ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৮ ১৪৩১

পাকিস্তানের পর ‘পঙ্গপাল’র ঝুঁকিতে ভারত

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১০:৪৮ এএম, ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২০ শনিবার | আপডেট: ১০:৫৫ এএম, ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২০ শনিবার

পঙ্গপালের আক্রমণে জন জীবনও বিপর্যস্ত হতে পারে - সংগৃহীত

পঙ্গপালের আক্রমণে জন জীবনও বিপর্যস্ত হতে পারে - সংগৃহীত

পঙ্গপাল ধেয়ে আসছে ভারতের দিকে। এতে ঝুঁকিতে পড়েছে দেশটি। পঙ্গপালের আক্রমণে চলতি বছরের মে মাস থেকে দুর্যোগে পড়তে পারে ভারত। ইতোমধ্যে দেশটিতে সতর্কতা জারি করা হয়েছে। 

পঙ্গপাল হচ্ছে, ছোট শিংয়ের বিশেষ প্রজাতির পোকা। যাদের জীবন চক্রে দল বা ঝাঁক বাধার পর্যায় থাকে। এই পতঙ্গগুলো সাধারণত একাই থাকে কিন্তু বিশেষ অবস্থায় তারা একত্রে জড়ো হয়। তখন তাদের আচরণ ও অভ্যাস পরিবর্তিত হয়ে সঙ্গলিপ্সু হয়ে পড়ে। পঙ্গপাল এবং ঘাস ফড়িংয়ের মধ্যে কোন পার্থক্যগত শ্রেণীভাগ নেই।

পঙ্গপাল- সংগৃহীত

সাধারণভাবে ব্যপকার্থে ফসলের ক্ষতি করে না পঙ্গপাল। তবে অনাবৃষ্টির পর দ্রুত ফসলের বর্ধন হলে পঙ্গপালের মস্তিষ্কে থাকা সেরোটোনিন তাদের মধ্যে আচরণগত পরিবর্তনের সূত্রপাত করে। ফলে তারা প্রচুর পরিমাণে ও দ্রুত জন্মদান শুরু করে। তখন তারা একত্রে থাকে, যখন তাদের সংখ্যা বেশি হয় তারা যাযাবর হয়ে পড়ে। এতে থাকে পাখাবিহীন ছোট পঙ্গপাল যেটা পরে পাখা জন্মে দলে যোগ দেয়। এই পাখাবিহীন এবং পাখনাসহ পঙ্গপালের দল এক সঙ্গে চলাচল করে এবং দ্রুত ফসলের মাঠের ক্ষতি করে। পূর্নবয়স্ক পঙ্গপাল শক্তিশালী উড্ডুক্কু তারা অনেক দূর পর্যন্ত উড়তে পারে আর পথে যেখানেই থামে সেখান থেকে ফসল খেয়ে শক্তি অর্জন করে। পঙ্গপালের আক্রমণে জন-জীবনও বিপর্যস্ত। 

ক্ষেতের ফসলে পঙ্গপালের আক্রমণ- সংগৃহীত

পঙ্গপালের বিশ্ব খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (ফাও) সতর্কতা জারি করেছে। ভারতমুখি পঙ্গপালের বিষয়ে নয়াদিল্লির শীর্ষ এক কর্মকর্তা বলেছেন, এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ভারত প্রস্তুত।
 
ফাও’র পঙ্গপালবিষয়ক জ্যেষ্ঠ পূর্বাভাস কর্মকর্তা কেইথ ক্রেসম্যান সংবাদমাধ্যমকে বলেন, এ বছর দুই দফায় পঙ্গপালের আক্রমণের ঝুঁকি তৈরি হয়েছে। এই পঙ্গপাল তেড়ে আসবে ইরান ও হর্ন অব আফ্রিকা (জিবুতি, ইরিত্রিয়া, ইথিওপিয়া ও সোমালিয়া) অঞ্চলের মরুভূমি থেকে।

পঙ্গপালের আক্রমণে জন-জীবনও বিপর্যস্ত হতে পারে- সংগৃহীত

এর আগে পাকিস্তানও এই পঙ্গপালের আক্রমণের মুখে পড়ে। দেশটির পূর্বাঞ্চলের সিন্ধু প্রদেশে প্রথমে এ আক্রমণ শুরু হলেও ধীরে ধীরে তা ছড়িয়ে পড়ে বিভিন্ন অংশে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের নেতৃত্বাধীন সরকার জরুরি অবস্থা জারি করে। 

এমএস/