রাবিতে নিয়োগ বাণিজ্যের জের ধরে শিক্ষক লাঞ্ছিত
রাবি সংবাদদাতা:
প্রকাশিত : ০৭:৫২ পিএম, ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২০ বুধবার
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগ বাণিজ্যের জের ধরে এক শিক্ষকের দ্বারা আরেক শিক্ষক লাঞ্ছিতের অভিযোগ উঠেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রপ সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি বিভাগের শিক্ষক প্রফেসর ড. খাইরুল ইসলামের নামে এই অভিযোগ করেন একই বিভাগের প্রফেসর ড. মু. আলী আসগর।
জানা গেছে, বুধবার দুপুর ১২ টার দিকে কৃষি অনুষদের ফটোকপি মেশিন থেকে কিছু অফিসিয়াল নথি ফটোকপি করাচ্ছিলেন প্রফেসর ড. আলী আসগর। এমন সময় হঠাৎ প্রফেসর খাইরুল তাকে ধাক্কা মেরে ফেলে দেন, সেসময় মাথায় আঘাত লাগার সাথে সাথে পড়ে গিয়ে জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন তিনি। পরে ডিন অফিসের কয়েকজন কর্মকর্তা-কর্মচারী এসে উদ্ধার করে মাথায় পানি ঢালার পর প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেলে ভর্তি করা হয়।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী প্রফেসর ড. আলী আসগর বলেন, ক্রপ সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি বিভাগের শিক্ষক নিয়োগ বিষয়ে হাইকোর্টের রিট আবেদন প্রত্যাহার না করার কারণে বিভিন্নভাবে তার ক্ষতি করার চেষ্টা চালাচ্ছেন শিক্ষক খাইরুল ইসলাম। এর আগেও তিনি বিভিন্ন সময় হুমকি দিয়েছেন। আজকেও তার ব্যাতিক্রম ঘটেনি। আমি যদি কোন ভুল করে থাকি তাহলে সে আমার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করুক সমস্যা নাই কিন্তু একজন শিক্ষক হয়ে কিভাবে আমার গায়ে হাত তুলেন তিনি। আমি সুস্থ হয়ে তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করবো।
প্রত্যক্ষদর্শী কৃষি অনুষদের কম্পিউটার অপারেটর কামরুল ইসলাম বলেন, আমি নাস্তা করছিলাম এমন সময় হঠাৎ কেউ পড়ে যাওয়ার মত জোরে শব্দ হলো। আমি দ্রুত রুম থেকে বের হয়ে দেখি আলী আসগর স্যার জ্ঞান হারিয়ে পড়ে আছেন। আমরা কয়েকজন মিলে উনাকে ডিন অফিসের ভেতরে নিয়ে গিয়ে পানি ঢাললাম পরে বিভাগের কয়েজন মিলে বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেলে নিয়ে যায়। প্রফেসর খাইরুল ইসলামের ধাক্কা মারার বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি আরো বলেন, খাইরুল স্যারকে ধাক্কা মারতে দেখিনি তবে তিনি সেখানে উপস্থিত ছিলেন।
অভিযোগের বিষয়ে প্রফেসর ড. খাইরুল ইসলাম বলেন, হাইকোর্টে একটি মামলা চলছে। আমাদের কয়েকজন শিক্ষকের গোপন কিছু ব্যক্তিগত ডকুমেন্ট না জানিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন। আমি উনাকে ডাক দিয়ে হাত থেকে ডকুমেন্টগুলো নিয়ে নেই। ধাক্কা মারার বিষয়ে তিনি বলেন, আমি তাকে ধাক্কা মারিনি সে নিজেই অভিনয় করে পড়ে যাওয়ার ভান করেন আর ডকুমেন্টগুলো আমি নিয়ে নেয়ার ফলে তার পেশার বেড়ে যায় এর জন্যই তিনি অসুস্থ্য হয়ে যান। তখন আমিও তাকে উঠানোর জন্য এগিয়ে আসি।
উল্লেখ্য, এর আগে গত ১০ নভেম্বর ক্রপ সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি বিভাগের শিক্ষক খাইরুল ইসলামের বিরুদ্ধে নিরাপত্তা চেয়ে থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছিলেন শিক্ষক ড. মু. আলী আসগর।
আরকে//