জাবি উপাচার্য অপসারণে নতুন কর্মসূচির ডাক
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ১০:২১ পিএম, ৫ ফেব্রুয়ারি ২০২০ বুধবার
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলামের অপসারণের দাবিতে ফের আন্দোলনের ডাক দিয়েছে দুর্নীতির বিরুদ্ধে জাহাঙ্গীরনগরের আন্দোলনকারী শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। বুধবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ও মানবিক অনুষদের শিক্ষক লাউঞ্জে এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন তারা।
উপাচার্য অপসারণের দাবিতে ৫ ফেব্রুয়ারি থেকে ৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত গণসংযোগ, ৬ ফেব্রুয়ারি বিক্ষোভ মিছিল, ১০ ফেব্রুয়ারি ভিসির অপসারণের দাবিতে ঝাড়ু মিছিল এবং ১২ তারিখ একই দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ করবে আন্দোলনকারী শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।
এছাড়া সংবাদ সম্মেলনে আন্দোলনকারী শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা উপাচার্যকে প্রকল্পের টাকা দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত থাকাসহ আন্দোলনকারীদের ওপর হামলার জন্য ইন্ধনদাতা ও মামলাবাজ হিসেবে উল্লেখ করেন। আর এসব অভিযোগের প্রেক্ষিতে শীঘ্রই উপাচার্যের অপসারণ দাবি করেন তারা এবং একই দাবিতে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
সংবাদ সম্মেলনে নৃবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক সাঈদ ফেরদৌস বলেন, সম্প্রতি শেষ হওয়া শিক্ষক সমিতির নির্বাচন পর্যালোচনা করলে আমরা দেখতে পাই, বিশ্ববিদ্যালয়ের একটা বড় অংশ দুর্নীতিগ্রস্থ উপাচার্যের অপসারণ চায়। এই নির্বাচন আমাদের শক্তি বৃদ্ধি করেছে। আমরা মনে করি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা এই উপাচার্যের অপসারণ দাবি করেন। এছাড়া আমরা খেয়াল করেছি বিশ্ববিদ্যালয়ের একটা বড় ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগের মধ্যে অস্থিরতা বিরাজ করছে এর কারণ প্রকল্পের দুর্নীতি।
লিখিত বক্তব্যে দুর্নীতির বিরুদ্ধে জাহাঙ্গীরনগরের সংগঠক মিখা পিরেগু বলেন, দুর্নীতিগ্রস্থ ও হামলাবাজ উপাচার্যকে অপসারণ করে এবং দুর্নীতির অভিযোগের সুষ্ঠু তদন্ত করে দোষী ব্যক্তিদের রাষ্ট্রীয় আইনে বিচারের মুখোমুখি করতে হবে এবং তাদের শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক জামাল উদ্দিন রুনু, অধ্যাপক তারেক রেজা, ছাত্র অধিকার পরিষদের আহবায়ক শাকিল উজ্জামান, ছাত্র ইউনিয়নের সম্পদক রাকিবুল রনি, সাবেক সভাপতি নজির আমিন চৌধুরী জয়, সাংস্কৃতিক জোটের সাবেক সম্পাদক শহিদুল ইসলাম পাপ্পু, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের সভাপতি শোভন রহমান, মাহাথির মুহাম্মদ, সম্পাদক আবু সাঈদ প্রমুখ।
কেআই/আরকে