চীনের পর করোনায় বেশি আতঙ্ক উত্তর কোরিয়া
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ১২:৩৩ পিএম, ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২০ মঙ্গলবার | আপডেট: ১২:৪২ পিএম, ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২০ মঙ্গলবার
চীনের সঙ্গে উত্তর কোরিয়ার ১ হাজার ৪০০ কিলোমিটার সীমান্ত রয়েছে- গুগল ম্যাপ
চীনে অবির্ভূত প্রাণঘাতি করোনা ভাইরাসে দেশটির হুবেই প্রদেশে উহান শহর যেন মৃত্যুপুরীতে পরিণত হয়েছে। আজ মঙ্গলবার পর্যন্ত মহামারী এই ভাইরাসে চীনে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ১৩ জনে। এদিকে প্রাণঘাতী এ ভাইরাসে মৃত্যু কিংবা আক্রান্ত হওয়া নিয়ে এখন পর্যন্ত কোন বক্তব্য না দিলেও চীনের পর বেশি আতঙ্কিত উত্তর কোরিয়া।
বিভিন্ন গণমাধ্যমের উঠে আসছে, চীন থেকে অভিন্ন সীমান্ত দিয়ে ভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়েছে সীমান্তবর্তী শহরগুলোতে। ইতোমধ্যে এতে পাঁচজনের মৃত্যুও হয়েছে।
বিশ্বের অন্যতম দরিদ্র দেশটির অনুন্নত ও দুর্বল স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থা ও মরণঘাতী ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে পর্যাপ্ত প্রস্তুতি ও মেডিকেল সরঞ্জামের অভাবে ভয়াবহ সংকটের মুখে অসহায় কোরীয় জনগণ।
করোনা ভাইরাসের প্রবল ছোবলে গোপনে কাঁদছে উত্তর কোরিয়া। সোমবার দক্ষিণ কোরিয়াভিত্তিক দৈনিক ডেইলি এনকের এক প্রতিবেদনে এ চিত্র তুলে ধরা হয়েছে।
চীনের পূর্বাঞ্চলের উত্তর কোরিয়া সীমান্তবর্তী শহর লিয়াওনিং ও জিলিনে এখন পর্যন্ত ১৫০ জনের আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এরই মধ্যে বিশ্বের অন্তত ৩০টি দেশে করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে।
ভাইরাসের ভয়ে চীনের সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করেছে বহু দেশ। ভীত উত্তর কোরিয়ার সরকারও। তাদের এই ভীতির অন্যতম চিহ্ন হচ্ছে, শনিবার কোরীয় সেনাবাহিনীর ৭২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী থাকলেও এবার আর কোনো ধরনের আয়োজন কিংবা সেনা কুচকাওয়াজ বা সামরিক সরঞ্জাম প্রদর্শন করেনি পিয়ংইয়ং।
কিন্তু গত বছরও সর্বোচ্চ নেতা কিম জং উনের উপস্থিতিতে সাড়ম্বরে সশস্ত্র বাহিনীর প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন হয়েছিল। এছাড়া গত বছরের এই সময়ে লেটেস্ট মডেলের ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা ও ভয়াবহ সব যুদ্ধ সরঞ্জামের প্রদর্শনী করা হলেও এ বছর এখন পর্যন্ত তেমন কোনো পরীক্ষা চালানো হয়নি।
চীনের সঙ্গে উত্তর কোরিয়ার ১ হাজার ৪০০ কিলোমিটার সীমান্ত রয়েছে। এক নায়ক কিম জং উন তার যাবতীয় কূটনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্কের প্রায় পুরোটাই চীনের সঙ্গে বজায় রাখেন।
৯০ শতাংশ বাণিজ্যই হয় চীনের সঙ্গে। তবে করোনা ভাইরাসের মহামারীর কারণে ব্যবসা-বাণিজ্যসহ সব ধরনের যোগাযোগ বন্ধ করে দিয়েছে পিয়ংইয়ং। সেই সঙ্গে সব ধরনের পর্যটক প্রবেশও নিষিদ্ধ করেছে।
এমএস/