ঢাকা, বুধবার   ২৭ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ১৩ ১৪৩১

অতিরিক্ত রানই পার্থক্য গড়ে দেয় দু’দলের 

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১১:২৫ পিএম, ৯ ফেব্রুয়ারি ২০২০ রবিবার | আপডেট: ১১:৩১ পিএম, ৯ ফেব্রুয়ারি ২০২০ রবিবার

ভারতকে হারিয়ে এই প্রথম যেকোনো ধরণের বৈশ্বিক আসরে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হলো বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। অনুর্ধ্ব-১৯ দলের এই সফলতা অর্জন মোটেও সহজ ছিল না। তবে জুনিয়র টাইগারদের কাজ সহজ করে দিয়েছে ভারতীয় বোলাররা। ইনিংসে একের পর এক অতিরিক্ত রান দিয়ে টাইগারদের নিয়ে এগিয়ে গেছেন জয়ের দিকে। 

ম্যাচ বিশ্লেষণে দেখা যায়, বাংলাদেশ দল মোট অতিরিক্ত রান দেয় ১১টি। এরমধ্যে ওয়াইড ছিলো ১০টি ও লেগ বাই ছিল ১টি। পক্ষান্তরে ভারত তাদের বোলিংয়ের সময় মোট অতিরিক্ত রান দেয় ৩৩টি। যা মোট রানের প্রায় ২০ শতাংশ। ভারতের দেওয়া ৩৩টি অতিরিক্ত রানের মধ্যে ১৯টি ওয়াইড, বাই ৮টি, লেগ বাই ৪টি, নো বলে ২টি রান রয়েছে। 

ভারতীয় বোলাররা এতো বেশি অতিরিক্ত রান না দিলে আকবর আলীদের জন্য জয়ের মঞ্জিলে পৌঁছা নি:সন্দেহে কঠিন হতো। 

ফাইনালে ভারতের ১৭৭ রানের জবাবে শুরুতে ভালোই এগুচ্ছিল বাংলাদেশ। বিনা উইকেটে ৫০ রান তুলে ফেলে জুনিয়র টাইগাররা। কিন্তু মাত্র ১৫ রানের ব্যবধানে চার উইকেট হারিয়ে বড় বিপদে পড়ে যায় যুবারা। তবে অধিনায়ক আকবরের ব্যাটে অবশেষে ৩ উইকেটে জিতে চ্যাম্পিয়ন হলো বাংলাদেশ।

এর মধ্যে হ্যামস্ট্রিংয়ে (থাইয়ের নিচে) টান পেয়ে মাঠ ছাড়েন ওপেনার পারভেজ হোসেন ইমন। সেই ইমন আবারও মাঠে ফিরে করলেন দারুণ লড়াই।

খোঁড়াতে খোঁড়াতে অধিনায়ক আকবর আলির সঙ্গে দুর্দান্ত এক জুটি গড়ে তোলেন ইমন। বাংলাদেশ জয় থেকে যখন ৩৫ রান দুরে তখন বিগশট খেলতে গিয়ে ক্যাচ আউট হয়ে ফিরেছেন তরুণ বাঁ-হাতি ক্রিকেটার। 

ফেরার আগে ৭৯ বল খেলে ৪৭ রান করেছেন। ৩২ ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর তখন ৭ উইকেটে ১৪৩। এরপর রাকিবুল হাসানকে নিয়ে লড়াই চালিয়ে যান অধিনায়ক আকবর আলি। হাতে বল বেশি থাকায় তাড়াহুড়া না করে ধীরলয়েই ছুটছিলেন লক্ষ্য পানে। 

তবে জয় থেকে যখন মাত্র ১৫ রান দূরে। ঠিক তখনই হুড়মুড়িয়ে নামে বৃষ্টি। যাতে বন্ধ হয়ে যায় ঐতিহাসিক ফাইনাল ম্যাচের খেলা।

এদিকে, আশার কথা হচ্ছে, বৃষ্টি থেমে গেছে। কাটা হয়েছে ৪টি ওভার। ফলে নতুন করে নির্ধারিত হয়ে বাংলাদেশের লক্ষ্যমাত্রা। আর তা হলো- ৪৬ ওভারে ১৭০। অর্থাৎ জিতে ইতিহাস গড়তে হলে টাইগারদের করতে হবে ৩০ বলে মাত্র ৭ রান। হাতে রয়েছে তিনটি উইকেট।

হাতের নাগালে থাকা এই লক্ষ্যমাত্রা মাত্র ৭ বলেই টপকে যান রাকিবুল হাসান ও আকবর আলি। যার মধ্যে উইনিং রানসহ ৬ রানই আসে বোলার রাকিবুলের ব্যাট থেকে। তবে অন্য প্রান্তে থাকা ক্যাপ্টেন আকবরই যে আসল কারিগর, আসল নায়ক। ধ্বংসস্তুপের মধ্য থেকে আকবরই যে দলকে চ্যাম্পিয়ন করেন। তাইতো আকবর দ্য গ্রেট। 

৭৭ বলে চারটি চার ও একটি ছক্কা হাঁকিয়ে ৪৩ রানে অপরাজিত থাকেন অধিনায়ক আকবর আলি। আর তার সঙ্গী রাকিবুল হাসান ছিলেন ৯ রান করে অপরাজিত।