হাঁচি-কাশির মাধ্যমে ছড়ায় করোনা ভাইরাস: ডা. এবিএম আব্দুল্লাহ
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০২:৫০ পিএম, ৪ ফেব্রুয়ারি ২০২০ মঙ্গলবার | আপডেট: ০৩:০৭ পিএম, ৪ ফেব্রুয়ারি ২০২০ মঙ্গলবার
চীনের প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাস আতঙ্ক ক্রমাগত গ্রাস করে চলেছে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষকে। প্রতিনিয়ত লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে এই ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মৃত্যুর হারও।
করোনা ভাইরাস নিয়ে একুশে টেলিভিশনের জনপ্রিয় অনুষ্ঠান একুশের রাতে কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. এবিএম আব্দুল্লাহ।
অধ্যাপক ডা. এবিএম আব্দুল্লাহ বলেন, করোনা ভাইরাস আগেও ছিল কিন্তু মানুষ জানত না। চীনের উহান প্রদেশে নতুন করে এ ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব হওয়ার পর থেকে মানুষ জানতে পেরেছে। করোনা কিন্তু একটা ভাইরাস না, এটা হচ্ছে অনেকগুলো ভাইরাসের সমষ্টি। এর আগে ৬টা সম্পর্কে আমরা জানতাম। আর এটা হচ্ছে সপ্তম।
তিনি বলেন, প্রাণঘাতী এই নভেলা করোনা ভাইরাসটি চীনের উহান প্রদেশে ছড়িয়ে পড়ে। আর এটা এমন একটা মার্কেট থেকে ছড়ায়, যেখানে জীবজন্তু বিক্রি হয়। চাইনিজরা সব ধরনের জীব খায়! ধারণা করা হচ্ছে- ব্যাঙ, সাপ, বাদুড়ের স্যুপ খেয়ে সেখানকার কিছু লোক এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়। এ ভাইরাস আক্রমণ করে শ্বাসযন্ত্রে। এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে কিছু লোকের মারাত্মক নিউমনিয়া হয়ে গেছে। আর এরমধ্যে অনেক লোক মারাও গেছে। অন্যান্য কারণও আছে। পরে সনাক্ত করে দেখা গেল, এই একটা নতুন ভাইরাস আছে।
তিনি বলেন, ধারণা করা হচ্ছে- এটি জীবজন্তু থেকেই মানুষের শরীরে এসেছে। মূলত করোনা ভাইরাস কিন্তু জীবজন্তুরই ভাইরাস। আর এটা মানুষের মধ্যে সংক্রমণ হয়ে গেছে। আর একজন মানুষ যদি আক্রান্ত হয়ে যায়, তবে আরেকজনের কাছে ছড়ানোর ঝুঁকি অনেক বেশি। হাঁচি-কাশির মাধ্যমে এ ভাইরাস বাতাসে ছড়ায়। এভাবে অন্যজন আক্রান্ত হয়।
ডা. এবিএম আব্দুল্লাহ বলেন, আমাদের দেশে এটা এখনও পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। ভয় একটাই আমাদের দেশের অনেক লোক চীনে যায়। ব্যবসা-বাণিজ্য করাসহ অনেকে পড়াশুনা করতেও সেখানে যায়। আর চীন থেকে প্রতিদিন প্রচুর লোক আমাদের দেশে আসে। যদি কেউ এই ভাইরাসটা নিয়ে আসে। আর আমাদের মাঝে ছড়িয়ে পড়ে, তবেই বিপদ। তাই এই জায়গাতেই সতর্ক থাকতে হবে।
দেখুন ভিডিও...
একে//