পুলিশের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগের সত্যতা মেলেনি: পিবিআই
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৪:৪৯ পিএম, ৩ ফেব্রুয়ারি ২০২০ সোমবার | আপডেট: ০৪:৫৩ পিএম, ৩ ফেব্রুয়ারি ২০২০ সোমবার
খুলনার জিআরপি থানায় নারী ধর্ষণের যে অভিযোগ পুলিশের বিরুদ্ধে উঠেছিল তার সত্যতা মেলেনি বলে জানিয়েছেন পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে পিবিআই কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়।
পিবিআই খুলনার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আনিছুর রহমান জানান, খুলনার জিআরপি থানায় এক নারীকে রাতভর আটকে রেখে ৫ পুলিশের বিরুদ্ধে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছিল। এই অভিযোগের কোনো প্রমাণ পায়নি পিবিআই। এই ধর্ষণ মামলায় পিবিআই আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেছে।
তবে থানায় ওই নারীকে আটকে রেখে পুলিশের মারধর করার অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে তদন্তকারী সংস্থাটি।
আনিছুর রহমান বলেন, অভিযোগকারী নারীর মেডিকেল পরীক্ষায় ধর্ষণের প্রমাণ মেলেনি। এরপর ওই নারীকে ডিএনএ টেস্টের পরামর্শ দিলেও তিনি এই টেস্ট করাতে রাজি হননি।
উল্লেখ্য খুলনার জিআরপি পুলিশের সদস্যরা গত বছরের ২ আগস্ট যশোর থেকে ট্রেনে খুলনায় আসার পথে খুলনা রেলস্টেশনে ওই গৃবধূকে মোবাইল চুরির অভিযোগে আটক করে। পরদিন তাকে পাঁচ বোতল ফেনসিডিলসহ একটি মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে খুলনার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলি আদালত ফুলতলায় পাঠানো হয়।
৪ আগস্ট আদালতে জামিন শুনানিকালে ওই নারী অভিযোগ করেন, জিআরপি থানায় তিনি সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। তিনি দাবি করেন, ২ আগস্ট ঘটনার রাতে খুলনা জিআরপি থানায় ছিলেন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) উছমান গণি পাঠান, এসআই গৌতম কুমার পাল, এসআই নাজমুল হাসান, কনস্টেবল মিজান, হারুন, মফিজ, আব্দুল কুদ্দুস, আলাউদ্দিন, কাজল, দুই নারী কনস্টেবলসহ বেশ কয়েকজন।
এ ঘটনায় পাকশী রেলওয়ে জেলা পুলিশের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ নজরুল ইসলামের নির্দেশে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।
তদন্ত কমিটির প্রধান কুষ্টিয়া রেলওয়ে সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার ফিরোজ আহমেদ এবং সদস্যরা হলেন-কুষ্টিয়া রেলওয়ে সার্কেলের ডিআইও-১ পুলিশ পরিদর্শক (নিরস্ত্র) শ. ম. কামাল হোসেইন ও দর্শনা রেলওয়ে ইমিগ্রেশন ক্যাম্পের পুলিশ পরিদর্শক (নিরস্ত্র) মো. বাহারুল ইসলাম।
এসি