করোনা ভাইরাস: মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৪৯২
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৯:০৭ এএম, ৫ ফেব্রুয়ারি ২০২০ বুধবার | আপডেট: ০৯:১৩ এএম, ৫ ফেব্রুয়ারি ২০২০ বুধবার
বিশ্ব থেকে চীনকে একঘরে করেছে প্রাণঘাতি করোনা ভাইরাস। উদ্বেগজনক হারে ছড়িয়ে পড়া করোনা ভাইরাসে নতুন করে দেশটিতে আরও ৬৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে চীনে করোনা ভাইরাসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ৪৯২ জনে। এছাড়া নতুন করে আরও ৩ হাজার ৮৮৭ জনেরও বেশি ব্যক্তির দেহে এ ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে।
সারা বিশ্বে এখন পর্যন্ত প্রতিষেধকবিহীন এই ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে অন্তত ২৪ হাজার ৩২৪ জন।
চীনের মূল ভূ-খণ্ডের বাইরে এখন পর্যন্ত মারা গেছে অন্তত দুইজন। মঙ্গলবার হংকংয়ে ৩৯ বছর বয়সী এক ব্যক্তি প্রাণ হারান। তিনি কিছুদিন আগেই করোনাভাইরাসের উৎসস্থল চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহর থেকে ফিরেছিলেন। এর আগে, গত সপ্তাহে ফিলিপাইনে মারা যান উহানফেরত আরও একজন।
চীনের খাদ্য ও ভারি শিল্প নির্মাণ হয় করোনার উৎপত্তিস্থল হুবেই প্রদেশ থেকেই। করোনা ভাইরাস যেভাবে হানা দিয়েছে তাতে খুব শিগগিরই চীনকে আরও কঠিন পরিস্থিতির মুখোমুখি পড়তে হবে বলে ধারণা করছেন বিশেষজ্ঞরা।
এদিকে, জাপানের ইয়োকোহামা বন্দরে কোয়ারেন্টাইনে রাখা প্রমোদতরীতে এখন পর্যন্ত অন্তত ১০ জনের শরীরে করোনা ভাইরাস ধরা পড়েছে। তবে এই সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। কারণ এই ১০ জনের বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে ২৭৩ জন যাত্রীকে পরীক্ষা করা মাত্র ৩১টি ফলাফলের মধ্যে। প্রমোদতরীটিতে মোট যাত্রীর সংখ্যা প্রায় ৩ হাজার ৭শ।
হংকংয়ে এখন পর্যন্ত করোনাভাইরাস আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছে অন্তত ১৭ জন। এ কারণে শহরটির সব ফ্লাইট বাতিল ঘোষণা করেছে যুক্তরাষ্ট্রের দুটি এয়ারলাইন্স কোম্পানি। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্যমতে, এখন পর্যন্ত বিশ্বের অন্তত ২৪টি দেশে ১৭৬ জন করোনা ভাইরাস আক্রান্ত হয়েছেন।
এদিকে এ ভাইরাসের আক্রান্তের সংখ্যা দ্রুত গতিতে বাড়ার কারণে বিশ্বের অন্যান্য দেশের সঙ্গে কার্যত বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে চীন। দেশটির নাগরিকদের মাঝে বইছে উদ্বেগ আর উৎকণ্ঠা।
মরণঘাতি এ ভাইরাস ক্রমে বেড়ে চললে ভারত, জাপান, রাশিয়া, যুক্তরাষ্ট্র ও থাইল্যান্ডসহ বিভিন্ন দেশ তাদের আকাশ পথ সাময়িক সময়ের জন্য বন্ধ করে দেয়। তাদের পর গত রোববার থেকে চীনের সঙ্গে সীমান্ত সাময়িক সময়ের জন্য বন্ধ রাখার ঘোষণা দেয় অস্ট্রেলিয়া, যুক্তরাষ্ট্র ও পাকিস্তানসহ কয়েকটি দেশ।
এদিকে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা কর্তৃক বৈশ্বিক জরুরি অবস্থা চলমান রয়েছে। অন্যদিকে, করেনাভাইরাস রোধে মাস্ক সংকটে পড়েছে চীন। পরিস্থিতি সামাল দিতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে প্রায় বিশ কোটি মাস্কের অর্ডার দিয়েছে দেশটি। অর্থনৈতিকভাবে ভয়াবহ সংকটে পড়ারও সম্ভাবনা রয়েছে বেইজিংয়ের।
গত ৩১ ডিসেম্বর চীনের উহান শহরে করোনা ভাইরাসের আবির্ভাব ঘটে। প্রতিনিয়ত এই ভাইরাসে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের শরীরে প্রাথমিক লক্ষণ হিসেবে শ্বাসকষ্ট, জ্বর, সর্দি, কাশির মত সমস্যা দেখা দেয়।