ঢাকা, শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৯ ১৪৩১

চীন থেকে নাগরিকদের ফেরত নিচ্ছে না পাকিস্তান

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৯:১৪ এএম, ৩ ফেব্রুয়ারি ২০২০ সোমবার | আপডেট: ০৯:১৬ এএম, ৩ ফেব্রুয়ারি ২০২০ সোমবার

এখনই চীন থেকে নিজ নাগরিকদের ফিরিয়ে নিচ্ছে না পাকিস্তান- ফাইল ছবি

এখনই চীন থেকে নিজ নাগরিকদের ফিরিয়ে নিচ্ছে না পাকিস্তান- ফাইল ছবি

সাম্প্রতিক সময়ে বিশ্বজুড়ে এক আতঙ্কের নাম করোনাভাইরাস। প্রাণঘাতী নোবেল করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আজ সোমবার সকাল পর্যন্ত চীনে ৩০০ জন মারা গেছেন। এ ভারাইসের উৎপত্তিস্থল চীনের উহানে আটকে থাকা নাগরিকদের দেশে ফিরিয়ে নেবে না পাকিস্তান। প্রিয়জনদের স্বার্থেই তাদের উহানে থাকতে হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন ইমরান খান সরকারের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা। খবর এনডিটিভি’র।

এমন এক সময় এই মন্তব্য এসেছে, যখন বেশ কয়েকজন পাকিস্তানি নাগরিক তাদের ফিরিয়ে নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভিডিও পোস্ট করেছেন।

দেশটির প্রধানমন্ত্রীর স্বাস্থ্যসেবা বিষয়ক বিশেষ সহকারী জাফর মির্জা বলেন, ‘আমরা মনে করি, আমাদের প্রিয়জনদের স্বার্থেই তারা চীন অবস্থান করবেন। বিশ্ব, এ অঞ্চল ও দেশের বৃহৎ স্বার্থে তাদের এখন ফিরিয়ে আনা হচ্ছে না। ঠিক এখন উহান শহরে এই মহামারীর বিস্তার থামিয়ে দিয়েছে চীন সরকার। যদি আমরা দায়িত্বজ্ঞানহীনভাবে কাজ করি ও লোকজনকে সেখান থেকে নিয়ে আসি, তখন এই ভাইরাস দাবানলের মতো সারাবিশ্বে ছড়িয়ে পড়বে।’ এ বক্তব্য প্রদানের একদিন আগে চার পাকিস্তানি শিক্ষার্থী এই ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার কথা স্বীকার করে পাকিস্তান সরকার। 

১ কোটি ১০ লাখ লোকের উহানে ৫০০ পাকিস্তানি নাগরিক থাকেন। যাদের অধিকাংশই শিক্ষার্থী। তাদের দেশে ফিরিয়ে নিতে সরকারের প্রতি করুণ আর্তি জানিয়েছেন কয়েকজন।

সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট করা ভিডিওতে এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘আমি একজন পাকিস্তানি। আমার নাম নাদিম আবাজ। উহান থেকে আমি এই ভিডিও বানিয়েছি। এখানে ৫০০ পাকিস্তানি আটকা পড়েছেন। আমার বিশ্ববিদ্যালয়ের চার শিক্ষার্থী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। মারাত্মক শারীরিক অবস্থা নিয়ে তারা হাসপাতালে ভর্তি। পরিস্থিতি দিনে দিনে খারাপের দিকে যাচ্ছে। কাজেই আমাদের এখান থেকে নিয়ে যেতে পাকিস্তান সরকার ও দূতাবাসের কাছে আহ্বান জানাচ্ছি।’

চীনে আটকে পড়া ৬০০ শিক্ষার্থীকে ফিরিয়ে নিয়েছে প্রতিবেশী ভারত। তাদের মধ্যে দুই শিক্ষার্থীর শরীরে করোনাভাইরাস পজেটিভ বলে জানা গেছে।

এমএস/