জয় আমাদেরই হবে: মুশফিক
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ১১:৪৩ এএম, ৯ ফেব্রুয়ারি ২০২০ রবিবার
দীর্ঘ পথ পারি দিয়ে নতুন ইতিহাস গড়ার দ্বারপ্রান্তে বাংলাদেশি যুবরা। অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের মঞ্চে এর আগে বাংলাদেশ সর্বোচ্চ কোয়ার্টার ফাইনালে গিয়েছিলে ২০০৬ সালের আসরে।
এরপর চলে গেছে অনেকটা সময়, কিন্তু সেমিফাইনাল পেরিয়ে ফাইনালে ওঠে শিরোপা জয়ের স্বপ্ন পূর্ণতা পায়নি কখনো। এবার সে সুযোগ হাতছাড়া করতে চান না মাহমুদুল হাসানরা।
তাদের সেই উচ্ছ্বাসে বেশ আশাও দেখছেন জাতীয় দলের মি. ডিপেন্ড্যাবল খ্যাত মুশফিকুর রহিম। কেননা, ফাইনালের প্রতিপক্ষ যে সেই চিরচেনা ভারত।
এই ভারতের কাছেই অনেকবার হেরে শেষ পর্যন্ত তীরে এসে তরী ডুবেছে ছোট-জড় সবারই। বিশেষ করে মুশফিকের হাত ধরেই অনেক ইতিহাস রচিত হতে গিয়েও অধরা থেকে গেছে এশিয়া কাপসহ একাধিক টুর্নামেন্ট।
শুধু জাতীয় দল নয়, তাদের শীষ্যরাও এই ভারতের কাছে গেলেই কেন জানি খেই হারিয়ে ফেলে। সবশেষ গত বছরের সেপ্টেম্বরে শ্রীলংকার মাটিতে হওয়া যুব এশিয়া কাপের ফাইনালে খেলে যুবরা। প্রতিপক্ষ ভারতীয় যুব দল। শিরোপা লড়াইয়ের ম্যাচে মাত্র ১০৫ রানে ভারতকে গুটিয়ে দিলেও ১০১ রানে অলআউট হয়ে ৫ রানে হারের জ্বালা ভোগ করতে হয় আকবর আলীদের।
জয়ের এত ভাল সুযোগও কাজে লাগানো যায়নি। বাংলাদেশ শিবিরে সবসময়ই ভারত জুজু কাজ করে আসছে। তাদের বিরুদ্ধে ২২ ওয়ানডেতে মাত্র ৩টি ম্যাচে জিতেছে বাংলাদেশ যুব দল। ২০০২ ও ২০১৭ সালে একবার করে ও গত বছর জুলাইয়ে একবার জয় মিলে। বাকি ১৯টি ম্যাচেই হার হয়।
আর অনূর্ধ-১৯ ক্রিকেট বিশ্বকাপে চারবারের দেখায় ১টিতে (২০০২ সালের আসরে) জয় পায় টাইগাররা। ২০০০, ২০০৪ ও ২০১৮ সালের যুব বিশ্বকাপে হার হয় বাংলাদেশ যুব দলের।
তাইতো বিশ্বকাপের মঞ্চে প্রথমবার শিরোপা জয়ের হাতছানিকে কোনোভাবেই মিস করতে চাননা টাইগাররা। ফলে মুশফিকের উচ্ছ্বাসটা একটু বেশিই মুশফিকের।
পাকিস্তান সফরে না গেলও বিসিএল নিয়ে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন তিনি। একইসঙ্গে খেয়াল রাখছেন টাইগার যুবদের দক্ষিণ আফ্রিকা জয়ের এক একটি ধাপ। সেমিফাইনালে কিউইদের বিপক্ষে জয়ের মধ্যদিয়ে বাংলাদেশ সেমিতে উঠলে টিভি থেকে ভিডিও করে নিজের ফেসবুক পেজে ছড়িয়ে দেন জয়ের বার্তা, জানান অভিনন্দন মুশি।
এবার মূল পর্বে এসে আকবর-মাহমুদুল হাসানরা পাচ্ছেন জাতীয় দলের সাবেক এই অধিনায়কের শুভ কামনা।
মুশফিকুর রহিম বলেন, ‘ফাইনালে আসার আগ পর্যন্ত আমাদের দল অনেক ভাল খেলেছে। এটা ধরে রাখতে পারলে আমরা যেটা পারিনি, সেটা করে দেখাবে ছোট ভাইয়েরা। আশা করি তারা ভাল খেলবে এবং জয় আমাদেরই হবে, চ্যাম্পিয়ন আমরাই হব।’
জাতীয় দলের এ উইকেট রক্ষক ব্যাটসম্যান বলেন, ‘ভারতের বিপক্ষে ফাইনালে গিয়ে আমরা বারবার হোঁচট খেয়েছি। জয়ের কাছে গিয়েও হেরেছি। আমাদের সেই আক্ষেপ এবার ঘোচানোর সময় এসেছে। আমাদের ছোট ভাইয়েরা নিশ্চয়ই তাদের হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হবে এবং আমাদের শেখাবে। আমি তাদের অভ্যর্থনা ও অভিনন্দন জানাতে নিজে বিমানবন্দরে যাব।’
এআই/