ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৮ ১৪৩১

জুনিয়র মেয়েকে ফোন করাকে কেন্দ্র করে শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষ

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৮:৫২ পিএম, ২ ফেব্রুয়ারি ২০২০ রবিবার

রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের জুনিয়র এক মেয়েকে ফোন করাকে কেন্দ্র করে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই বিভাগের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এ ঘটনায় প্রায় ১৫ জন শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন।

রোববার (২ ফেব্রুয়ারী) বিশ্ববিদ্যালয়ের মেইন গেইট, লিপুস ক্যান্টিন, বালির মাঠ, কেন্দ্রীয় লাইব্রেরীসহ বিভিন্ন স্থানে আইন বিভাগ ও রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। দুপুর ১২টায় শুরু হয়ে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত চলে এ সংঘর্ষ।     

এতে আহত হন, আইন বিভাগের অংকিত, মেহেদি, মন্টু, মাসুদ, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সিফাত, ফাহাদ,সেজান, বাদশা, সাঈফসহ ১৫ জন। তাদের মধ্যে অংকিত, মেহেদি, সিফাত ও ফাহাদকে গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

জানা যায়, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের এক ছাত্রীকে আইন বিভাগের এক ছাত্র কর্তৃক ফোনে উত্যক্ত করার অভিযোগে ওই বিভাগের অন্যান্য শিক্ষার্থীরা আইন বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী অংকিত এর হামলা করে। এই খবর পেয়ে আইন বিভাগের শিক্ষার্থীরা ক্ষিপ্ত  হয়ে পাল্টা হামলা করে রাষ্টবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীদের উপর। এতে দুই বিভাগের শিক্ষার্থীদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ বাঁধে। 

উদ্ভুত ঘটনার আলোকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন মীমাংসা বৈঠক ডাকে। এরই মাঝে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীরা ফের হামলা করে ভাংচুর করে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরী, আইন বিভাগ, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগ, মার্কেটিং বিভাগ, পদার্থবিজ্ঞান বিভাগ, উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগসহ অন্তত ৫টি বিভাগের শ্রেণীকক্ষ। লাঞ্চিত করা হয় বেশ কয়েকজন শিক্ষককে।  খবর পেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডির সদস্য ও অন্যান্য শিক্ষকরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছিল। ক্যাম্পাসে পর্যাপ্ত পরিমাণ পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।     

এ বিষয়ে প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. রাজিউর রহমান বলেন, উদ্ভুত পরিস্থিতির আলোকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ঘটনাস্থলে যায় এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনায় যারাই জড়িত তদন্ত সাপেক্ষে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

কেআই/আরকে