চীন ফেরত চিকিৎসক পাইলটরাও কোয়ারেন্টাইনে
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ১১:০৬ এএম, ৮ ফেব্রুয়ারি ২০২০ শনিবার | আপডেট: ১১:১২ এএম, ৮ ফেব্রুয়ারি ২০২০ শনিবার
মাস্ক পরে শাহজালাল বিমানবন্দরে বিদেশ থেকে আসা দুই শিশু।
চীনের উহান থেকে বাংলাদেশিদের ফিরিয়ে আনতে যাওয়া চিকিৎসক, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের পাইলট ও ক্রুদের ‘হোম কোয়ারেন্টাইনে’ রাখা হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছে সরকারের জাতীয় রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর)।
গতকাল শুক্রবার আইইডিসিআর কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদি সেব্রিনা ফ্লোরা জানান, উহানফেরত ৩১২ জনের কারও মধ্যে এখনও সংক্রমণ দেখা দেয়নি। তবে চীনে তাদের আনতে যাওয়া মেডিকেল টিমের সদস্য, বিমানের পাইলট ও ক্রুদের নিজ নিজ বাসা-বাড়িতে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। অর্থাৎ তারা হোম কোয়ারেন্টাইনে আছেন। ১৪ দিন পর্যন্ত তাদের বাড়ির বাইরে যাতায়াত না করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
উহানফেরতদের বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরে পরিচালক বলেন, তাদের ১১ জনের জ্বর থাকায় নমুনা সংগ্রহ করা হয়। পরীক্ষা শেষে কারও মধ্যে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া যায়নি। চার পরিবারের ওই ১১ জনকে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। বাকি ৩০১ জনকে রাজধানীর আশকোনা হজ ক্যাম্পে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। তাদের সবাই সুস্থ আছেন।
অধ্যাপক ফ্লোরা জানান, শুক্রবার সকাল পর্যন্ত হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে চীন থেকে আসা ৮ হাজার ৩৯৬ জন যাত্রীর শরীরের তাপমাত্রা পরীক্ষা করা হয়েছে। ৫০ জনের নমুনা পরীক্ষা করে কারও মধ্যে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ পাওয়া যায়নি।
করোনার সংক্রমণে ইতিমধ্যে ৭২৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। আক্রান্ত হয়েছে ৩০ হাজারেরও বেশি মানুষ। এই ভাইরাসটির সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়েছে ২৮টির মতো দেশে।
চীনের সঙ্গে গভীর বাণিজ্যিক সম্পর্কের কারণে বাংলাদেশে এই করোনাভাইরাসের ঝুঁকি রয়েছে। তবে সবচেয়ে আতঙ্কের খবর হলো- নতুন সৃষ্ট করোনাভাইরাসের কোনো টিকা কিংবা ওষুধ এখনও আবিস্কার হয়নি। বিষয়টি নিয়ে উদ্বিগ্ন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা করোনাভাইরাস নিয়ে বৈশ্বিক সতর্কতা জারি করেছে।
এরই মধ্যে চীনের উহান রাজ্যে ৩১২ বাংলাদেশিকে ফিরিয়ে আনতে বিমান পাঠিয়েছিল সরকার। ওই বিমানে চার সদস্যের মেডিকেল টিম, চারজন ককপিট ক্রু ও ১১ জন কেবিন ক্রু পাঠানো হয়। উহান থেকে ফেরা ওই পাইলটরা এখন কয়েকটি দেশে প্রবেশের অনুমতি পাচ্ছেন না। এ পরিস্থিতিতে অন্য পাইলটদের আবার চীনে পাঠানোর ঝুঁকি নিতে পারছে না বাংলাদেশ সরকার। ফলে দেশে ফিরতে আগ্রহী ১৭২ বাংলাদেশিকে আপাতত উহানেই অপেক্ষায় থাকতে হচ্ছে বলে স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্র জানিয়েছে।