উদ্ভাবনী সেবার উপর গুরুত্ব দিচ্ছে গ্রামীণফোন: ইয়াসির আজমান
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৭:১৫ পিএম, ৩ ফেব্রুয়ারি ২০২০ সোমবার
গ্রাহকদের পরিবর্তিত চাহিদা মেটাতে আধুনিকায়ন ও উদ্ভাবনী সেবার উপর গুরুত্ব দিচ্ছে গ্রামীণফোন। আজ রাজধানীর জিপি হাউজে গনমাধ্যমের সাথে আলাপকালে এ কথা বলেন গ্রামীণফোনের সিইও ইয়াসির আজমান।
যাত্রার শুরু থেকে ব্যবসা সম্প্রসারনের মধ্য দিয়ে সরকারের চলমান ডিজিটাল বাংলাদেশ বির্নিমানে যোগাযোগ প্রযুক্তির অংশীদার হিসাবে কাজ করে চলেছে গ্রামীণফোন।
যোগাযোগ প্রযুক্তির অংশীদার হিসাবে ডিজিটাল ইকোসিস্টেম বিনির্মানের মাধ্যমে সহজ ও শক্তিশালী সমাধান উদ্ভাবন করে ডিজিটাল সেবার সর্বোচ্চ সুবিধা গ্রাহকদের কাছে পৌঁছে দেয়ার উপর গুরুত্ব আরোপ করেন ইয়াসির আজমান।
তিনি আরও বলেন, গ্রামীণফোন সবসময়ই আন্তরিকভাবে বাংলাদেশের মানুষের কাছে সহজলভ্য যোগাযোগ প্রযুক্তির সেবা পেীছে দেয়ার জন্য সরকার ও অংশীদারদের সাথে কাজ করে চলেছে যেন সমাজের সর্বোস্তরে ডিজিটাল সেবা প্রাপ্তি নিশ্চিত করা যায়।
বর্তমানে গ্রাহকরা প্রত্যাশা করে গ্রামীণফোনের কাছ থেকে আরও কার্যকরী যোগাযোগ সেবা প্রত্যাশা করে যেটি তাদের জীবনকে আরও সহজ করে তুলবে।
গ্রামীণফোনের সর্বমোট গ্রাহকের ৫৩.১ শতাংশ ইতিমধ্যেই ইন্টারনেট সুবিধা ব্যবহার করছেন যেটি সামনে আরও বৃদ্ধি পাবে। ইন্টারনেট ব্যবহাবের বৃদ্ধির এই হার গ্রামীনফোনের জন্য একদিকে অনুপ্রেরনামূলক অন্যদিকে অনেক বড় দায়িত্ব।
শুরু থেকেই সময়োপযোগী ও কৌশলগত বিনিয়োগ ধারাবাহিকতার মাধ্যমে নেটওয়ার্ক আধুরিকায়ন কাজ করে চলেছে গ্রামীনফোন। এরই ধারাবাহিকতায় পরিকল্পিত বিনিয়োগ এর মাধ্যমে বাংলাদেশে ফোরজি ও এলটিই সর্বোচ্চ সেবা নিশ্চিত করে আইওটি এবং চতুর্থ শিল্পবিপ্লব ত্বরাণ্বিত করতে গ্রামীণফোন আইসিটি পোর্টফোলিও শক্তিশালীকরণে কাজ করছে।
পাশাপাশি নিয়ন্ত্রনমূলক সংস্থা, নীতি-নির্ধারক, ইকোসিস্টেম পার্টনার এবং শিল্পখাতের সাথে গঠনমূলক আলোচনার মাধ্যমে ফাইভজি নীতিমালা প্রনয়ন অংশ নিয়ে ডিজিটাল বাংলাদেশের লক্ষ্য পুরনে কাজ করছে ।
দেশের আর্থসামাজিক প্রবৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখছে গ্রামীণফোন। যাত্রা শুরুর পর থেকে সরকারের কোষাগারে প্রতিষ্ঠানটি ৭৫,৪৫০ কোটি টাকা জমা দিয়েছে। ২০১৯ সালে প্রতিষ্ঠানটি ৮,৫০০ কোটি টাকা জাতীয় কোষাগারে জমা দিয়েছে। ২০১৯ সালে প্রতিষ্ঠানটি এর আয়ের প্রতি ১শ’ টাকার মধ্যে ৫৯.২ টাকা কর, ভ্যাট, শুল্ক, লাইসেন্স/ তরঙ্গ ফি ও রাজস্ব হিসেবে সরকারকে দিয়েছে।
গ্রামীণফোন মনে করে সবার জন্য ইন্টারনেট গুরুত্বপূর্ণ কিন্তু নিরাপদ ইন্টারনেট আরও বেশি গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিষ্ঠানটি ইউনিসেফের সাথে যেীথভাবে নয় লাখ শিক্ষার্থীকে নিরাপদ ইন্টারনেট সম্পর্কে ইতিমধ্যে সচেতন করেছে।
ইয়াসির আজমান বলেন, শিক্ষার্থীদের এ সংখ্যা বাড়ানোর মাধ্যমে দেশজুড়ে আরও বেশি সংখ্যক শিক্ষার্থীকে সহায়তা করার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে প্রতিষ্ঠানটি।
প্রতিষ্ঠানটি এ সংখ্যা বৃদ্ধি করার পাশাপাশি দেশব্যাপী আরও শিশুদের সহায়তা করার পরিকল্পনা গ্রহণ করছে।
সম্প্রতি, উপকূলীয় মানুষ এবং মৎসজীবি সম্প্রদায় এর নিরাপত্তা বৃদ্ধি ও তাদের জীবনমান উন্নয়নে গ্রামীণফোন গভীর সমুদ্রে তাদের নেটওয়ার্কের সম্প্রসারিত করেছে। ফেরাটাম ও সৃজনীর সাথে অংশীদারিত্বের মাধ্যমে অপারেটরটি এর ডিভাইস ফাইন্যান্সিং কর্মসূচির মাধ্যমে প্রত্যন্ত অঞ্চলে নারীদের ডিজিটাল যোগাযোগ সুবিধা দিচ্ছে।
আধুনিকায়নের পথে নিজেদের ভূমিকার ওপর গুরুত্বারোপ করে ইয়াসির আজমান আরও বলেন, ‘গ্রাহকদের উন্নতমানের সেবা প্রদানের লক্ষ্যে পন্য ও সেবার আধুনিকায়ন করছে গ্রামীণফোন । বাংলাদেশের আইন, মানুষ ও সংস্কৃতির প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে নিজেদের কার্যক্রম পরিচালনা করছে গ্রামীণফোন।
সামাজিক ক্ষমতায়ণ ত্বরাণ্বিত করতে, অনলাইন নিরাপত্তা প্রচারণায় এবং বাংলাদেশে সঠিকভাবে ব্যবসায়িক কার্যক্রম অনুশীলনে আমরা সরকারসহ অন্যান্য অংশীদারদের সাথে আমাদের ধারাবাহিক কার্যক্রম চালিয়ে যাবো,’ বলেন ইয়াসির আজমান।
আরকে//