সিঙ্গাপুরে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত এক বাংলাদেশি
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৮:৪৮ এএম, ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২০ সোমবার
প্রথমবারের মতো একজন প্রবাসী বাংলাদেশি করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। দ্বীপ রাষ্ট্র সিঙ্গাপুরে তার শরীরে এ ভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া গেছে। রোববার (৯ ফেব্রুয়ারি) সিঙ্গাপুর স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। এছাড়া দেশটিতে আরও তিন জন নতুন করে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন বলে ওই বিবৃতিতে বলা হয়।
সিঙ্গাপুরের দ্য স্ট্রেইটস টাইমসের রিপোর্টে বলা হয়েছে, করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত ওই বাংলাদেশির বয়স ৩৯ বছর। ওই প্রবাসী বাংলাদেশির শরীরে প্রথম এ ভাইরাসের লক্ষণ পাওয়া যায় গত ১ ফেব্রুয়ারি। সেদিনই তিনি চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন। ৫ ফেব্রুয়ারি আবারও ডাক্তার দেখান।
সর্বশেষ গত ৭ ফেব্রুয়ারি সিঙ্গাপুরের টান টক সেনগ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেওয়া হলে তাকে দ্রুত আইসোলেশনে নিয়ে যাওয়া হয়। বর্তমানে তিনি সিঙ্গাপুরের ন্যাশনাল সেন্টার ফর ইনফেকশাস ডিজিজেস (এনসিআইডি)-এর আইসোলেশন ওয়ার্ডে রয়েছেন।
রোববার শনাক্ত হওয়া বাকি দুজনের মধ্যে একজনের বয়স ৭১ বছর অন্যজনের বয়স ৫৪ বছর। এ নিয়ে সিঙ্গাপুরে শনাক্ত হওয়া করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা ৪৩-এ দাঁড়িয়েছে।
স্ট্রেইটস টাইমসের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ওই বাংলাদেশিসহ তিনজনের কেউই সম্প্রতিকালে চীনে যাওয়া-আসা করেননি। তাদের মধ্যে ছয় জনের অবস্থা গুরুতর, তারা সবাই আইসিইউতে রয়েছেন। তবে শারীরিক অবস্থার অবনতি না হওয়ায় ছয় জনকে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত শুক্রবার সিঙ্গাপুরে করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব মোকাবিলার পর্যায় একধাপ বাড়িয়ে কমলা রঙে নিয়ে গেছে। ডিজিসি আউটব্রেক রেসপন্স সিস্টেমস কন্ডিশন (ডরসন) মোতাবেক এর পরে রয়েছে লাল ধাপ। কমলার অর্থ হলো- সংক্রমণ মাঝারি থেকে উচু পর্যায়ের জনস্বাস্থ্য ঝুঁকি রয়েছে, তবে পরিস্থিতি এখনও নিয়ন্ত্রণের আওতায়।
এ বিষয়ে সিঙ্গাপুরের অনলাইনভিত্তিক সংবাদ মাধ্যম মাদারশিপের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ওই প্রবাসী বাংলাদেশি হাসপাতালে ভর্তির আগে মুস্তাফা সেন্টারে গিয়েছিলেন এবং সেখানে দ্য লিও ডরমিটরিতে ছিলেন। গত কয়েক সপ্তাহ সিঙ্গাপুরবাসীদের জন্য মুস্তাফা রীতিমতো প্রাণকেন্দ্রে পরিণত হয়। মাস্ক কেনার জন্য বহু মানুষকে দেখা গেছে ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে।
এএইচ/