আপনারা সবাই দোয়া করবেন এবং তাকে ক্ষমা করে দেবেন। ভাই চলে গেল, সকালও জেলে এখন সকালের মা ও ছোট ভাইয়ের কি হবে।
আরকে//