এবার হোয়াইটওয়াশ কোহলির ভারত
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৪:৪৩ পিএম, ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২০ মঙ্গলবার
টি-টোয়েন্টিতে হোয়াইটওয়াশ হওয়ার বদলা নিল নিউজিল্যান্ড
টি-টোয়েন্টিতে হোয়াইটওয়াশ হওয়ার বদলা নিল নিউজিল্যান্ড। এবার পাল্টা হিসেবে ওয়ানডে-তে হোয়াইটওয়াশ করলো কোহলির ভারতকে। নিজেদের ক্রিকেট ইতিহাসে ৩১ বছর পর ৩-০তে ওয়ানডে সিরিজ হারলো বিরাট বাহিনী। অধিনায়কের ধারাবাহিক ব্যর্থতায় আজ ভারত হেরেছে ৫ উইকেটের ব্যবধানে।
এর আগে ১৯৮৩/৮৪ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে ৫-০ এবং ১৯৮৮/৮৯ সালে একই দলের কাছে ৫-০তে হোয়াইটওয়াশ হয়েছিল ক্রিকেট পরাশক্তি ভারত।
যদিও ওয়ানডে সিরিজের আগে টি-টোয়েন্টি সিরিজে এই নিউজিল্যান্ডকেই ০-৫ ব্যবধানে হোয়াইটওয়াশ করেছিল বিরাট কোহলির এই দলটি।
আজ মাউন্ট মঙ্গানুইয়ে টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে ২৯৬ রান সংগ্রহ করে ভারত। জবাবে জয়ের জন্য ২৯৭ রানের টার্গেটে খেলতে নেমে নিউজিল্যান্ডের ওপেনিং জুটি মার্টিন গাপটিল ও হেনরি নিকোলস বেশ স্বাচ্ছন্দ্যেই এগুচ্ছিলেন। দলীয় ১০৬ রানের মাথায় এই জুটি ভাঙে। ব্যক্তিগত ৬৬ রানে চাহালের বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন গাপটিল।
এরপর নিকোলসের সঙ্গী হন নিয়মিত অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন। এই জুটি ৫৩ রান যোগ করে বিচ্ছিন্ন হয় সেই চাহালের বলেই। মায়াঙ্ক আগারওয়ালের হাতে ক্যাচ দিয়ে ২২ রানে ফেরেন উইলিয়ামসন। এরপর ক্রিজে এসে আজ আর বেশি কিছু করতে পারেননি আগের দুই ম্যাচের নায়ক রস টেইলর। জাদেজার বলে কোহলির হাতে ধরা পড়েন মাত্র ১২ রান করেই।
অন্য প্রান্ত আগলে রেখে দলকে বিজয়ের পথে রেখেই দলীয় ১৮৯ রানের মাথায় ফেরেন ওপেনার নিকোলস। শার্দুল ঠাকুরের বলে রাহুলের তালুবন্দি হয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরার আগে করেন ৮০ রান। ১০৩টি বল মোকাবেলা করে ৯ বাউন্ডারির সাহায্যে ওই রান করেন কিউই ওপেনার।
এরপর জয়ের জন্য প্রিয়োজনীয় কাজটি করেন টম ল্যাথাম ও কলিন গ্রান্ডহোমে। মারমুখি ব্যাট করে ২৮ বলের মোকাবেলায় তিন ছক্কা ও ছয় বাউন্ডারির সাহায্যে ৫৮ রানে অপরাজিত থাকেন গ্রান্ডহোমে। অপরদিকে ৩২ রান নিয়ে অপরাজিত থাকেন টম লাথাম। যাতে ১৭ বল হাতে রেখেই নিশ্চিত হয় ৫ উইকেটের বিজয়।
এর আগে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামে ভারত। ৫০ ওভারে ৭ উইকেটের বিনিময়ে ২৯৬ রান করতে সক্ষম হয় কোহলিরা। এই রান তোলার পথে সবচেয়ে বড় ভূমিকা পালন করেন লোকেশ রাহুল। ১১৩ বল মোকাবেলা করে দুই ছক্কা ও নয় বাউন্ডারির সাহায্যে ১১২ রান করে বেনেটের বলে আউট হন এই উইকেট কীপার ব্যাটসম্যান। এছাড়া শ্রেয়াস আয়ার ৬২, মানিশ পান্ডে ৪২, পৃথ্বিবী শ্ব ৪০ রান করেন। কিউই বোলার পক্ষে সর্বোচ্চ ৪টি উইকেট লাভ করেন বেনেট।
এদিকে, তিন ম্যাচ সিরিজের শেষ ম্যাচে সেরা প্লেয়ারের পুরস্কার পান হেনরি নিকোলস এবং সিরিজ সেরার পুরস্কার পান রস টেইলর।
এএইচ/এনএস