ফাইনালে যেতে টাইগারদের লক্ষ্য ২১২
নাজমুশ শাহাদাৎ
প্রকাশিত : ০৫:৪৬ পিএম, ৬ ফেব্রুয়ারি ২০২০ বৃহস্পতিবার | আপডেট: ০৫:৪৮ পিএম, ৬ ফেব্রুয়ারি ২০২০ বৃহস্পতিবার
ফাইনালে যেতে টাইগারদের লক্ষ্য ২১২
অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের দ্বিতীয় সেমিফাইনালে নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে নিউজিল্যান্ডকে চেপে ধরে বাংলাদেশ। তবে টাইগার বোলারদের চোখ রাঙানীকে উপেক্ষা করেই ফিফটি তুলে নেন বেকহ্যাম হুইলার গ্রিন্যাল। তার ব্যাটে চড়েই ২১১ রান সংগ্রহ করে কিউই যুবারা। ফলে ফাইনালে ভারতের প্রতিপক্ষ হতে টাইগারদের লক্ষ্য ২১২ রান।
আজ বৃহস্পতিবার দক্ষিণ আফ্রিকার পচেফস্ট্রুমে যুব বিশ্বকাপের দ্বিতীয় সেমিফাইনালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টস জিতে ফিল্ডিং নিয়েছে বাংলাদেশ। এদিন ম্যাচের শুরু থেকেই প্রতিপক্ষকে চেপে ধরে টাইগাররা।
যাতে ৩১ রানেই প্রতিপক্ষের দুই উইকেট তুলে নেয় তারা। পাশাপাশি টেনে ধরেছে কিউইদের রানের লাগামও। এতে সবচেয়ে বড় অবদান রাকিবুল হাসানের। প্রথম স্পেলে ৫ ওভারে ৩ মেডেনসহ ৮ রান দিয়ে এক উইকেট নিয়েছেন এই বাঁহাতি স্পিনার।
এর আগে দ্বিতীয় ওভারেই উদ্বোধনী জুটি ভাঙে বাংলাদেশ। রিস মারিউসকে তানজিদ হাসানের ক্যাচ বানান আরেক স্পিনার শামীম হোসেন। ৫ বল খেলে ১ রান করেন কিউই ওপেনার।
এরপর কোয়ার্টার ফাইনালে ৫ উইকেট নেয়া রাকিবুল হাসান সাফল্য পান তার তৃতীয় ওভারে। ১২তম ওভারে আরেক ওপেনার ওলি হোয়াইটও শিকার হন তার। ৪৩ বলে ৩ চারে ১৮ রান করে বাংলাদেশ অধিনায়ক আকবর আলীর গ্লাভসে ধরা পড়েন হোয়াইট।
পরে ২১তম ওভারে এসে দ্বিতীয় উইকেট নেন শামীম। ৫০ বলে ৩ চারে ২৪ রানে শর্ট মিড উইকেটে ফার্গুস লেলম্যানের দারুণ ক্যাচ নেন মাহমুদুল হাসান জয়। কিউই অধিনায়ক জেসি তাসকফও বেশিক্ষণ ক্রিজে থাকতে পারেননি। ১৭ বলে ১০ রান করে হাসান মুরাদের কাছে বোল্ড হন। তাতে ৭৪ রানে চতুর্থ উইকেট হারায় ব্ল্যাক ক্যাপরা।
তবে এরপরও বড় জুটি গড়ে ফিফটি তুলে নিয়ে অনবদ্য ৭৫ রানের ইনিংস খেলেন গ্রিন্যাল। ৮৩ বল মোকাবেলা করা তার এ অপরাজিত ইনিংসে ছিল পাঁচটি চারের সঙ্গে দুটি ছক্কার মার। এছাড়া দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৪৪ রান আসে লিডস্টোনের ব্যাট থেকে।
মূলত এ দুজনের অবদানেই দুইশ পার হয় কিউইদের স্কোর। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ২১১ রান সংগ্রহ করে নিউজিল্যান্ড যুবারা।
কিউইদের এ ইনিংসে শুরুতে স্পিনাররা চেপে ধরলেও সফল বোলার ছিলেন পেসার শরিফুল ইসলাম। শেষ দিকে এসে ইকোনমি বাড়িয়ে ফেললেও নিজের কোটা ১০ ওভার শেষে তার বোলিং ফিগার দাঁড়ায় ১০-২-৪৫-৩। এছাড়া শামিম ও মুরাদ তুলে নেন ২টি করে উইকেট। তবে আগের ম্যাচেই পাঁচ উইকেট নেয়া রাকিবুল এদিন পান মাত্র একটি উইকেট।
এর আগে ওই রাকিবুলের ম্যাচ জয়ী বোলিংয়েই স্বাগতিক দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে যুব বিশ্বকাপের ইতিহাসে দ্বিতীয়বার সেমিফাইনালে ওঠে বাংলাদেশ। ২০১৬ সালে প্রথমবার শেষ চারে উঠেছিল মেহেদি মিরাজের দল। তবে এবার লক্ষ্যটা আরও বড়। ফাইনাল তো বটেই, আরও কিছু।
এনএস/