হিলিতে বন্দুকযুদ্ধে ডাকাত সর্দার নিহত
হিলি প্রতিনিধি
প্রকাশিত : ০২:১১ পিএম, ৭ ফেব্রুয়ারি ২০২০ শুক্রবার
দিনাজপুরের হিলিতে পুলিশের সাথে কথিত বন্দুকযুদ্ধে আন্ত:জেলা ডাকাত দলের সর্দার কহিদুল ইসলাম ওরফে তেীহিদুল (৪২) নামের এক ডাকাত নিহত হয়েছেন। এসময় ডাকাতের ছোড়া দেশীয় অস্ত্রের আঘাতে পুলিশের দুই সদস্য আহত হয়েছেন। তারা দিনাজপুর পুলিশ লাইন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। ঘটনাস্থল থেকে পাইপগান, গুলিসহ বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।
শুক্রবার ভোররাত ৪টার দিকে হিলির আলিহাটের কাশিয়াডাঙ্গা এলাকায় এই ঘটনাটি ঘটে। নিহত কহিদুল ইসলাম হিলির ধাওয়া নশিপুর গ্রামের মৃত সালামত প্রধানের ছেলে। আহত পুলিশ সদস্যরা হলেন, এসআই মাহে আলম ও কনস্টেবল ফজলুল হক। তারা পায়ে আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছেন। এদিকে ডাকাত সর্দার নিহতের ঘটনায় ওই গ্রামে মিষ্টি বিতরনের খবর পাওয়া গেছে।
হাকিমপুর সার্কেলের সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার আখিউল ইসলাম জানান, হিলির আলিহাট ইউনিয়নের কাশিয়াডাঙ্গা গ্রামে ডাকাতি করার উদ্দেশ্যে ডাকাত দলের কয়েকজন সদস্য সমাবেত হয়েছে এমন গোপন খবর পায় পুলিশ। সেই খবরের ভিত্তিতে শুক্রবার ভোররাত ৩টার দিকে পুলিশের রাত্রিকালীন বাওনা অভিযান পার্টিকে সেখানে পাঠানো হয়। এর পরে আমি ও থানার ওসিসহ পুলিশের অপর একটি বিশেষ টিম সেখানে যায়। এসময় ডাকাতদল পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা করে। এসময় পুলিশও আত্মরক্ষার্থে শর্টগানের ৩ রাউন্ড গুলি ছোড়ে, দুপক্ষের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার একপর্যায়ে আশেপাশের লোকজন চলে আসলে ঘটনাস্থল থেকে ডাকাত দলের সদস্যরা পালিয়ে যায়। এসময় স্থানীয় লোকজনের সহযোগীতায় খোজাখুজি করে দেখা যায় একজন অজ্ঞাত ব্যাক্তি তাদের সহযোগীদের গুলিতে গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত অবস্থায় পড়ে আছে। এসময় তল্লাশী চালিয়ে ঘটনাস্থল থেকে একটি দেশীয় তৈরি পাইপগান, দুটি গুলির খোসা, ১ রাউন্ড তাজাগুলি, দুটি চাইনিজ কুড়াল, একটি চাপাতি, দুটি ছোড়া উদ্ধার করা হয়।
এসময় স্থানীয় লোকজন মৃত ব্যাক্তিকে দেখে সনাক্ত করে যে সে কুখ্যাত ডাকাত সর্দার কহিদুল ইসলাম। এছাড়াও ডাকাতদের ছোড়া দেশীয় অস্ত্রের আঘাতে আমাদের দুই পুলিশ সদস্য এসআই মাহে আলম ও কনস্টেবল ফজলুল হক পায়ে আঘাত প্রাপ্ত হয়। আহত পুলিশ সদস্যদের চিকিৎসার জন্য দিনাজপুর পুলিশ লাইন হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এছাড়াও ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য দিনাজপুর এমরহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এদিকে থানার রেকর্ডপত্র যাচাই করে দেখা যায় তার বিরুদ্ধে হিলিসহ আশেপাশের বিভিন্ন থানায় ডাকাতি, চুরি, ছিনতাই, অপহরনসহ সর্বমোট ১৯টি মামলা রয়েছে ও ৯টি মুলতবি ওয়ারেন্ট রয়েছে। সে আন্ত:জেলা ডাকাতদলের সর্দার কোহিদুল ওরফে তৌহিদুল নামে পরিচিত। তার ভয়ে এলাকার লোকজন ভীত হয়ে রাতে ঘুমাতে পারতোনা এমনকি কৃষকের মুল্যবান সম্পদ গরু চুড়ি রোধে গ্রামের লোকজন লাঠি সোঠা হাতে নিয়ে পাহাড়া দিতো।
আরকে//