এবাদত-লিটনের ভুলের মাশুল দিচ্ছে বাংলাদেশ
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৬:১৬ পিএম, ৮ ফেব্রুয়ারি ২০২০ শনিবার
সেঞ্চুরির পথে বাবর আজমের একটি শট
দ্বিতীয় দিনে শান মাসুদ ও বাবর আজমের দুই সেঞ্চুরিতে চড়ে বড় লিডের পথেই এগোচ্ছে পাকিস্তান। সেঞ্চুরির ঠিক পরেই তাইজুল ইসলাম মাসুদকে ফেরালেও ক্রিজে এখনও বহাল তবীয়তে বাবর আজম। সঙ্গে আছেন ফিফটি হাঁকানো আসাদ শফিক।
এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত পাকিস্তানের সংগ্রহ তিন উইকেটে ৩৩৫ রান। বাবর আজম ক্যারিয়ার সেরা ১৩৭ রানে এবং আসাদ শফিক ৬০ রানে ক্রিজে আছেন।
কিন্তু, সেঞ্চুরি তো দূরে থাক, বাবর আজম ফিরতে পারতেন শুরুতেই। আজহার আলীর বিদায়ের পর ক্রিজে আসেন পাকিস্তানের কোহলি। তাইজুলের নিয়মিত বোলিংয়ে খানিকটা চাপেই পড়েন বাবর। সেই চাপ থেকে মুক্তি পেতে ডাউন দ্য উইকেটে এসে মারতে গিয়ে ক্যাচ তুলে দেন টি-টোয়েন্টি ক্যাপ্টেন। বাংলাদেশের অবস্থানটা আরও ভালো হতে পারত যদি না তখন বাবরের তুলে দেয়া সেই ক্যাচটি লুফে নিতে পারতেন এবাদত।
বলের পেছনে ছুটেও শেষ পর্যন্ত বাবরকে জীবন দেন এবাদত। তার দেয়া জীবন পেয়ে সুযোগটা বেশ ভালোভাবেই কাজে লাগান বাবর। বাংলাদেশি বোলারদের বেধড়ক পিটিয়ে তুলে নেন ক্যারিয়ারের পঞ্চম শতক।
অবশ্য শুধু ওই একবার নয়। আরও একবার আউট হলেও হতে পারতেন বাবর। ৪৩তম ওভারে এবাদতের করা বলে ব্যাটের কানায় লেগে গালিতে ক্যাচ ওঠে, তবে ফিল্ডার না থাকাতে সেবারও বেঁচে যান বাবর।
বাবরের আগেই এদিন ব্যাট হাতে সেঞ্চুরি করেন শান মাসুদ। বাবরের মতো তিনিও একবার জীবন পান। তবে এবার আর এবাদত নয়, কালপ্রিট এবার লিটন দাস। রুবেলের করা বলে ব্যাটের কানায় লেগে বল যায় কিপারের হাতে। অবশ্য সেই মুহূর্তে কেউ কোনও আপিল করেননি। সবচেয়ে বড় অবাক করার বিষয় হলো- আউটের জন্য আপিল করেননি কিপার লিটনও। অন্যথায় হয়ত সেঞ্চুরি থেকে বঞ্চিত হলেও হতে পারতেন শান।
কিপার লিটনের ওই ভুলের কারণে ৫৩তম ওভারে ক্যারিয়ারের তৃতীয় সেঞ্চুরির তুলে নেন শান মাসুদ। তবে সেঞ্চুরির তুলে ক্রিজে টিকতে পারেননি মাসুদ। তাইজুলের বলে বোল্ড হন মাসুদ। সেই সাথে ভাঙে দুই ব্যাটসম্যানদের ১১২ রানের জুটি।
আজ শনিবার ইনিংসের ৫৩তম ওভারে এসে সেঞ্চুরি তুলে নেন শান মাসুদ। রুবেলের করা ওই ওভারের পঞ্চম বলে সিঙ্গেল নিয়েই ব্যাট উঁচিয়ে ক্যারিয়ারের তৃতীয় সেঞ্চুরি উদযাপন করেন বাঁহাতি এই ওপেনার। একইসঙ্গে টানা দুই ম্যাচেই সেঞ্চুরি পেলেন এই পাকিস্তানি। তার ১৬০ বলের ইনিংসে ছিল ১১টি চারের মার।
এর আগে রাওয়ালপিন্ডি টেস্টের প্রথম ইনিংসে ২৩৩ রানে গুটিয়ে যাওয়ার পর বোলিংয়ে নেমে শুরুটা খারাপ হয়নি বাংলাদেশের। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই পাকিস্তানের উদ্বোধনী জুটি ভেঙে দিয়েছিলেন পেসার আবু জায়েদ রাহী। উইকেটের পেছনে লিটন দাসের গ্লাভসবন্দি হন ওপেনার আবিদ আলি (০)।
এরপর দ্বিতীয় জুটি আজহার আলি ও শান মাসুদ রীতিমতো চোখ রাঙাচ্ছিলেন বাংলাদেশি বোলারদের। অবশেষে সেই জুটিও ভেঙে দেন আবু জায়েদ। স্লিপে নাজমুল হোসেন শান্তর তালুবন্দি করে আজহারকে (৩৪) ফিরিয়ে দিয়ে ভেঙে দেন ৯১ রানের জুটি।
এনএস/