পরীক্ষায় এমসিকিউ`র উত্তর সরবরাহের কারণে ৫ শিক্ষকের কারাদণ্ড
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৬:২২ পিএম, ৩ ফেব্রুয়ারি ২০২০ সোমবার
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে এসএসসি ও সমমান দাখিল পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে দাখিল পরীক্ষার্থীদের এমসিকিউ এর উত্তর সরবরাহ করার দায়ে ৫ শিক্ষকের প্রত্যেককে দুই বছরের কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমান আদালত।
সোমবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ ফার্টিলাইজার স্কুল এন্ড কলেজের মাদ্রাসা কেন্দ্রে এই ঘটনাটি ঘটে। আশুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. নাজিমুল হায়দার এই ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেন।
সাজাপ্রাপ্তরা হলেন, উপজেলার চরচারতলা ইসলামিয়া আলিম মাদ্রাসার সহকারী সুপার মো. মাজহারুল ইসলাম (৪২) একই মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষক মো. শফিকুল ইসলাম (৩৫), খোলাপাড়া ওমেদ আলী শাহ দাখিল মাদ্রাসার সহকারী সুপার মো. মহিউদ্দিন (৩৮), তালশহর করিমিয়া ফাজিল মাদ্রাসার প্রভাষক কবির হোসেন (৪০) ও সরাইল উপজেলার পানিস্বর মাদেনিয়া গাউছিয়া দাখিল মাদ্রাসার সহকারী সুপার আব্বাস আলী (৫০)।
মোবাইল কোর্ট সূত্রে জানা যায়, চলমান দাখিল পরীক্ষার সোমবার সকালে আশুগঞ্জ ফার্টিলাইজার স্কুল এন্ড কলেজের মাদ্রাসা কেন্দ্রে ছিল কোরআন মাজিদ ও তাজভিদ পরীক্ষা। এসময় পরীক্ষা শুরু হওয়ার কিছুক্ষন পরেই কেন্দ্র সচিবের পাশের রুমে দণ্ডপ্রাপ্ত ৫ জন মিলে এই পরীক্ষার এমসিকিউ প্রশ্নের উত্তর লিখছিলেন। এসময় উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. নাজিমুল হায়দার ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আবুল হোসেন কেন্দ্র পরিদর্শনে যায়। পরে কেন্দ্র সচিবের পাশের রুমে যেতেই ৫ জন বহিরাগত মিলে এমসিকিউ প্রশ্নের উত্তর লিখাবস্থায় দেখে ফেলেন।
পরে তাদের আটক করে ভ্রাম্যমান আদালতের আওতায় নেয়া হলে তারা প্রত্যেকে তাদের অপরাধ স্বীকার করে নেয়ায় ৫ জনকেই দুই বছরের কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড দেয়া হয়।
আশুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. নাজিমুল হায়দার জানান, পাবলিক পরীক্ষাসমূহ (অপরাধ) আইনের ১৯৮০ এর ধারা ৯ (ক) মোতাবেক প্রত্যেককে দুই বছরের কারাদণ্ড এবং ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করা হয়েছে। পরীক্ষা কেন্দ্রে এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।
কেআই/এসি