নিপীড়ন মামলায় রিমান্ডে রাবি ছাত্রলীগের কর্মী
রাবি সংবাদদাতা
প্রকাশিত : ০৮:১৯ পিএম, ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২০ সোমবার
নিপীড়ন মামলায় রিমান্ডে রাবি ছাত্রলীগের কর্মী
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) এক ছাত্রীকে নিপীড়ন ও তার ভিডিও ধারণ করে ব্ল্যাকমেইল করার অভিযোগে দায়েরকৃত মামলায় মূল আসামি মাহফুজুর রহমান সারদকে (২২) জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) রিমান্ডে নেয়া হয়েছে।
এর আগে এ মামলায় মাহফুজুর রহমান সারদ ও তার চার সহযোগীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। মাহফুজুর রাবির অর্থনীতি বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ও রাবি শাখা ছাত্রলীগের সক্রিয় কর্মী।
গ্রেফতার হওয়া অন্য চারজন হলেন- রাজশাহীর বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষার্থী রাফসান, নগরীর কাজলা এলাকার প্লাবন তালুকদার, জীবন ও জয়।
মতিহার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এসএম মাসুদ পারভেজ জানান, গত ২৭ জানুয়ারি ভুক্তভোগী রাবির ছাত্রী তার বাবা-মাসহ থানায় এসে ৬ জনকে আসামি করে নিপীড়ন ও ব্ল্যাকমেইলের অভিযোগে মামলা দায়ের করেন। মামলার দায়েরের পরপরই অভিযান চালিয়ে মূল আসামি মাহফুজুর রহমান সারদ, তার সহযোগী প্লাবন তালুকদার ও রাফসানকে গ্রেফতার করা হয়। সে সময় তাদের কাছ থেকে নিপীড়নের ছবি ধারণ করা মোবাইল ফোনও উদ্ধার করে পুলিশ।
ওসি আরও জানান, রোববার (৯ ফেব্রুয়ারি) জীবন ও জয় নামে অপর দুই আসামিকে গ্রেফতার করা হয়। আদালতে হাজির করে তাদের রিমান্ড আবেদন করা হলে মূল আসামি মাহফুজুর রহমান সারদের রিমান্ড মঞ্জুর করে আদালত। তাকে সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করা হয়েছে।
এদিকে, ভুক্তভোগী ছাত্রীর দায়ের করা মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, গত ২৪ জানুয়ারি রাত সাড়ে ৮টার দিকে বেড়াতে যাওয়ার কথা বলে রাবির ওই ছাত্রীকে ক্যাম্পাস সংলগ্ন কাজলা সাকোপাড়া এলাকায় মাহফুজুর রহমান সারদ তার ভাড়া বাসায় নিয়ে যায়। সেখানে তাকে জোরপূর্বক নিপীড়ন করে। আর পূর্ব পরিকল্পিতভাবে তার ৫ সহযোগীকে দিয়ে সেই নিপীড়নের ভিডিও ধারণ করে।
পরে ওই ছাত্রী বিষয়টি সম্মানের ভয়ে চেপে গেলেও সেই ভিডিও দেখিয়ে তার কাছে ৫০ হাজার টাকা দাবি করা হয়। অন্যথায় ভিডিওটি ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেয়ার হুমকি দেয়। বিষয়টি ওই ছাত্রী তার বাবা-মাকে জানালে তারা মামলা করার সিদ্ধান্ত নেয়।
এনএস/